আজ (১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১১) অফিসে আসার পথে দেখলাম রাস্তায় হলুদ টিশার্ট পরিহিত বেশ কিছু তরুণ-তরুণী আয়কর দেয়া নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের কাছ থেকেই জানা গেল আজ আয়কর দিবস। তারা রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কিংবা সিগন্যালে গাড়ি থেমে থাকার সময় মানুষদের কাছে গিয়ে আয়কর-সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানাচ্ছেন। আয়কর দিলে কী সুবিধা, না দিলে কী সমস্যা হতে পারে ইত্যাদি বিষয় খুব সংক্ষিপ্তাকারে তারা চমৎকারভাবে উপস্থাপন কর
[justify]সেদিন প্রথম আলোতে না কোথায় যেন দেখলাম যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ছয় জনে একজন নাকি গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট। উপাত্তের সত্য মিথ্যা জানি না, কিন্তু আরও অনেক উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশগামীর মতো আমিও এই দেশে এসে পড়লাম জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে। জ্ঞান অর্জনের জন্য আজকাল চীনের লোকেরাও এই দেশে চলে আসে, আমি তো কোন ছার। সে যাই হোক, নতুন দেশে এসে জীবনে প্রথম বারের মতো অনেকখানি স্বাবলম্বী হতে হচ্ছে। তার একটা প্রধ
বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের আইনি লড়াই চলছে সমুদ্র-আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে। মামলার শুনানি চলছে, এই বছরের মধ্যেই (হয়ত সামনের মাসেই) রায় জানা যাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমার দু’বার করে তাদের তরফে কাগজপত্র জমা দিয়েছে, এর পরে মৌখিক শুনানি শুরু হয়েছে। মৌখিক শুনানির প্রথম পর্যায়ে এখন বাংলাদেশের পক্ষের আইনজীবীরা সওয়াল করছেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা থেকে অনেকেই জানেন হয়ত যে বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের সমুদ্রসীমা বিরোধের গুরুত্ব অনেকটা - বিশেষত বাংলাদেশ-মায়ানমার বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটিতে গ্যাস পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্টই।
অটোগ্রাফ জোগাড়ের নেশা আমাদের অনেকেরই আছে- সে আলাদা করে রাখা অটোগ্রাফ খাতায় হোক, হাতের কাছে পাওয়া চিরকুটে হোক, চিঠিতে হোক বা বইতে। মনের মধ্যে ‘আকাশের তারা’ হয়ে থাকা একটা মানুষের ‘চিহ্ন’ যে কত মূল্যবান সেটা সে-ই জানে ভিড় ঠেলে উত্তেজনায় টগবগ করতে করতে ঐ ‘চিহ্ন’ যে কখনো না কখনো জোগাড় করে এনেছে!
পূর্ব কথন: কোন এক বেসরকারী সংস্থার পানি বিষয়ক সেমিনার। ইথিওপিয়া সহ আফ্রিকার বহু দেশে মানুষ মরে পানি দুস্প্রাপ্য বলে। বাংলাদেশের মানুষ মরে পানির অতিরিক্ত প্রবাহে। সেমিনারের আয়োজকরা পানির যথাযথ ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছেন এই সব দেশকে উদাহরন ধরে নিয়ে। সে সব দেশের মানুষ কী ভাবে পানির হাতে নিগৃহিত হচ্ছে তা উদাহরণ সহ দেখাতে ডাক পড়ে আমার। দেশে থাকতে দেশ নাটকের মাথায় ছাতা ধরতাম। নাটকের মাধ্যমে ভয়াবহ ব্যপারটা
দেলওয়ার কাকা। শুধু বড়দের কাছে শুনেছি- ছেলেবেলার এইসব জটিল সামাজিক টানাপোড়েনে দেলওয়ার কাকা একটু আধা পাগলা হয়ে গিয়েছিলেন। সমাজের উপর বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ ছিল না। বিয়ে করেছিলেন আর বিয়ের পর এক এক করে তিন কন্যার জন্ম দিলেও এক ধরনের সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার নেশাটা তার একটুও কমেনি। মেয়েরা বড় হলে তিনি গো ধরলেন তিনি নিজে তাদের শিক্ষা দেবেন। কোন বিদ্যালয়ে তাদের পাঠাবেন না। এই নিয়ে কাকীর সাথে প্রতি রাতেই
[justify]জড়োতা বলে যে জটবাঁধানো জবড়জং ব্যাপারস্যাপার আছে বস্তুর ক্ষেত্রে তা আমরা কম বেশি সবাই জানি। পদার্থের জন্মদোষে দুষ্ট এই গুণটা হলো, বস্তু অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ হয়ে যে অবস্থায় আছে, নিতান্ত বাধ্য বা বাধাপ্রাপ্ত না হলে সেই সুব্যবস্থার কোনো দুরবস্থা করতে চায় না নিজে থেকে। অর্থাৎ যা স্থির আছে সে খামাখা কখনো অস্থির হবে না। যে ঘোরার উপরে আছে, বলপ্রয়োগ সাপেক্ষে ঘোর না কাটানো পর্যন্ত সে বেঘোরেই ঘুরতে থাকবে। এরকম সুলিখিত সংবিধান পড়েছিলাম বিজ্ঞান বিষয়ে স্কুল-কলেজ-এমনকি ভার্সিটিতেও। কিন্তু এই জড়োতার উল্টোপিঠেও আর এক জড়োতা আছে, যাকে বলে কোনো কিছু না করার বা আলসেমির জড়োতা। আর এইটা এখন আমার দৈনন্দিন জীবনজুড়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। পরম শূন্য উষ্ণতার মতো যদি পরম শূন্য জড়োতা বলে কিছু থেকে থাকে তবে আমি নিশ্চিত, তা এখন আমকে জাপটিয়ে জড়িয়ে রেখেছে। আমার এই লেখাতেও অবধারিতভাবে সবাই বৈচিত্র্যহীন জড়োতার বিচিত্র সব উপকরণ রয়েছে যা বিষম বিরক্তির উদ্রেক কোনোরূপ জড়োতা ছাড়াই করতে পারে।
উইকিমতে আমাদের দেশের এ মূহুর্তে সম্প্রচাররত টিভি চ্যানেল মোট ২০টি ১। আমার জানামতে আরও বেশ অনেকগুলো চ্যানেল সম্প্রচার শুরু করবার বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। নানান স্বাদের নাটক, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ছাড়াও এই টিভি চ্যানেলগুলোর বিশেষ আকর্ষণ সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত সংবাদ আর টক-শো। টক-শো বা সংবাদ-প্রচারের সর্বোচ্চ টাইম-স্লটের দিক থেকে বিবেচনায় আমাদের ব্রডকাস্ট মিডিয়া একেবারে
বাঙ্গালী!!
বাঙ্গালী তর্ক চেনে, গর্ত চেনে, দোষ চেনে, মন্দ চেনে-
বাঙ্গালী সূর্যের চাইতে বালির উত্তাপ বোঝে
বাঘের মামা টাগ বোঝে
নাট-বল্টু-ইস্ক্রুপ ঢিলা বোঝে
মেদ-ভুঁড়ি, ইশারা-ইঙ্গিত, সুড়সুড়ি বোঝে
এমনকি মাগনা পেলে আলকাতরা খাওয়া বোঝে,
বাঙালী সব বোঝে, জ্ঞান বোঝে, গরিমাও বোঝে -
বাঙালী শুধু ‘বাঙালী’ বোঝেনা!!
(২৯.০৮.২০১১)