পৌনপুনিক
--------------------- প্রখর-রোদ্দুর
যোগী হলে হয়তো অবিরাম শব্দটি যথার্থ হতো
তবু প্রায়; বিলক্ষণ,
রাতের নির্জনতায় বিশুদ্ধ কর্পূর জ্বলে
তপ্ত পাপের অনলে।
ঝিম ধরা কোন দুপুরে টুকরো মেঘ এলো মেলো ভাসে যেমন
একাকী চিলের দিকে তাকিয়ে -
বিলাসী অনুভব ভর করে চুলচেরা নাগরিক জীবনে।
কাকচক্ষু জলে ক্ষুদ্র পোকাদের চলাফেরায়
নিস্তরঙ্গ স্থিরতায় যৎ সামান্য ঢেউয়ের আলিঙ্গন হলেও
জাপানের এই উপকথাটা খুব আশ্চর্যরকমের সুন্দর। অনেকে বলে থাকেন আধুনিক কল্পবিজ্ঞানের গল্পের আদিরূপ এই উপকথাতেই প্রথম পাওয়া যায়। অনেকে আরো বলেন, উপন্যাস ইত্যাদির বীজও লুকানো ছিলো এই উপকথায়। এই উপকথাটির জন্য সচল ষষ্ঠ পান্ডবের কাছে ঋণী এই পুনর্কথক।
আদম গলা খাঁকরাইয়া কহিল, আমার কোন প্রকার দোষ নাই। সব দোষ ঈভের।
কারাগারের বাহিরে দাঁড়াইয়া গিবরিল বিষণ্ন বদনে কান চুলকাইতেছিল, সে কহিল, তোমাকে তো বমাল ধরা হইয়াছে আদম। একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়িয়াছ। দোষ নাই বলিয়া কি পার পাইবে?
[justify]
(১)
'যৌবন পেরিয়ে গেলে কোন এক বাদামী সন্ধেবেলা মানুষের মনে হয় এই জীবন অন্যরকম হবার কথা ছিলো।
কৈশোরের যে মহিমা- উজ্জ্বল জীবনের ছবি ভেসে উঠতো চোখে, কোথায় গেল সেই মহিমা?
মেঘলা আকাশের জোত্স্নার মতন চতুর্দিকে ছড়িয়ে থাকে স্বপ্নের শব…
মনে হয় যদি আর একবার নুতন করে জীবনটাকে শুরু করা যেত, শৈশব থেকে আবার ফিরে আসা...'
[justify]
‘ওয়াচম্যান’ সিনেমাটার শুরুতেই বব ডিলানের একটা চমৎকার গান আছে। দ্যা টাইমস দে আর আ চেঞ্জিং। সব কিছু বদলায়, সব কিছুই বদলে যাচ্ছে, সব কিছুই বদলে যাবে। পৃথিবী ঘুরবেই।
লীলেন দা আসলেন, আর চলে গেলেন, রেখে গেলেন কিছু স্মৃতি। সেই সময়ের স্মরণেই এই স্মৃতিগুলো। সংলাপগুলো সবই অলীক---
ভোটে দাঁড়াচ্ছি, দোয়া কইরেন এবং ভোট দিয়েন-
সবাই আশা করে তার সন্তানরা তাকে বৃদ্ধ বয়সে দেখবে একটু কথা বলবে, একটু যত্ন নিবে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কথাটা পুরোপুরি সত্য।
আর সন্তানরা কি আশা করে?
প্রশ্নটা করা হয় না যদিও। মা-বাবা তাদের দায়িত্ব পালন করে থাকেন, তারা খেয়ে না খেয়ে পড়ালেখার টাকা যোগাড় করেন। সকল সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করেন। বেড়ে উঠবার পথ সুগম করেন। সে এক লম্বা লাইন।
আর কি করেন?
দেশ ছেড়ে যাবার সময় বাবা-মা'র পর যাদের জন্য সবচেয়ে বেশী খারাপ লেগেছিল তারা হল আমার আলমারি ভরা বিচিত্র সব বই আর খাতা। তাদের সাথে সম্পর্কটা আমার অপার্থিব।অশেষ ঋণী আমি তাদের কাছে। ঠুলি পড়ে যাওয়া আমার চোখ দুটো তারা একদিন জলের ঝাপ্টা দিয়ে খুলে দিয়েছিল। পৃথিবীটাকে অন্যরকমভাবে ভালবাসতে শেখার প্রেরণা দিয়েছিল চিত্র-বিচিত্র বইগুলো। কত বই। কত সহস্র চিত্রকল্প। ইতিহাস। তাদের সেই আলমারির অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ফেলে
এক ধরণের চাপা আনন্দে আমার ভেতরটা সব সময় টইটুম্বুর। সোনিয়াকে বসানোর জন্য ঘর দরকার। আর্থিক সঙ্গতির সাথে মানুষের আত্মমর্যাদাও বোধ হয় বেড়ে যায়। এখানে অন্যের গলগ্রহ হয়ে থাকি। তার সমস্যা হচ্ছে; অনেক কথা আসলে আমাকে পরের জায়গায় থাকি বলে বলা না হলেও মন কেবল সে দিকেই নিয়ে যায় বারে বারে। সোনিয়ার সাথে পরিচয় হওয়ার পর ব্যাপারটা আমার পক্ষ থেকে বেড়ে গেল বেশী। আসলে বাসা নেয়ার পক্ষে মন কে তৈরী করা আর কী। তা বাসা হয়