চার - (শেষ কিস্তি)
তারুর বিয়ের পর থেকে কিনা কে জানে রীনারা তিনবোন বা পাড়ার অন্যান্য আবিয়াত মেয়েগুলি হয় তো বিয়েশাদীর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। এইবার তো রীনাও পাক্কা ধরে নিয়েছিল পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরলে আম্মা তার ঠিক হওয়া বিয়ে দিয়ে হজ্বে করবে। প্রতিবার বিয়ের কথা হলে তাকে এই কথাই শুনতে হয়। এইবার রীনাও এক রকম কনর্ফাম মনে করেছিল- কারণ এই ছেলে তো গত দুইমাসে দুইবার তাকে দেখতে ঢাকা এসে ঘুরে ...
পাথরের শ্বাস শুনেছ কখনও? একলা বিকেলের পাশে দাঁড়িয়ে যেভাবে শুনো নদীর কান্না? অথবা বৃষ্টির ফোঁটায় তাকিয়ে যেরকম দেখো স্বপ্নে পাওয়া মুখ, লেপ্টে থাকে তোমার দেয়াল জুড়ে।
আমি পাথরের শ্বাস শুনেছি বাতাসে ভেসে ভেসে! আমাকে পাহাড়ে দেয় পাখিদের শিস! কখনও একটুকরো আকাশ দেখে হাত বাড়িয়েছি, চিত্রল মেঘেদের আয়নায় নিজের পেছন লুকিয়ে শুধু নদীর গল্প-ই বলে গেছি। শুনিয়েছি বৃষ্টি ও মাটির সঙ্গম আখ্যান।
...
এবারও দেখা হলো না। গতবারও হয়নি। গতবার কোন ফাঁকে এসে চলে গেলো সেটা বুঝতেই পারিনি। মাঝখানে কথা হলো একদিন ফোনে। এবার ঘটলো বিশ্রি ঘটনা। আমি ঢাকা ঘুরে সিলেট এলাম, এর ঘন্টাখানেক বাদেই ফোন, 'এইটা আমার নাম্বার, আপনে ঢাকা আসবেন কবে?' আমি বলি পাগলি আমি একটু আগে ঢাকা থেকে ফিরলাম!
বিষয়টা খুবি কষ্টকর। ভ্রাত এবং ভগ্নি একই শহরে থেকেও দেখা হয় না। এর আগে গত রোজার ঈদেও এমন কারবার হয়েছে। আমি বাবাইর...
ভ্যাংকুভারের এই এলাকাটায় প্রচুর বাংলাদেশীদের বসবাস। প্রায়ই সপ্তাহান্তে এর ওর বাসায় জমজমাট আড্ডা বসে। খানা-পিনা, আড্ডাবাজি, বোর্ড গেমস বা তাস পিটানোতে দুর্দান্ত সময় কাটে, সাথে দেশ নিয়ে আক্ষেপ-ক্ষোভ বা তত্ত্ব-তালাশ তো চলেই।
আজ আড্ডা জমেছে জামিলের বাসায়। সবাই হাজির। টেক্সাস হোল্ডেম পোকার খেলা চলছে। বাইরে নির্বিকার পোকার ফেস রেখে ভেতরের উত্তেজনা দমাতে প্রায় সবাই চিমনির মতো স...
আইজাক আসিমভের "শেষ প্রশ্ন" গল্পটি পড়ে অবাক হয়ে গেলাম! অবাক মানে, একেবারে তাব্ধা!। আশ্চর্য সুন্দর কল্পবিজ্ঞান। ভাবলাম অনেকেই হয়তো পড়েছেন কিন্তু কেউ কেউ যদি না পড়ে থাকেন? তাছাড়া নিজের ভাষায় পড়তে তো ইচ্ছা করে। তাই অনুবাদ করতে বসে গেলাম। সুধীগণ নিজগুণে ক্ষমা করবেন যদি এই দুর্বল কলমে ভালো না আসে, তবে যথাসাধ্য যত্নে কাজটুকু করার চেষ্টা ছিলো। আজকে ১ ও ২।
1
শেষ প্রশ্নটি প্রথম করা হয়...
বিদ্যাসাগরের অসম্পুর্ন কাজের তালিকা একেবারে ছোট নয়। ধরা যাক বাংলা অভিধানের কথা, সে সময় অনেক শিক্ষাব্রতী সাহিত্যিক স্ব স্ব ক্ষেত্র আলোকিত করছেন কেউই অভাব অনুভব করেননি একটি সার্থক বাংলা অভিধানের! বিদ্যাসাগর শুরু করলেন অভিধান প্রনয়নের কাজ। ‘অ’ থেকে শুরু করে ‘অদ্যাপি’ পর্যন্ত সংকলন করে আর এগুতে পারেন নি। সে হিসেবে বাংলা অভিধানের জনক বিদ্যাসাগর। তিনিই শুরু করেছিলেন বাংলা শব্দ...
নাসিরউদ্দীনের সাথে আমার পরিচয় ক্লাস টুতে। আমার ঠিক মনে আছে। দেখতাম ক্লাসে আসতো.. চুল উস্কো-খুস্কো একটা ছেলে। আমার পাশেই বসতো। কেমন কেমন যেন ভাব, সবকিছুতেই দুষ্টামি, এটা নাড়ছে তো ওটা ধরছে.. ওটা ধরছে তো সেটা পাড়ছে। কয়েকদিনে মোটামুটি একটা খাতির হয়ে গেল। একদিন স্কুলে যাব, নতুন ঘরকাটা অংক খাতা কিনেছি। ক্লাসে গিয়ে একটু পর পর খালিখাতা খুলছি, ঘ্রাণ নিচ্ছি.. কখন অংক করবো। টিফিনের ঘন্টা বাজ...
[justify]গত দুই বছরে সচলায়তন বেশ কয়েকজন কবির অগণিত কবিতার ভিড়ে মুখর থেকেছে। সচলাবহ কাব্যবিমুখ নয় একথা আমরা হলফ করে বলতে পারি।
এবার আমাদের পরিকল্পনা একটি কবিতার ই-সংকলন প্রকাশ করার। সংকলন সম্পাদনার জন্যে অনুরুদ্ধ হয়েছেন সচল হাসান মোরশেদ ও সুমন চৌধুরী।
বরাবরের মতো এবারেও লেখা পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম থাকছেঃ
জিসানকে চিন্তার আধাঁর, গুদাম যাই বলা হোক না কেন তা সবসময় অপর্যাপ্ত মনেহয়। ওর প্রতিটি দিন প্রতিটি মুহুর্ত শুধু চিন্তা করেই কেটে যায়। চিন্তা করার বিষয়ের ওর অভাব হয় না। এই যেমন আজকে ওর চিন্তার বিষয় হল কষ্ট ও দুঃখ। কষ্ট ও দুঃখের মধ্যে পার্থক্য কি এটা চিন্তা করেই আজকে ওর দিনের অধিকাংশ সময় পার হয়ে গেছে। একটু পরেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে। জিসানের ধারণা সন্ধ্যা নামলেই তার চিন্তাগুলো কেমন যে...
ধুন্ধুমার আড্ডা হলো আজ বিকেলে। কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিলো না। এনএসইউ-এর পুরানো দালানের সামনে একে একে কিভাবে যেনো সবাই হাজির হয়ে গেলো। জমজমাট আড্ডা শেষে; স্টার কাবাবে খাসির পায়া নান ফালুদা আর মালাই চা মেরে এই একটু আগে বাসায় ঢুকলাম।
আজ ক্যামেরার ডেটা কেবলও কিনেছি। কিনতে গিয়ে দাম জিজ্ঞেস করেছি, দোকানী বলে ২০০টাকা দেন। আমার কেনো জানি হাসি পেয়ে গেলো। খানিকক্ষণ হাঃ হাঃ করে হাসার পর ...