[justify]
।।১।।
ইচ্ছে ছিল সচলায়তনের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটা লেখা দিব। বেশ কিছু লেখা শুরুও করেছিলাম। আশা ছিল কোনো একটা লেখা জুলাই মাসের এক তারিখের আগেই শেষ করতে পারব। কিন্তু লেখালেখি যেমন অভ্যাসের ব্যাপার ঠিক তেমনি লেখালিখি না করাও একই রকম অভ্যাসের ব্যাপার। কয়েক সপ্তাহ না লিখলে মনে হয় – কি দরকার আর এতো ঝামেলার? আর আরেকটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, লিখতে বসলেই ঘাড়ে ব্যথা শুরু হয়। অন্য সময়ে কম্পিউটারের সামনে বসলে কোনো সমস্যা হয় না, শুধু সচলের জন্য লিখতে গেলেই এই সমস্যা। এই বিষয়ে কৈরি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে মনে হয়।
বৃষ্টিতে যখন ডুবে যাচ্ছিলো চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান সর্বত্র...
বাড়ছিলো মৃতের সংখ্যা...
তখন কেবলই মনে হচ্ছিলো কেমন আছে দুরন্ত দুষ্টু থুই হ্লা খিয়াং? কেমন আছে মাতৃময়ী মেরী? দিপালী, মাইকেল, সোহেল, আশিক, সিমসন, ব্যানসন, উ মং খিয়াংরা?
ভয়ার্ত না হলে মায়ের খনখনে গলার আওয়াজ কোনোদিন ভাঙেও না ফাঁটেও না। বামহাতের উল্টো পিঠ দিয়ে পাছার ঢাল থেকে ঘষটে লুঙ্গিটা কোমরের খাদ পর্যন্ত উঠিয়ে চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে ক্যারমের রেড খাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে কানে এলো মায়ের এই চিৎকার- কু...মিকই...ই...ইর... রন... জকও...ওকও...ওন... শি...লাকআ...আ...আ...
গত এক যুগ ধরে সঞ্জয়ের সেলুনে চুল কাটাই। এই লম্বা সময়ে চুল কাটানোর চার্জ বেড়েছে চারগুণ, কিন্তু সঞ্জয়ের বয়স যেন বাড়েনি। ঠিক একই রকম আছে গত বারো বছর ধরে। সেলুনের দেয়ালে ঝুলছে সঞ্জয় হেয়ার ড্রেসিং সেলুনের পুরনো ক্যালেন্ডার, ২০০৮ সাল, তাতে বড় করে সঞ্জয়ের ছবি আর গোল্ড স্টার শেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপন। সঞ্জয়ের সেলুনে আরো ৪ জন কাজ করে, এরা বয়সে সদ্য কৈশোর-উত্তীর্ণ তরুণ। কাজের মাঝে তারা অনবরত কথা বলে, খুনসুটি ক
- কাল রাতে তোর বউকে স্বপ্নে দেখলাম
ভুরু কুঁচকে মতিন সোজা হয়ে বসে। রনি হারামজাদার ভাবগতিক বোঝা মুশকিল।
- আহা, ঐরকম চোখ পাকিয়ে তাকাচ্ছিস কেন? স্বপ্ন দেখাটা কি দোষের কিছু নাকি? নাকি স্বপ্ন দেখলেই দোষ হয়?
মতিনের টান পরা পেশীগুলো সামান্য সহজ হয়। তবে তারপরও সন্দেহের দৃষ্টিতে রনির দিকে তাকিয়ে থাকে। সন্দেহ হবারই কথা।
-দেখলাম আমি আর ভাবী ...
মতিনের পেশী আবারও টান টান, দৃষ্টি তীক্ষ্ণ।
[justify]কদিন আগেই কনফারেন্সের বাহানায় সদ্য ঢোকা অফিস থেকে গাদা-খানিক ছুটি বাগিয়ে নিলাম। এইবারের গন্তব্য ছিল স্টকহোম। আমার বন্ধু রঞ্জু ওখানেই থাকে, ওকে জ্বালানোর এই মারাত্মক সুযোগ হাতছাড়া করাটা ভীষণ অন্যায় হয়ে যেত। যাবার আগেই আর এক দোস্তকে অনলাইনে জ্বালিয়ে মারলাম যেন স্টকহোমে এসে আমার সাথে যোগ দেয়। অবশেষে আমার ক্রমাগত ঘ্যনঘ্যন প্যনপ্যান সহ্য না করতে পেরে ইতালি থেকে স্টকহোমে উড়ে চলে আসব
গরু, নৌকা ভ্রমণ, আমার জীবনের লক্ষ্য, বনভোজন, সময়ের মূল্য, প্রিয় ঋতু এরকম আরও কত কি। এগুলো খায় নাকি মাথায় দেয় ? এমনটি মনে হবার কথা নয়, কারণ ছোটবেলায় এইসব রচনা কে পড়েন নাই একটু হাত তুলেন তো দেখি।
বাপ-দাদাদের মুখে শুনে আর পেপার পত্রিকা পড়ে জেনেছি আগের দিনে আবাহনী মোহামেডানের খেলা হলে নাকি সারা দেশে ফুটবলের অন্তত কিছুও যারা জানে তারা নাকি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যেত। খেলার সপ্তাহখানেক আগে থেকে চায়ের টেবিলে, দোকানের বেঞ্চে, স্টেডিয়াম পাড়ায় চলত ম্যাচের গবেষনা আর ম্যাচের পর সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরে চলত ম্যাচের পোস্টমর্টেম। এখনকার প্রজন্মের খুব কম ছেলেমেয়েই আছে যারা বাংলাদেশের ফুটবল তথা ঘরোয়া ফুটবলের কোন খোজখবর রাখে। জানি না সুদূর ভবিষ্যতে এমন দিন আসবে কিনা যখন তরুন ছেলেমেয়েরা আদৌ বিশ্বাস করবে আমাদেরও একটা ফুটবল ঐতিহ্য ছিল এবং সালাহউদ্দিন, সালাম মুর্শেদী, আসলাম, কায়সার হামিদ, সাব্বিররা একেকজন এমন সেলিব্রেটি ফুটবলার ছিলেন যাদের খেলা দেখতে তো বটেই প্র্যাকটিস দেখার জন্য পর্যন্ত মাঠে ভীড় জমত।
আমি ফুটবলবোদ্ধা নই। আমি খুব সাধারন একজন ফুটবলপ্রেমী। পত্রপত্রিকার মাধ্যমে দেশের ফুটবলের নিয়মিত খোজখবর রাখার চেষ্টা করি। আমার কাছে মনে হয় আমাদের ফুটবল একটা গন্ডি থেকে কেন যেন বের হতে পারছে না। দশ বছর আগে যে অবস্থায় ছিল এখন তার থেকে উন্নতি তো হয়নিই বরং আরো খারাপ হয়েছে। যদিও সেই ছোটবেলা থেকে হোমড়াচোমড়া কর্মকর্তাদের মুখে শুনে আসছি অচিরেই বাংলাদেশের ফুটবল এশীয় মানে পৌছাবে। আমি একজন খুব সাধারন দর্শক বা সমর্থক হিসেবে চিন্তা করি আমাদের ফুটবলের এই হাল কেন। খুব গভীর গবেষনায় না গিয়ে সাদামাটা কথায় আমি কিছু চিন্তাভাবনা তুলে ধরি। সচলায়তনে দেশের অনেক সমস্যা নিয়ে অনেক লেখা নিয়মিত আসে। সেই তুলনায় এই বিষয়টি সামান্য। তবে এটাও ঠিক যে খেলাধুলাই একমাত্র জিনিস যা আমাদের পুরো জাতিকে একসাথে হাসাতে পারে অথবা একসাথে কাঁদাতে পারে। আর আমাদের যে একটা ফুটবল ঐতিহ্য ছিল যা এখন মূমুর্ষ অবস্থায় আছে সেটা তো অস্বীকার করার উপায় নাই।
প্রিয় দেবযানী,
তোমাকে আমি দেবীর মতো ভক্তি করলেও রাজনীতি নিয়ে তোমার সাথে তর্কগুলো ঝগড়াতে পরিণত হয় বলে সেপথে আমি যাই না। তবু তুমি সেদিন খামাকা তর্ক করছিলে বলে আজকে আমি উইকিপিডিয়া ঘুরে জেনে আসলাম মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৬ বছর বয়সে ইন্টার পাশ করেছিলেন। বিশ্বাস না হলে লিংক দেখো। উনি জন্মেছিলেন ১৯৩৬ সালে, কলেজ পাশ করেছেন ১৯৫২ সালে, কাকুলে জয়েন করেছে ৫৩তে। বিশ্বাস হয়?
তবে উইকি জীবনীটায় কিছু মজার তথ্য আছে। আছে কিছু মিথ্যা আর অসঙ্গতি। ইতিহাসের স্বার্থে কোন সদাশয় ব্যক্তি এগুলো শুদ্ধ করে দেবেন বলে আশা করছি। আমি সামান্য কয়েকটা তুলে ধরছি তোমার অবগতির জন্য।