Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

আত্মজীবনী

ইতিহাসপাতাল [পর্ব ৫]

ওডিন এর ছবি
লিখেছেন ওডিন (তারিখ: শুক্র, ০৩/০৬/২০১৬ - ১২:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইতিহাসপাতাল মানে হলো হাসপাতালের ইতিহাস। ব্যপারটা ইতিহাসের হাসপাতালও হতে পারে। । আবার হয়তো এইটা পাতালের হাসপাতালের ইতিহাস। ইতিহাসপাতাল ওইরকমই কিছু একটা আরকি। আসলে হাড় ভাঙ্গার হাসপাতালে নিজের হাড় ভেঙ্গে অন্যের হাড় জোড়া দেয়ার কাজ করার মাঝে মাঝে অনেক মজার মজার ব্যপারস্যপার ঘটে। ইতিহাসপাতাল সেইগুলোরই টুকরো গল্প। হাসি


"দ্য গেরিলা"- এ পার্সোনাল মেমোরেন্ডাম অব নাইনটিন সেভেনটি ওয়ান

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল্লাহ এ.এম. [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৬/০৩/২০১৬ - ১২:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"যুদ্ধদিনের সাথীরা আমার, তোমরা যাঁরা বেঁচে আছ, কিংবা যাঁরা পাড়ি জমিয়েছ অনন্ত পরলোকে, তোমাদেরই একজন হতে পেরে নিজেকে আমি অত্যন্ত গৌরবান্বিত মনে করি।"- যাঁদের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর লেখা বইয়ে এই কথাগুলো বলেছেন.....................


অমরশশি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৪/১২/২০১৫ - ১০:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমদের স্কুল এ একটি লাইব্রেরি ছিল, যেমনটি আর দশটা স্কুল এ থাকত আশির দশক এ। স্কুল এর অবহেলিত কোনো একটি কোনে, মরচে ধরা লোহার তালায় বন্দী। দরজার খড়খড়ি তে উঁকি দিয়ে দেখতাম আলো আঁধারীর আড়ালে দাড়িয়ে থাকা সারি সারি আলমারি, শত শত বইয়ে ঠাসা। আলমারির কাঁচে রাজ্যের ধুলো, ঘরময় মাকড়সার জাল। দারুন ইচ্ছে করত তালা ভেঙ্গে একবার ঘরটায় ঢুকে পড়ি। একটি বইয়ের প্রতি ছিল আমার দুর্নিবার আকর্ষণ, "গ্রিস ও ট্রয় এর উপাখ্যান"। কতবার যে খড়খড়ি দিয়ে ওই বইটির দিকে তাকিয়ে থেকেছি! বইটি বাজারে পাওয়া যেতনা তখন। একদিন শিশু একাডেমিতে গিয়ে জিগ্যেস করে জেনেছিলাম লেখকের নাম আবদার রশিদ। আমার পঞ্চম শ্রেনীর উত্সুক মনটা সারাক্ষণ পড়ে থাকত মাকড়সার জালে ঘেরা, ধুলোয় মোড়ানো, আলমারিতে বন্দী আবদার রশিদের কল্পনায় - না জানি কী লিখেছেন তিনি!

পাড়ার স্কুল, টাকা নেই পয়সা নেই, নেই লোকবল। কে নেবে ধুলোয় ধুসরিত ওই স্বপ্নলোকের দায়িত্ব। দরজা তার তালাবন্ধই থেকে যায়। স্বপ্নলোকের চাবি পড়ে পড়ে ঝিমোয় হেড মাস্টারের ড্রয়ারে। তিনি তখন ব্যাস্ত তাঁর নতুন খেলনা নিয়ে। জাপান সরকারের কী বিভ্রম হয়েছিল কে জানে! একদিন ক্লাসে এসে দেখি দেয়ালে যেখনে ব্ল্যাক বোর্ড থাকে তার ঠিক উপরে একটা বাক্স মতন। ওটা যে কী এই নিয়ে গবেষণা করতে করতেই হঠাত শুনি রাশভারী একটি কন্ঠ, বাক্সটার ভেতর দিয়ে হেড স্যার কথা বলছেন! "ছেলেরা, আমি তোমাদের হেড মাস্টার বলছি। মন দিয়ে লেখা পড়া করবে, নইলে কান ধরে বের করে দেব স্কুল থেকে।" সেই থেকে শুরু, যখন তখন, কারণে অকারণে হেড স্যার আবির্ভূত হতেন তাঁর দৈব বাণী নিয়ে।  জাপান সরকারের বদান্যতায় সেবছর ঢাকার অনেক স্কুলের ক্লাস রুমই সজ্জিত হয়েছিল অমন স্পিকার দিয়ে। কার বুদ্ধিতে জানিনা, একদিন লাঞ্চ পিরিয়ডে দেখি স্পিকার এ রেডিও চলছে। অনুরোধের আসর - রংপুর থেকে ইলা নীলা মালা বেলা, পাবনা থেকে সান্তা কান্তা, টাঙ্গাইল থেকে হাবলু, বাবলু ডাবলু..........। 

লাঞ্চের অবসরে সবাই যখন ইলা নীলা মালা বেলার পছন্দের গান শোনায় ব্যাস্ত আমি তখন তালাবন্ধ বইঘরের খড়খড়ি উঁচিয়ে দেখি দুই রঙে আঁকা গ্রিস ও ট্রয় এর উপাখ্যান এর মলাট। আমার আশ মেটেনা। আশ মিটত না আরো চার জনের। শিশির মন্ডল, শহিদুল হাসান, অখিল চন্দ্র পাল আর রঞ্জিত কুমার সাহা। আমার চার বন্ধু, স্কুল জীবনের দারুন আনন্দময় একটি এডভেঞ্চারের সঙ্গী। আমাদের বই পড়তে ভালো লাগে, কিন্তু কারো কাছেই বই টই তেমন একটা নেই। টাকা পয়সাও নেই যে সপ্তায় সপ্তায় বই কিনব। সকাল বেলা মা দুটাকা দেন, এক টাকার চটপটি, আট আনার পেয়ারা আর আট আনার আইসক্রিম। ঐটি বাঁচিয়ে বই কিনব তাই কি হয়! "চল একটা লাইব্রেরি দেই", একদিন কথায় কথায় শিশিরের প্রস্তাব।

লাইব্রেরির নাম "অমরশশি", আমাদের সবার নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে তৈরী নাম। মনে আছে পাড়ার দুলাল দা, দুলাল আর্ট নাম খ্যাত, আমাদের রাবার স্ট্যাম্প বানিয়ে দিয়েছিলেন। আমাদের সবার বইয়ের পাতায় পাতায় অমরশশি'র স্ট্যাম্প। লাইব্রেরির কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই, কিছুদিন এর বাড়ি কিছুদিন ওর বাড়ি - ঘুরে ফিরে আমাদের পাঁচ জনের বাড়ি। কিছু বই পেয়েছিলাম অন্য বন্ধুদের কাছ থেকে, কিছু কিনতাম স্কুল এর পাশের দোকান থেকে। দোকানটা চালাতেন সুমন ভাই, অভিনেত্রী সুইটির বড় ভাই। আমাদের লাইব্রেরির সদস্য হয়েছিল অনেকেই, কোনো সদস্য ফী নেই, কেবল বই প্রতি আট আনা | লেট ফী চার আনা। 

অমরশশি টিকেছিল অনেকদিন। তারপর কলেজে প্রবেশ, প্রথম যৌবন। সমর সেনের কবিতার মতই। কোথায় গেল অমরশশি, কবে কখন আমার পঞ্চম শ্রেনীর কৌতুহলী মনটা চাপা পড়ে গেল জীবনের জালে! মাঝে মাঝে, যখন খুব মন খারাপ থাকে, ধুলো মাখা খড়খড়িটা আলতো করে তুলে উঁকি দিয়ে দেখি, আছে। মনের কোনে লুকিয়ে আছে দুলালদার বানিয়ে দেওয়া সেই স্ট্যাম্প। বহু বছরে অস্পষ্ট হয়ে এসেছে, কিন্তু এখনো পড়া যায় - অমরশশি।

--মোখলেস হোসেন


স্বজনসকাশে নবনীতা

মনি শামিম এর ছবি
লিখেছেন মনি শামিম [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৯/১০/২০১৫ - ৯:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

DSC_1821 by Shamimur Rahman, on Flickr


রিসার্চ রঙ্গ ১ - হবু বিজ্ঞানীদের সংস্কার-কুসংস্কার

সো এর ছবি
লিখেছেন সো [অতিথি] (তারিখ: রবি, ৩০/০৮/২০১৫ - ৯:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগেই বলে রাখি, লেখাটা বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের নিয়ে নয়। যদি ভাবেন এখানে লেখা হবে আইনস্টাইন তার রিলেটিভিটির অঙ্ক করার আগে বা হাতের আঙ্গুল কবার মটকাতেন, বা ফাইনম্যান নিউক্লিয়ার বোমার অঙ্ক কষার আগে ক’বার ডিগবাজি দিয়ে নিতেন, তাহলে আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন। এই গল্পের বিজ্ঞানীরা এখনো নিতান্তই সাদামাটা, পিএইচডি ধারী, বা পিএইচডি করনেওয়ালা ছাত্র (ভবিষ্যতের ফাইনম্যান-ম্যাক্সওয়েল আরকি!)।
চলমান ছাত্রজীবনে নানা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে চলেছে , এটা তারই একটা খিচুড়ি মিক্স। যথারীতি, ঘটনা-তথ্য সত্য, নামগুলো বদলে দিয়েছি।


দরজা চোর - ২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৯/০৮/২০১৫ - ৩:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমআইটিতে পড়ার সময় মানুষজনের সাথে বিভিন্ন রকম মজা করতাম। মেকানিক্যাল ড্রয়িং ক্লাসে আমাদের ফ্রেঞ্চ কার্ভ নামে একটা জিনিস ব্যবহার করতে হতো। জিনিসটা প্লাস্টিকের তৈরি, অনেকটা রুলারের মতো, ওটা দিয়ে কাগজে মসৃণ বক্ররেখা আঁকা যেত। একদিন একজন ক্লাসে একটা ফ্রেঞ্চ কার্ভ হাতে নিয়ে বলল, “আচ্ছা এই জিনিসটা কি কোনো বিশেষ সূত্র মেনে তৈরি করা হয়?”

এক মুহূর্ত ভেবে বললাম, “নিশ্চয়ই! সব ফ্রেঞ্চ কার্ভই একটা বিশেষ সূত্র মেনে চলে। এই দেখো”, বলে আমার ফ্রেঞ্চ কার্ভটা হাতে নিয়ে বললাম, “এই কার্ভগুলো এমনভাবে তৈরি যে এটাকে যেভাবেই ধরা হোক না কেন, এর সবচেয়ে নিচের বিন্দু দিয়ে একটা স্পর্শক আঁকলে সেটা সবসময় অনুভূমিক হবে।”


দরজা চোর - ১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৭/০৭/২০১৫ - ১২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমআইটিতে ছাত্রদের বিভিন্ন গ্রুপ আছে, ফ্রেটার্নিটি বলে এগুলোকে। প্রত্যেক ফ্রেটার্নিটিই নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রদের দলে নিতে নবীন বরণের মত একটা অনুষ্ঠান করতো, সেই অনুষ্ঠানকে বলা হত স্মোকার পার্টি। ইহুদি ছাত্রদের একটা ফ্রেটার্নিটি ছিলো, নাম ‘ফাই বেটা ডেল্টা’। এমআইটিতে যাবার আগেই নিউ ইয়র্কে তাদের একটা সভায় ডাক পেয়েছিলাম। তখনকার দিনে ইহুদি অথবা ইহুদি পরিবারে বড় হওয়া ছেলেদের জন্য ওই একটাই জায়গা ছিলো। ইহুদিদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য আমার আলাদা করে তেমন কোনো ইচ্ছা ছিলো না, আর দেখলাম ধর্মীয় ব্যাপারে ফাই বেটা ডেল্টার খুব একটা কড়াকড়িও নেই। সত্যি বলতে কি, আমি ধর্ম বিশ্বাস বা পালন কোনোটাই করতাম না। ওখানকার কয়েকজন আমাকে এটা সেটা জিজ্ঞেস করলো, তারপর দুয়েকটা উপদেশও দিলো। একটা উপদেশের কথা মনে আছে - ওরা বলেছিলো আমি যেন প্রথম বছরেই যেন ক্যালকুলাস পরীক্ষা দিয়ে দিই, তাহলে পরে আর ক্যালকুলাস কোর্সটা নিতে হবে না। উপদেশটা কাজে লেগেছিলো। ওই ফ্রেটার্নিটির ছেলেদের ভালোই লাগলো, তাই আমি ওদের সাথেই যোগ দিই। আর যে দুজন আমার সাথে কথা বলতে এসেছিলো, পরে আমি তাদেরই রুমমেট হয়েছিলাম।


বরবটি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৯/০৭/২০১৫ - ১১:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একবার গরমের সময়ে আমি একটা হোটেলে কাজ করেছিলাম, বয়স তখন সতেরো কি আঠারো হবে। হোটেলটা চালাতেন আমার এক খালা। ওখানে কাজ করে কত পেতাম এখন আর মনে নেই - হবে হয়তো মাসে বিশ-বাইশ ডলার। ওখানে আমি একদিন এগারো ঘণ্টা আরেকদিন তেরো ঘণ্টা করে কাজ করতাম। আমি ছিলাম একই সাথে ডেস্ক ক্লার্ক আর বাসবয়। বিকালে যখন আমি ডেস্ক ক্লার্ক হিসেবে বসতাম, তখন আমার কাজ ছিলো একজন পঙ্গু মহিলার কাছে দুধ নিয়ে যাওয়া। ঐ মহিলার কাছ থেকে একটা পয়সাও বখশিশ পাইনি কোনোদিন। আসলে পৃথিবীটা এমনই, সারাদিন খেটেও কিছুই পাওয়া যায় না, কিন্তু সেটাই করে যেতে হয় দিনের পর দিন।


‘চিন্তা’ করে রেডিও মেরামত!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৫/০৭/২০১৫ - ২:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার বয়স যখন বারো, তখন আমার বাড়িতে একটা ছোটখাটো ল্যাব বানিয়েছিলাম। জিনিসপত্র রাখার জন্য ছিলো একটা পুরনো কাঠের প্যাকিং বাক্স। একটা হিটার ছিলো (সেটাতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানানোর কাজেই লাগতো সবসময়)। আরও ছিলো একটা স্টোরেজ ব্যাটারি, আর একটা ল্যাম্প ব্যাঙ্ক (সিরিজ/প্যারালেল সমন্বয়ে সাজানো কতগুলো বাল্ব)।


আমার ওড়াউড়ি এবং বৃষ্টি বিলাস!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০৬/২০১৫ - ৬:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি কিন্তু উড়তে পারি!