নীলক্ষেতের রাস্তার পাশের দোকান থেকে ‘উইজডোম অফ বোনস’ বইটা কিনছিলাম। হঠাৎ চোখ পড়ে গেল ‘ইস্পাতে’র (How the steel was tempered) ওপর। সাথে সাথে মনে প্রচন্ড ক্ষোভ জেগে উঠলো । রাগের চোটে হাতে একটা বই নিয়ে মুচড়ানো শুরু করেছিলাম। আর দোকানদার মামা না ঠেকালে হয়ত ঝাপিয়েই পড়তাম ‘ইস্পাতে’র ওপর।
প্রতিদিন দুপুর বারোটায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সুরাট কুঠির ইংরেজ অফিসারেরা বিরাট হলরুমে খেতে বসতেন লাইন ধরে। এক চাকর বদনা হাতে ঘুরে ঘুরে সকলের হাত ধুইয়ে দিত। ১৬৮৯ সালে জন অভিংটন নামে এক পাদ্রী খেতে বসেছিলেন ঐ খানাঘরে বাকীদের সাথে। ঝরঝরে চাউলের পুলাউ পরিবেশিত হয়েছিল, দানাগুলো একে অপরের সাথে লেগে ধরেনি আর তাতে মেশানো ছিল চৌদ্দরকম মশলা। টেবিলে আরো ছিল “দমপোখত”, মুর্গীর ভিতর কিসমিস বাদাম ঠেসে ভরে কড়াইয়ে ঘিতে চুবিয়ে রান্না হত এই খাবার। আরো ছিল কাবাব, নুন গোলমরিচ রসুন মাখা গরু আর খাসির গোস্ত তেলে ভাজা, যার “প্রতিটি টুকরার ভিতর মেশানো থাকত নানান মশলা।”
নানা কারণে কম্পিউটারকে আমার হিংসা হয়।
প্রথমেই যেটা ঈর্ষনীয় লাগে (অন্তত আমার কাছে) সেটা হল তার স্মৃতিশক্তি! কী বিশ্রী রকমের ভাল স্মৃতিশক্তি তার। কিছুই ভোলে না!
বেশি বেশি লেটুস খেয়ে ফেললে নাকি অনেক ঘুম পায়। ঘুমিয়ে ত্যানা ত্যানা হওয়ার অবস্থা হয়।
আমার অবশ্য লেটুস খাবার পর কখনোই সেরকম লাগেনি। তবে আমি তো আর খরগোশ না। ফ্লপসি বাচ্চারা কিন্তু লেটুসের এই ঘুমপাড়ানি প্রভাবটা থেকে রেহাই পায়নি একদম। তারা ঠিকই ঘুমিয়ে কাদা হয়ে গিয়েছিলো।
![]()
সেই গল্পটাই আজকে তোমাদের বলি।
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরি মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর!
আমার কথাোগুলো আত্মহত্যা করেছে
মৃত কথাগুলোও ফাঁসিতে ঝুলাবে,
অমানিশা কেটে গেলে!
বোবা চোখ অনেক জানে
চোখের দৃষ্টি যে কতটুকু ধারালো হতে পারে
ধূসর কুহেলি দূর হলে প্রকাশ পাবে!
এই নখের ভেতর জমে আছে পুরাতন রোদ
সেই রোদের তীব্রতা, স্নেহ, ভালোবাসার থেকেও মূর্ত
এই নখও সময়ে হতে জানে ঘোড়ার খুর!
আজ যে ছেলেটি অরব ধাবমান রোদ্দুরে
বুকে মায়া, মৌনতা চেপে, গোপন বিন্যাস লুকিয়ে
রোগমুক্তি
বাংলাদেশে স্যাটেলাইট টিভি দেখার সুযোগ হবার আগ পর্যন্ত টেলিভিশন চ্যানেল ছিল একটি। ফলে তখন রেডিও’র শ্রোতা সংখ্যা ছিল অনেক। স্যাটেলাইট টিভি আসার পর দুম্ করে রেডিও তার শ্রোতার বড় একটা অংশ হারায়। আবার এফ এম রেডিও চালু হবার পর থেকে রেডিওতে যখন নতুন গ্ল্যামার যুক্ত হয়, তখন নতুন শ্রোতা শ্রেণী তৈরি হয়। প্রথম আমলে বাংলাদেশ বেতারে (তখনকার রেডিও বাংলাদেশ) গানের ক্ষেত্রে এক ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক’ ছাড়া বাকী সময় কেবল বাংলাদেশী শিল্পীদের বা বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের গান শোনা যেত।
আগে যেখানে থেমেছিলাম
"এই দিকে এতকিছু হয়ে গেল, কিন্তু আমার ভিসা এখনও এলনা। এরি মধ্যে শুরু হল কানাডা পোষ্ট-এর অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট ও কর্মবিরতি। আমার তো পুরাই মাথায় হাত। ভিসা আসার সম্ভাবনা যাও ছিল, ধর্মঘট তার পুরাটারেই বোঙ্গা বোঙ্গা করে দিল। আমি প্রতিদিন বাসায় ফিরে মেইলবক্স খুলে দেখি, আর প্রতিদিন হতাশ হই। অইদিকে পায়ে পায়ে এগিয়া আসছে কনফারেন্সের সময়।"