বিনা সুতোর মালা গাঁথার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বসেছিলাম, কিন্তু গাঁথতে পারলাম না। একটা একটা করে পুঁতি তুলে নিই, পরপর সাজাই। সেই বর্ষাবিকেলের নীল পুঁতি যার ভিতরে কেমন একটা মায়াবী আলো ঝিলমিল করতো, সেইটার গায়ে হাত বুলিয়ে চুপটি করে নামিয়ে রাখি। পাশে রাখি ঝকমকে লাল আর সাদা দুটি পুঁতি, ওরা বৈশাখের সন্ধ্যা, ওরা জয়জয়ন্তী।
১।
মৌনতার মধ্যে কয়েকফোঁটা অনিশ্চয়তা মিশে আছে।
মাঝে মাঝে সেই গন্ধে বেঁচে উঠি
মাঝে মাঝে সেই গন্ধে মরে যাই!
২।
হৃদয় ওখানে নয়
হৃদয়ের বেশ দূরে আছো
ওখানে সমস্ত মেঘ
অতি তুচ্ছ বৃষ্টি যায় আসে।
অভিজ্ঞ তড়িৎ গতি
মাঝে মাঝে সামলে নেয়া ভালো
আমি তো জ্যোৎস্না চাই
তুমি শুধু অন্ধকার ঢালো!
৩।
নিজের মৃত্যু সম্পর্কিত একটা দৃশ্যে একটা পাখিকে একা একা গান গাইতে দেখি।
৪।
প্রাইমারীতে থাকতে পাশের বাসার পাড়াতো দাদা-দাদীর কল্যানে টিনটিন,চাচা চৌধুরী, হাঁদা-ভোদা, নন্টে ফন্টে, বাঁটুল দ্যা গ্রেট ইত্যাদি চমৎকার সব কমিকস পড়া শেষ।
তারপর সেই দাদীর কল্যানেই বোমকেশ বক্সী কিংবা কিরিটি শেষ এবং তারপর প্রফেসর শঙ্কু, ফেলুদা,ঘনাদা,টেনিদা মোটামুটি একটা কব্জা করা গেছে।
বয়েসের দোষ নাকি কে জানে, আজকাল বিয়ে 'খেয়ে' তেমন আরাম পাওয়া যাচ্ছেনা। রোদবৃষ্টির ভ্যাপসা গরমের মাঝেও সেদিন একখানা বিয়ের দাওয়াতে গেলাম। দেখি এসিওলা ফিটফাট কমিউনিটি সেন্টারের ফুলসাজানো কোণায় বরকনে হাসিমুখে সোফাসিন। সুবেশী সুশীল লোকজন সবাই এসে মাপা হাসি দিয়ে কথা বলছে, টকাটক ছবি তুলছে, ভিডিও উঠছে। এসবকিছু শেষ হতে ওদিকে টেবল রেডি, ঝাঁক বেঁধে সবাই গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে মিছরি দেয়া পান চিবোতে চ
[justify]রাস্তার মধ্যে এক মুরুব্বী পাকড়াও করে বললেন, শুনলাম আজকাল নাকি গরম উদাস ছদ্মনামে পত্রিকায় কি সব অশ্লীল সাহিত্য রচনা করে যাচ্ছ। আমি মৃদু গলায় বললাম, আজ্ঞে গরম না চরম, পত্রিকা না ব্লগ, সাহিত্য না খিচুড়ি। সেই সাথে শ্লীল অশ্লীল নিয়ে একটা নাতিদীর্ঘ বক্তৃতা দেয়ার ইচ্ছে ছিল। সেই সুযোগ না দিয়ে তিনি পণ্ডিতমশাই এর মতো রোষকষায়িত লোচনে তাকিয়ে চলে গেলেন। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবলাম, কানের কাছ দিয়
পরের দিন সকালে ৫ টায় উঠে একটু পরেই আমরা বেড়িয়ে পড়লাম, কমপ্লেক্স সকালেই খুলে যায়, সূর্যের প্রথম আলোতে অসাধারণ লাগে জায়গাটা, দেখলেই একটা অপার্থিব অনুভূতি তৈরী হয়, পাথরের সুউচ্চ মন্দিরগুলোর গায়ে যখন সোনালী আলো পরে তখন মনে হয় পুরো জায়গাটাই সোনা দিয়ে মোড়ানো
প্রাত্যহিকের জটিল ফাঁদে আটকে পড়ার ধন্ধে
ঘরের ভেতর লুকিয়ে থাকি সকাল থেকে সন্ধ্যে
শৈশবে আমার বাচন যন্ত্রটিতে কিছু ঝামেলা ছিল। কথা বলা শুরু হতেই বোঝা গেল, এই মেয়ে ‘ত’ ততিয়ে কথা বলে। যেমন বাবার নাম জিজ্ঞেস করা হলে জবাব দেই, ‘তায়েত তালোয়াল’ (জাহেদ সারোয়ার)। প্রথম দিকে এটা নিয়ে বিশেষ কেউ চিন্তিত না হলেও স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর ঝামেলার ব্যাপারটা বোঝা গেল। আমার তোতিয়ে কথা বলাটায় অন্যরা মজা পেতে শুরু করেছে। বড়রা তো আদর করার ছলে হাসি ঠাট্টা করতোই, ছোটরাও ভেঙ্গানো শুরু করলো। মনে