বেশ কিছুদিন আগে নজরুল ভাইয়ের বাসায় আড্ডা দেয়া হয়। মধ্যরাতে হটাৎ হুমকি দিয়ে বলেন উনার ক্যারিক্যাচার না করলে আমার পলাশ নামের 'প' সরায় দেবেন। অতঃপর...
"এই যে ভাই, ৬৬/৪ বাড়িটা কোন দিকে"?
"আরেকটু সামনে আগায়া হাতের ডাইনে যে লাল গেইটের বিল্ডিংটা দেখবেন, মাথা নিচু কইরা সেই গেইট দিয়া ঢুইকা পড়বেন"।
ক্যালকুলেটরে হিসেব কষতে কষতে আধবুড়ো দোকানী না তাকিয়েই জবাবটা দিল। ভাবে মনে হল, আগেও অনেককে এমনি করে রাস্তা বাতলে দিতে হয়েছে।
"কিন্তু ঐ বিল্ডিং তো একজন ডাক্তারের চেম্বার..." খানিকটা স্বগতোক্তির মতই কথাগুলো মুখ থেকে বেরিয়ে এল। আমি যা খুঁজছি সেটা তো নয়।
…
ঘড়িতে সাতটা বাজে। মানে সকাল সাতটা। রুহি জানে, এখনি কলিং-বেলটা বেজে ওঠবে। ছুটে গেলো জানলার পাশে। সারি সারি ফ্ল্যাট বাড়িগুলোর ফাঁক দিয়ে গলিটা খুব একটা দেখা যায় না। তবু যতটুকু চোখ যায় দেখছে সে। কিন্তু কই, দেখা যাচ্ছে না তো কাউকে। আর তর সইছে না তার। আসছে না কেন, কী হলো আজ ?
[justify]
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান হলো, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময়ে তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি সম্পাদিত হলো না। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের পানিসম্পদের জন্য এটি একটি দুঃখজনক ও হতাশাব্যাঞ্জক খবর। তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে গত ৪০ বছর ধরে, গঙ্গাচুক্তি হবার পর থেকে (১৯৯৬ সাল) তা বেগবান হয়েছে বলে ধারনা করা হয়। বিশেষ করে গতবছর (২০১০) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের পথে অনেকদূর এগিয়েছিল দুই দেশ। যদিও শেষ মূহুর্তে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি জানান, অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন, বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি হলেও বাংলাদেশের প্রধানমত্রীর ভারত সফরে এ ব্যাপারে কোনো চুক্তি হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই, তবে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে সফরে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে [১]। এবছর (২০১১) মনমোহন সিং এর বাংলাদেশে সফরের সময় অবশ্য শেষ পর্যন্তও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন[২] তবে তা যে নিছকই দুরাশা ছিল সেটা বলাই বাহুল্য।
বিষণ্ণতার শহরে এসে
হ্যামিলনের মনে হলো একবার বাজালেই বাঁশি
বিষণ্নতা সব ঝাঁপ দেবে নদীতে,
মনে হলো নতুন এক সুর তুললেই
এক লহমায় শহরে চমকাবে আনন্দের কিংখাব।
হ্যামিলন, বিষণ্নতা কোন শৌখিন আলোয়ান নয়,
যে ছুড়ে ফেলে দেয়া যায়,
বিষণ্নতা আমাদের শখ বা রোগ নয়,
বিষণ্নতা আমাদের সহচর, নিত্য প্রেম,
বিষণ্নতা আমরা আমাদের বুকে পুষি,
চোখে পুষি, পুষি আমাদের স্বপ্নে।
আমাদের মানিব্যাগ খুলে দ্যাখো,
ডাক্তার আমার EDD (Expected date of delivery) লিখে দিলেন ৭ই অক্টোবর। ডেট দেখে আমি খুশি, লাকি সেভেন বলে কথা। কিন্তু পরে জানতে পারলাম এই ডেট ৯৮% ক্ষেত্রে সঠিক হয়না। কন্সেপশনের সময়টা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। সাধারণভাবে প্রেগন্যান্সির মোট সময়কাল ধরা হয় ৪২ সপ্তাহ।(আমাদের গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত দশ মাস দশ দিন কথাটা সত্যি!) তবে ৩৭/৩৮ সপ্তাহ পরে যেকোনো সময়ে বাচ্চার জন্ম হতে পারে। শেষের দিকে বিশ্রাম খুব জরুরী তাই আমি ঠিক করলাম ১৫ই সেপ্টেম্বরের পর ছুটি নিয়ে নেবো। আমার ম্যানেজার জানালেন ১৪ই সেপ্টেম্বর অফিসে বড় একটা ইভেন্ট, নতুন ডিপার্টমেন্ট চালু হবে। সেটা ভালোভাবে শেষ করে আমি ছুটি নিতে পারি।
(যাদের হাতে সময় নষ্ট করা মত প্রচুর সময় আছে, শুধু তারাই এটা পড়ার একটা রিস্ক নিতে পারেন। বাকিদের আগেই বিদায় জানাচ্ছি। ধন্যবাদ।)
‘’কোন জিনিস তুমি দেখছ বর্তমানে, আসলে অতীত?’’
মানুষ 'চিনতে' পারা এক বিরাট গুণ। এই বিরাট গুণের ছিটেফোঁটাও যে আমার নেই সেটা অ্যাবাকাস ব্রেন বলেই হয়ত বুঝতে জীবনের অর্ধেক পার হল। মানুষের সাথে পরিচয় হলে আমি তার যে কোন একটা বৈশিষ্ট্য মনে আঁকড়ে ধরে বসে থাকি, অন্য আর কিছু চোখেই পড়েনা। তার ফলও হয় সাঙ্ঘাতিক। একবার হা হা করে প্রাণ খুলে হাসতে পারা এক ছেলের সাথে পরিচয় হতে ধারণা হল, আহা, এমন যে হাসতে
[justify]ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলি’র সাম্প্রতিক ইস্যুতে (সেপ্টেম্বর ৩, ২০১১) শর্মিলা বসুর বই ‘ডেড রেকোনিং’ নিয়ে একটি সমালোচনা ছাপানো হয়েছে। সমালোচনার লেখক নাঈম মোহাইমেন। এর আগে একই জার্নালে একাত্তরের যুদ্ধকে ‘সিভিল ওয়ার’ তকমা দেয়ায় ব্লগমণ্ডলে কিছুটা সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন ভদ্রলোক। স্বভাবতই শর্মিলা বসুর সমালোচনা করে প্রকাশিত লেখাটা আগ্রহোপদ্দীপক।
রবির কথা
১.
ইউনি বন্ধ। রাতে একটু দেরিতে ঘুমাই। এক বাক্স ডিভিডি নিয়ে এসেছি হাফিজের কাছ থেকে, রাত জেগে সিনেমা দেখি। কালকে দেখলাম লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন। গায়ের লোম বসার চান্সই পাচ্ছিলো না। ইচ্ছা ছিলো বেলা একটার দিকে ঘুম থেকে উঠে একেবারে দুপুরের খাবার খাবো, গোসল না করেই। বিলু ছাগলটা সেই ইচ্ছার গোড়ায় পানি ঢেলে দিলো সকাল আটটার দিকে।