Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

মুক্তিযুদ্ধ

তিন পুরুষের স্মৃতি চারণঃ প্রথম পর্ব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০২/২০১৩ - ১০:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার জন্ম সত্তুরের দশকের শেষের দিকে, স্বাধীন বাংলাদেশে। আমি বাহান্নর ভাষা আন্দোলন দেখিনি, ঊনসত্তুরের গনআন্দোলন দেখিনি, একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। আমি দেশের ইতিহাস পড়েছি বইয়ে। কিন্তু এসব ঘটনা আমার মনে জীবন্ত হয়ে আছে অন্য একটি কারনে। স্বাধীনতা উত্তর প্রজন্মের আর সবার মতো, আমি ছোটবেলা থেকেই এসব ঘটনার কথা শুনেছি বড়দের মুখে। ইংরেজিতে যাকে বলে, first-hand account; বাংলায় “প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ


জামাত, শাহবাগ ও একটি কথপোকথন (২৪ ফেব্রুয়ারী, বাংলাদেশ সময় দুপুর ১ টা)

Fallen Leaf এর ছবি
লিখেছেন Fallen Leaf [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৭/০২/২০১৩ - ১২:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-তোমাকে তো আজকাল পাওয়াই যায় না। ফোন ত করোই না আমি করলেও ধরনা। মোবাইল বাজতেই থাকে। কি করছ আজকাল?
-ক্লাস থাকে। সামনে পরীক্ষা...তার মধ্যে চলছে শাহবাগ...এই জন্যেই আরকি।
-শাহবাগে যাও তুমি?
-যাই তো। না গেলে কি ভাবে হবে? যুদ্ধপোরাধীদের পার পেয়ে যেতে দেয়া যাবে না।

এই হল আমার মেডিকেলে পড়ুয়া ছোট ভাইয়ের অবস্থা। সে রাজাকারের বিচারের দাবীতে শাহবাগ যায়। স্লোগান দেয়।

ওর আরেকটা পরিচয় ছোট্ট করে বলে রাখি.....ও একজন কোরআন এ হাফেয। সমস্ত কোরআন শরীফ বুকে ধারণ করেই সে শাহবাগে যায় এবং "ফাঁসি চাই" বলে স্লোগান দেয়।

-শাহবাগে নাকি অনেক আজেবাজে কিছু হয় আর মানুষ নাকি শব ফটোশপে বসানো?
-কে বলল উল্টাপাল্টা?
-ফেসবুকে দেখি আর আমার দেশের মাহমুদুর রহমানের টেলিফোনের লিক হওয়া কথায় জানলাম।
-আমি তো অতসব জানিনা। যতটুকই সময় পাই শাহবাগে যেয়ে স্লোগান দিয়ে আসি। আমি তো ওখানে লাখ লাখ মানুষ দেখি মহাসমাবেশে। ফেসবুক দেখার সময় ও পাইনা।


শাহবাগ

গীতিকবি এর ছবি
লিখেছেন গীতিকবি (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০২/২০১৩ - ৬:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শাহবাগ
-শেখ ফেরদৌস শামস ভাস্কর
অ্যারিজোনা, যুক্তরাষ্ট্র

চলো চলো চলো যাই
শাহবাগ যে ডাকছে ভাই
তরুণ সমাজ
জেগেছে আজ
রাজাকারদের রক্ষা নাই।


উত্তাল শাহবাগের চিত্র যখন শিরোনামহীন

আড্ডাবাজ এর ছবি
লিখেছেন আড্ডাবাজ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০২/২০১৩ - ৯:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ঠিক অনেক সময় চুপ করে বসে থাকা যায় না। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী কাদের মোল্লা ৭১'এর গণহত্যায় সংশ্লিস্ট থাকার পরও অদৃশ্য কারণে পার পেয়ে যাবজ্জীবনের "পুরস্কার" নিয়ে বিজয় চিহ্ন দেখাতে দেখাতে কোর্ট চত্বর ত্যাগ করে ঠিক তখন আমরা কিভাবে বসে থাকতে পারি? মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তাড়িত হয়ে সকলে ধাবিত হয় শাহবাগের দিকে। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও ক্ষোভে ফেটে উঠে সকল শ্রেণীর মানুষ, ঠিক তখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সেই ছবি শিরোনামহীন হয়ে থাকে।


আবারও আলুর পাকিমেহন!

স্বপ্নহারা এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নহারা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/১২/২০১২ - ৫:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম আলোর প্রতিনিয়ত এই পাকিমেহনের ক্রমবর্ধমাণ ধারা নিয়ে সচলায়তন ও অন্যান্য ব্লগে নানা সময় বিচ্ছিন্নভাবে লেখা এসেছে। কিন্তু সেই ব্যাপারটাই একটু গোছানোভাবে একত্রিত করার জন্য আর এই পাকিপ্রেমের বিষবৃক্ষের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য একটি নতুন সিরিজ চালু হয়েছিলঃ "আলুর পাকিমেহন" শিরোনামে। আগ্রহী যে কেউ এই শিরোনামে প্রথম আলোর পাকিমেহনের খবরগুলো নিয়ে কন্ট্রিবিউট করতে পারেন। সচল-পাঠক সবাই এতে অংশ নিয়ে এই সিরিজটি বেগবান-সমৃদ্ধ করার অনুরোধ রইলো। এখন থেকে যিনিই লিখুন, যে শিরোনামেই লিখুন, "আলুর পাকিমেহন" এই ট্যাগ দিয়ে লিখুন। তাহলে সবগুলো লেখা একসাথে পাওয়া যাবে।


যে মাটির বুকে---

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: সোম, ১৭/১২/২০১২ - ৫:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সে এক ভীষন দুঃসময় এসেছিল আমাদের মাঝে
সে এক ভীষন সুসময় এসেছিল আমাদের মাঝে---

দুঃসময় এইজন্যে --আমরা হারিয়েছি আমাদের লক্ষ লক্ষ আপনজন। এই ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের ভেতরে একটি পরিবারও খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা শহিদের রক্তে স্নাত হয় নি। রক্তের দামে নাকি কিনে আনতে হয় স্বাধীনতা! মাত্র ন'মাসের পরিব্যপ্তীতে আমরা আমাদের পাঁজর খুলে বইয়ে দিয়েছিলাম রক্তের নহর।


আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক পশু সেই সব পশুদের

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বুধ, ১২/১২/২০১২ - ৬:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস ফিরে আসল আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ে, ১৯৭১ সালের শেষের দিকে, বাবার বয়স তখন হয়ত ২২ ছুঁই ছুঁই, নাকি আরও কম, জমাদার কৃষকের ছেলে, লেখাপড়া করে গ্রামের স্কুলের শিক্ষক হয়েছিলেন ( তখনো উচ্চ শিক্ষার্থে শহর অভিমুখে যাত্রা করেন নি), কিন্তু ১৯৭১এর সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধা, অনেক অনেক বার বেঁচে গেছেন শত্রুর গুলী থেকে, যুদ্ধাহত প্রিয় বন্ধুকে পৌঁছে দিয়েছেন সীমান্তের অপর পারের হাসপাতা


ফিরে দেখ একাত্তর :২: শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১০/১২/২০১২ - ১১:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


কুলদা রায়
এমএমআর জালাল

চামেলী বাগে একটি নিরিবিলি বাড়ির বড় ছেলেটি পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে। তখন সারা দেশটিতে পাকিস্তানীরা বাঙালী নিধন করছে। ঢাকা অবরুদ্ধ। ঢাকা থেকে এই ছেলেটিকে ১৯৭১ সালের ১১ অক্টোবর তার বাবা একটি চিঠিতে লিখেছেন,

স্নেহের শামীম,


চোর-পুলিশ

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: সোম, ১৯/০৩/২০১২ - ৩:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পন করেছে। আমরা স্বাধীন। আনন্দে মাতোয়ারা পুরো বাংলাদেশ। ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের আনন্দ উল্লাসের মধ্যে জল ঢেলে দিল ছোট্ট একটি খবর। মিরপুরের বিহারীরা স্বাধীন বাংলাদেশ মানতে নারাজ। তারা কিছুতেই হার মানবে না। খবর শুনে আমাদের শরীরের রক্ত টগবগ করে উঠল। অপেক্ষাকৃত তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা পারলে তখুনই মিরপুর স্বাধীন করতে ছোটে। কিন্তু হাইকমান্ডের নির্দেশে আমরা যার যার ইউনিট


চোর-পুলিশ

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: সোম, ১৯/০৩/২০১২ - ৩:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পন করেছে। আমরা স্বাধীন। আনন্দে মাতোয়ারা পুরো বাংলাদেশ। ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের আনন্দ উল্লাসের মধ্যে জল ঢেলে দিল ছোট্ট একটি খবর। মিরপুরের বিহারীরা স্বাধীন বাংলাদেশ মানতে নারাজ। তারা কিছুতেই হার মানবে না। খবর শুনে আমাদের শরীরের রক্ত টগবগ করে উঠল। অপেক্ষাকৃত তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা পারলে তখুনই মিরপুর স্বাধীন করতে ছোটে। কিন্তু হাইকমান্ডের নির্দেশে আমরা যার যার ইউনিটকে