কবি বলেছেন জন্ম হউক যথা, তথা কর্ম হউক ভালো।
আজাইরা বাকোয়াজ। জন্মই আসল কথা। কর্ম হইলে হইল না হইলে নাই। উঁচু বংশে জন্মাতে না পারার বেদনা থেকে কবি এই ছত্র লিখেছেন। মোগল বংশে আগের পর্বে জন্ম নিলেন স্মরণ আছে? এইসব ফাউ কবিতার ছত্র আপনার জন্য প্রযোজ্য নহে। মৌজে থাকেন। পান চিবান। শীষ দিয়ে গান ধরেন টিকাটুলির মোড়ে একটা হল রয়েছে। হলে নাকি ইয়ার কন্ডিশন রয়েছে।
চন্দ্রাবতী । শুধুমাত্র নামটা শুনেই মুগ্ধতা ছেয়ে গিয়েছিল অন্য কিছু জানার আগেই । কে রাখলেন এত সুন্দর নাম?
এক।।
বিয়ের পর এই প্রথম অরণিদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। গ্রামের নাম কাৎলাসেন। সেখানে থাকেন অরণির বড়মামা, তিনি অকৃতদার। কাৎলাসেন ঢাকা থেকে খুব বেশি দূরে নয় অথচ যাই যাই করেও যাওয়া হয়নি এতদিন। এবারে ঈদ, বড়দিন, আর অনিন্দ্যর স্কুলের ছুটি, সব একসাথে পড়ে যাওয়ায় বেশ লম্বা একটা সময় মিলে গিয়েছে হাতে। বছর জোড়া ট্রাফিকজ্যাম-অফিস-বাজার আর ড্রইংরুমের বৃত্তে আটকে থেকে আমিও হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। অরণির মামার চিঠি পেয়ে ভাবলাম, যাই তিনটা দিন কাটিয়ে আসি।
অনিন্দ্য কখনো গ্রাম দেখেনি। আমি ঢাকায় বড় হওয়া মানুষ, গ্রামের সাথে যেটুকু যোগাযোগ ছিল বাবার মৃত্যুর পরে তার সবটুকুই ঘুচে গিয়েছে। আমার আগ্রহ অনিন্দ্যের চেয়ে কম নয় কোন অংশেই। অরণি অবশ্য চেয়েছিল দেশের বাইরে বেড়াতে যাই, নেপাল, শিলং কিংবা ভুটান।
I see them dancing somewhere in the moonlight
চাঁদের আলোয় ওরা নেচে চলেছে।
ছেলেটা বলছিল, এই দৃশ্যটা ও দেখে ফেলেছিল। ‘আপনিই বলেন, আপনি দৃশ্যটা দেখে ফেলেন
Somewhere in Alaska, somewhere in the sun
I hear them singing a song for all lovers
A song for the two hearts beating only as one
আলাস্কার হিম তুষার শুভ্র প্রান্তর
আমাদের দেশে রাস্তায় বেরুলে প্রথমেই আপনার নজর কাড়বে কোন জিনিসটা?
না, ট্রাফিক জ্যাম বাদ দিয়ে!
সতর্কতাঃ গল্পটা ক্লান্তিকর ও দীর্ঘ। লেখকও লিখতে গিয়ে ক্লান্ত। কিন্তু বারেক ভাই এখনো অক্লান্ত বলে লিখে রাখতে হলো সত্য ঘটনাটি।
বারেক ভাইকে আমি আত্মীয়তা সুত্রে ৩২ বছর ধরে চিনি। তখন তিনি বাস ট্রাকের ব্যবসা করতেন। পড়াশোনায় এসএসসি হলেও ব্যবসায়িক বুদ্ধিতে এমএসসির বাড়া। ব্যবসা শুরুর অল্পদিনের মধ্যে বারো চৌদ্দটা বাস ট্রাক লরির মালিক হয়ে গেলেন। বস্তা বস্তা টাকা ব্যাংকে জমা করেন। বস্তা কথাটা আক্ষরিক অর্থে সত্যি। আমি নিজের চোখে বাজারের থলেভর্তি টাকা নিয়ে ব্যাংকে যেতে দেখেছি। চোর ডাকাত ছিনতাইকারীদের চোখে না পড়ার জন্য এই ব্যবস্থা। তবে তাঁর চলাফেরা জামাকাপড় এতই মলিন থাকে যে তাঁর দিকে তাকালে বাস ট্রাকের হেলপার ছাড়া কিছু মনে হবে না। তাঁর ভাগ্যরাশিতে টাকার এতই ছড়াছড়ি যে তিনি যেখানে হাত দেন তাতে টাকা ফলে।
এক বিষণ্ন বর্ষার সকালে আমরা কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছি বার্মার এক কারাগারের কনডেম সেলের সামনের খোলা জায়গাটায়। উঁচু পাঁচিলের উপর দিয়ে একপাশ থেকে আসছে সূর্যের মলিন হলুদ আলো। সামনের সারিবাঁধা সেলগুলো অনেকটা পশুর খাঁচার মতোই- একটা চৌকিখাট আর পানির পাত্র দিয়েই ভরে গেছে দশ ফুট বাই দশ ফুটের মেঝে। তারই কয়েকটার মধ্যে গায়ে কম্বল পেঁচিয়ে বসে আছে কয়েকজন মানুষ। এরা সবাই ফাঁসির আসামী, আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই ফাঁসি হয়ে যাবে এদের সবার।
সে দেশে শুধু পুরুষ। কোন নারী নেই। বংশবৃদ্ধি কি করে হয় সে এক রহস্য। নারী বলে যে আলাদা এক জাতের মানুষ আছে তাই তারা জানে না।
সে দেশের শেষ মাথায়, যেখান থেকে গহীন বনের শুরু, এক অদ্ভুত গহ্বর ছিলো। লোকে বলা মায়া গহ্বর। ভরা পূর্ণিমার রাতে গহ্বর থেকে ভেসে আসে মায়াবী ডাক- আয়...আয়...আয়। ভয়ে ওদিকে কেউ যায় না। মায়া গহ্বরের ডাকে সাড়া দিয়ে ফেরেনি কোন পুরুষ।
তারপরও মন্ত্রমুগ্ধের মত কত পুরুষ ওদিকে গিয়ে হারিয়ে গেছে। মায়া গহ্বরের ডাকে সব ভুলিয়ে দেয়া সে এক আশ্চর্য মায়া। পূর্ণিমা এলেই কানে গামছা বেঁধে রাখে মানুষ।
সাউথ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশের খেলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। ৪৭ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২২৩/৫। ওদেরকে আড়াইশোর নিচে আটকে রাখাই আমাদের জন্য বিশাল সাফল্য তখন। মাত্র তিন ওভার বাকি আছে, খুবই সম্ভব। ধারাভাষ্য দিচ্ছে চৌধূরী জাফরুল্লাহ শরাফত।