সবার মত আমিও যখন ছোট ছিলাম, তখন বিদেশে পড়ালেখার স্বপ্ন দেখতাম। তারপর যখন এক সাইজ বড় হলাম, তখন বিদেশে পড়ালেখার পাশাপাশি আরো বেশি বেশি বিদেশ ঘুরার স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। এইভাবে বহু ভাল স্বপ্ন আর দোষীস্বপ্ন দেখতে দেখতে একদিন উড়াল দিলাম হাড্ডিকাঁপানো ঠান্ডার দেশ কা...দা...*আকিং...নাডা’র দিকে। তারপর থেকে দিনে কয়েকবার করে আল্লাহ্র কাছে মাফ চাই, কেন তুমি আমারে এইখানে আনলা। আর আনলাই যখন একটা বিদেশ
হঠাৎই কেন যেন সেদিন সেই চাষীর বলা কথাটি মনে পড়ে গেল।
প্রথম যেবার তারা ফ্ল্যাট কিনল- চারতলার দুটো ঘর; নতুন বিয়ে, নতুন চাকরী, নতুন ফ্ল্যাট। জানালা গলিয়ে একটি চড়ুই পাখি একদিন সত্যি সত্যি এসে তার মাথার ওপর বসেছিল। সাহসী সে চড়ুইকে সে তারপর অনেক আদর করে জানালার বাইরে উড়িয়ে দিয়েছে।তখনো বিকেলের ছাঁদ ভালো লাগে, মধ্যরাত ভালো লাগে, নিয়ন্ত্রণ হীন শরীর ভালো লাগে।তখনও কাগজের বিশ্বস্ততাকে ভয়ানক মূল্যবান মনে হয়। তখনও-‘ওকে না হলে আমার আর আমাকে না হলে ওর জী
বেশ কয়েক মাস হল আইভরি কোস্টে অবস্থান করছি। দেশটির সব জায়গায় না যেতে পারলেও গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং বেশ কিছু প্রত্ পূবের পথ ধরে সন্ধ্যা নেমেছে বেশ আগেই। পূবের আকাশ ধরেই পাখিরা ফিরে গেছে ঘরে। কিংবা যারা অন্যদিকে থাকে- সেই বকের সারিরা, একলা শালিক- সবাই ফিরে গেছে। ডানাগুলো এখন হয়তো জুড়িয়ে নিচ্ছে সবুজের নিভে যাওয়া ছায়ায়। ভাসান বেলা এইতো শেষ হল বলে। বালকেরও ফেরার কথা ঘরে এসময়- সাথে করে আজন্ম উড়া উড়ির সাধ নিয়ে পোষা ঘুড়ি। অদ্ভুত আঁধার নেমে গলি-ঘুপচি খুঁজে নেয়ার আগেই খুঁজে নিতে হবে নিকনো উঠোন- কেরোসিন বাতি
[justify]সময়টা জুন মাস, ২০০১ সাল। কলেজে পড়ি তখন। আমরা চার বন্ধু আর আমার এক কাজিন রাজশাহী থেকে বাসে চেপে বসেছি, উদ্দেশ্য হল তাদেরকে স্বচক্ষে একটি বিশেষ জিনিষ দেখানো। গন্তব্য চাঁপাই নবাবগঞ্জ, আমার দাদার বাড়ি!

কোন এক মনোহর বৈকালের ঘটনা, হ্যাঁ; ঠিক কবেকার সংযোগ তাহা মনে নাই। তবে সেই দিনটি বড্ড মনোহর ছিল। আমাদিগের সহিত ঠেলাকাকার পরিচিতি ঘটিয়াছিল তাহা স্মৃতির পাতা ঝাড়িয়া বাহির করিতে পারি না আপাতত। তবে দিনটি মনোহর ছিল উহা মনে করিতে পারি। কেননা কাকার কুষ্ঠির নাম মনোহরপ্রসাদ বিশ্বাস এবং পরিচিতিকালে কাকা ঐ নামেই নিজের গুণকীর্তন করিয়াছিলেন। তবে সামান্য কাল অতিবাহিত হওয়ার পর কাকা আমাদিগের আড্ডায় থিতু হইলে স্কন্দ
পর্ব ৫