‘বই’ নামক জিনিশটিকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়? বিজ্ঞজনের বক্তব্য আর সমস্ত অভিধান এক পাশে সরিয়ে রাখি। এখন নাকি ডিজিটাল যুগ। তাই ‘বই’কে ব্যাখ্যা করতে গেলেও এর মাঝে ‘ডিজিটালত্বে’র ছোঁয়া ত অবশ্যই থাকতে হবে। তবে আমার ধারণা, বইয়ের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম। প্রতিটি মানুষই বইকে তার নিজের মতো করে অনুভব করে। কারো কারো কাছে কিছু বই সাক্ষাৎ যমের মতো, যাদেরকে পরীক্ষার আগে দেখলেই শরীরের তাপমাত্রা উর্ধ্বমুখী হয়; কারো কারো কাছে কিছু বই আবার বউয়ের মতো যাদেরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়!
সন্ধ্যা সাড়ে ছটার কিছু পর। ল্যাপটপ বন্ধ করে সব গুছিয়ে নিচ্ছি। অদুরেই বসা একজন স্ক্যান্ডেনেভিয়ান কলিগ। হঠাৎ দেখলাম তার চেয়ারটা কেমন যেন দুল খাচ্ছে, বললাম ইউ আর শেকিং, প্রবাবলি আর্থ কোয়েক। এরপর দুজনেই কিয়ৎক্ষন অপেক্ষা করলাম ভেবে যে আর সব বারের মত দরজা পর্যন্ত যেতে যেতে থেমে যাবে। কিন্তু না এ যে দুলেই যাচ্ছে। অতএব আর অপেক্ষা না করে ল্যাপটপ টেবিলে রেখেই মোবাইলখানি নিয়ে সিড়ি ভেঙ্গে নেমে এলাম গ্রাউন্ডে।
(ছবিঃ কাযিমিরেয পি'হস্কি)
ব্যাকরণের ক্লাসে এসে
রিতা আপা বলে,
এক নিয়মে সকল পড়া
কেমন করে চলে?
বাবা অসম্ভব মজা করে কথা বলে। যে শুনে সেই হাসে। হাসতে হাসতে পেট ফুলে যায়। আমাদের বাড়িতে যেই আসে সেই বলে, বাবার মতো মজার মানুষ কোনদিন সে দেখেনি। বাবা এতো চমৎকার সব কৌতুক জানে, মুখ এমন ভেংচি কাটতে পারে, না দেখলে না শুনলে কেউ সেটা বিশ্বাস করবে না কিংবা বুঝতে পারবে না।
ধলপহরের উজ্জল কমলারঙা সূর্যরশ্মির প্রখরতায় আঁধার ক্রমশ লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে যাত্রাপথ থেকে, আলোর বন্যায় ভাসছে চারিদিক, গাড়ির শক্তিশালী ইঞ্জিনের আওয়াজ এড়িয়ে কানে আসছে পাখ-পাখালির জেগে ওঠার আভাস, জেগে উঠছে একে একে আমার সহযাত্রীরাও।
নিরালা দুপুর কাঁদে ঝমঝম বৃষ্টির ধারায়
ভেজা কাক কাঁপে কদমের ডালে, দমকা হাওয়ায়
সুসবুজ পাতার অন্তরে বেঁধে সূচালো বৃষ্টির শর
ঠিক আট বছর আগের এমনই দুপুর বেলা
চলে গেছে সে কাঁপিয়ে এই মগ্ন চরাচর।
খুব বেশি স্মৃতিচিহ্ন রাখিনি এ ঘরে
তবু দিনরাত বেসামাল বেশুমার
মাকড়সার জালের মতো অজান্তে উঠছে বেড়ে
ছাদের পলেস্তারায়, দেয়ালে দেয়ালে সবই
নিরুদ্দেশ দিবসের সেই স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি।
খুব নিশীথে জলের তিয়াস পেলে
হাতড়ে ফিরি তীব্র কালাহারি
বরফ শীতল জলের গেলাস ফেলে
শুয়েই থাকি বিষণ্ন বিচ্ছিরি
সে অনেককাল আগের কথা।
পুরানো আমল।
সেই আমলে ফ্রাঁমানি নামে এক দেশ ছিলো। ডিউক শ্যাজাঁ ডি'কান, নাহিউকা প্রভিন্সের শাসক, আমাদের এই কাহিনির দ্বিতীয় প্রধান চরিত্র। প্রথমজন? সে সময়মতো এসে পড়বে, চিন্তা নাই। তবে সে ঠিক মানুষ নয়, এই যা।