পাখি হলো একটা অডিও-ভিস্যুয়াল ব্যাপার, তার ছবি অসম্পূর্ণ থাকে যদি ডালে বসে পুচ্ছ নাচিয়ে সে কিচিরমিচির না-ই করলো। তবে কি না সুন্দরী ললনাদের ক্ষেত্রে দুর্জনে বলে (আমি কিন্তু বলি না একদম, কেউ রাগ কইরেন না) হিস্ট্রি জিওগ্রাফি দুটো একসাথে ভালো হওয়া একটু কঠিন। পাখির ব্যাপারটাও খানিকটা তাই, দেখতে সুন্দর পাখিগুলোর ডাক একেবারেই এলেবেলে, আর যারা গান শোনায় তারা পাতার ফাঁকে লুকিয়ে থাক...
আসবে কি গোলাপফুল খেলার শুভদিন
নাজমুস সামস
স্বপ্নও আমাকে ঈশ্বর দেখায়
তাই যে সব ঘুঙুর হারিয়ে গেছে পুর্ণজন্ম সময়ে
তার শব্দ বাজে প্রশ্নকালে
ঐতো ওখানে সাঁকো ছিল
বাঁশচার দিয়ে হেঁটে যেতো সময়ের লোক
সেখানে ফ্লাইওভার উন্মাদনা দিনে
আমি ফিরে যাই লম্বা কামিজ পরা রোদে
যারা দিয়েছিল হৃদয়ে ধোয়াঁ
তাদের আগুন খাওয়াই আবার
না পাওয়া ব্যাথার দু:খভুলি অজ্ঞাত মুখস...
সুমন চাইয়ের জেনেসিস হইল একটা মিন্সুক্যাট মার্কা বাঘ। যে কাড়মাইলে কুনো ব্যাদ্না পাউয়া যায় না। উফুরন্তু কীয়ের নিগ্যা জানি ভালো নাগে। এক ধরমের আনন্দ নিরানন্দকারে কানের গুর দিয়া খেলা করে।
সে সহসা হরিঙ্গের মান্সো দিয়া ভাত খায় না। কিন্তু হরিংরে ভালো বাসে। যারপরনাই। কারণ বিজ্ঞান হরিংকে ভালোবাসে না। বাঘকেউ ভালোবাসে না। তাই তারা বনের মইদ্যে গলাগলি ধইরা কান্দে। হুহু কইরা কান্দে।...
সচলে অনেকেই স্মৃতিচারন করেছেন কিন্তু কেউ মনে হয় না তার প্রথম স্মৃতি নিয়ে এখন পর্যন্ত লিখেছেন, অথবা লিখেছেন যা আমার চোখে পড়েনি, আমি তো আর সচলে প্রথম থেকে নেই, তাই এরকম রায় ঘোষনা করাটাও বোধহয় বোকামী হচ্ছে। আসলে আমার উদ্দেশ্যটা খুব সহজ, আমার সবচেয়ে পুরানো স্মৃতি যেটা আমি পরিষ্কার মনে করতে পারি এবং তার পরের আরো কিছু ঘটনা সবার সাথে ভাগাভাগি করতে চাই। বুঝতেই পারছেন, আবারো স্বার...
এই সেমিস্টারের সবচে দীর্ঘতম মিশন হলো টেলিকম ল্যাব করা। শেষই হতে চায় না। মনোযোগ দেয়ার কোন মানে নাই। জানি- পাঁচ দশ মিনিট পরেই তাল হারিয়ে ফেলব।
কী মনে করে আজ ল্যাবে- খাতায় বাংলা লেখা শুরু করলাম। এবং স্বাভাবিক ভাবেই লক্ষ্য করলাম, লিখতে খুব কষ্ট হচ্ছে। অ এর মাথাটা দিয়ে ঘুরিয়ে আনতে বেশ সময় লাগলো।
কত দিন পর, কলমে কাগজে বাংলা লিখতে বসা। কী বোর্ডে নোটপ্যাডের যুগে অবশ্য এ কাজটা এখন না করলে...
ছবিটা কোন ফ্যান্টাসি ছবি না, কিছুটা স্টেজড হলেও। প্লেনটা সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের, যে এয়ারলাইন এখন পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্যাসেঞ্জার বহন করে।
কি কাহিনী?!
বলছি, পড়েন!
*
সকালে অফিসে আসার জন্য আমি প্রায়ই সবার আগে রেডি হয়ে যাই। বাবা আর বোনের দেরির কারণে এ সময়টায় বসে বসে টিভি দেখি।
আজকে দেখি সিএনএন দেখাচ্ছে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের একটা প...
হাতের পাতায় চোখ ঢাকে লীনা-" সরিয়ে নাও, শিগগির সরিয়ে নাও ঐ ছবি। আমার ভয় লাগছে।"
সামনে দাঁড়ানো ঋত্বিক অবাক হয়ে যায়, কিসের ভয় সামান্য একটা ছবিকে? কিন্তু লীনার মুখে সত্যি সত্যি ত্রাস,"কই সরিয়েছ? এতক্ষণ লাগছে? এখনো সরালে না?"
সমুদ্রের পরাক্রান্ত হাওয়া উড়ে আসে জানালা দিয়ে। ঋত্বিক মুগ্ধ চোখে দেখে তার হাওয়ায় এলোমেলো চুলের প্রিয়তমাকে। লীনা এত সুন্দর! হিমবিদ্যুতের মতন ওর জ্বলজ্বলে রঙ।...
৫৯.
সপ্রশংস অনুর্ধ্ব-দানবিক পানাহার পরিপাক সাপেক্ষে পাতিকাক ব্যাজার বসে থাকে পরবর্তী উপচংক্রমণদুষ্ট আপাত:ত্যাজ্যদের সমাবেশ খুঁটে নিজস্ব একতলীয় লেখচিত্রে সপ্রতিভ গমনাগমন টাল সামলাতে
৬০.
ছত্রাকাক্রান্ত গমের রসে দমেবসা পোড়া সিদ্ধ বরাহগণ্ডাংশ খাদ্যনালীতে ঠেলে দিতে হাইপারবোলিক আবর্তে প্রচলিত ঢেকুরের স্বস্তি জেগে ওঠে পেটে আর দুই কূলে সানন্দ-পম্পাই ভুলে থেকে
৬১.
সরাসরি...
ফ্লোরিডা ভ্রমণের তৃতীয় ও অন্তিম পর্বে এসে নামটা একটু গণ্ডগোলের শোনাচ্ছে। এভারগ্লেডস এলাকায় বালুকাবেলা আদৌ নেই, কিন্তু সিরিজের ধারাবাহিকতা রাখতে ঐ নামটাই রাখলাম। বাঙালির কাছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য নতুন কিছু নয়। তবু কয়েক বছর আগে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে এভারগ্লেডসের একটা অসামান্য ফোটোগ্রাফ দেখে একে অবশ্যগন্তব্যের তালিকায় জুড়ে দিয়েছিলাম। যদিও ঐ ছবিটা আসল জায়গার তুলনায় ...
সতর্ক চোখে আরেকবার আজগর চারপাশে চোখ বুলিয়ে নেয়। এই কাক-ডাকা ভোরে এখনো এই রাস্তায় লোক চলাচল শুরু হয়নি। এই জায়গাটাও বেশ নির্জন,প্রাতঃভ্রমণকারীদের দল এদিকটা আসে না খুব একটা। ভালো একটা জায়গা বেছে নিয়েছে- এই ভেবে আজগর নিজেকেই নিজে বাহবা দেয়।
দিনের পর দিন,মাসের পর মাস...পুরো দু'দুটা বছর। মফস্বল থেকে এই মহানগরীতে পা রাখবার পর থেকেই ওই লোকটা হয়ে উঠেছে তার এক ভীষণ আতঙ্ক। প্রথম প্রথম অন...