মণিপুরীদের নববর্ষ উৎসব আয়োজনের পাশাপাশি মণিপুরী থিয়েটার একটা নাট্যোৎসব করতো। সেবার অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল। আলোচনা-টনা হয়ে যাবার পর দর্শকদের সাথে অতিথিদের একটা কথোপকথন পর্ব ছিল। অনেক কথাই হলো, এক পর্যায়ে ১০-১২ বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে উঠে দাঁড়ালো অধ্যাপক আনিসুজ্জামান-কে একটা প্রশ্ন করতে। মেয়েটি নিজেকে সম্ভবত ক্লাস ফাইভ বা সিক্সের ছাত্রী বলে পরিচয় দি...
স্বপ্রণোদিত বায়োগ্যাসে উর্ধ্বমুখী বেলেহাজ ফানুশে
অসাড় আসমানে আত্মরতিতে বিস্রস্ত তোমরা যারা
মাটিকে ভালোবাসা আমাদের ত্যক্ত করছ অবিরাম
পুঁজ, মুত্র আর থুথুর প্রস্রবনে
শুনে রাখো কান পেতে
তোমাদের টেনে মাটিতে নামাতে
আমাদের বাউয়া হাতের গুলতিই যথেষ্ট
বদখত দাসখতের উলঙ্গ নাকখতে
বুগিউগি নৃত্যের উদ্বাহু ডিগবাজিতে
আমাদের ঘোল খাওয়ানোর অলীক
আত্মম্ভরী খোয়াবের বিভ্রমে মত্ত যারা
ম...
গত শীতে জমিয়ে রাখা কিছু তুষার
এই গরমে উল্টে-পাল্টে দেখতে গিয়ে
শিরাওঠা লাল চোখে উড়ে এলো ধোঁয়া
উড়ে এলো সকালের একগ্লাস দুধ
উড়ে এলো নবারুণ-শিশু।
এয়াব্বড় চোখ মেলে শিশুপার্ক-নিউমার্কেট
জলরঙে জ্বলজ্বল ব্যাট-বল-ফুটবল
একুশের ময়দান থেকে বুকে চেপে একগাদা বই
এরই মাঝে উঁচু হয়ে মহীরুহ কোন
বিষন্ন সব রাস্তায় ছায়া দিয়ে যায়।
জনমানুষের ভীড়ে ইদানীং দূরাগত এইসব ধোঁয়া,
পুরানো বইয়ের পৃষ্ঠা আর...
প্রেস জোকস-১
প্রেস জোকস-২
প্রেস জোকস-৩
গণমাধ্যমে প্রায়ই মজার মজার কিছু সত্যি ঘটনা ঘটে। এ সব কখনো কখনো প্রচলিত হাস্য কৌতুককে হার মানিয়ে দেয়। আবার এসব প্রেস জোকসের নেপথ্যে থাকে কষ্টকর সাংবাদিকতা পেশাটির অনেক অব্যক্ত কথা। এমনই কিছু বাস্তব ঘটনা নিয়ে এই 'প্রেস জোকস' পর্ব।
ইত্তেফাকীয় সমাচার
পাকিস্তান আমলের কথা। পুনর্গ...
এই যে, শুনুন। কেমন আছেন?
বাড়ির সবাই ভাল তো?
আমার কী নাম?? না না ঠিক আছে.
রং টা একটু কালো তো,
তাই বুঝি যায় ভুলে সবাই,
It's Ok ভাই, মাইন্ড করি নাই!
আপনার বুঝি অফিসের তাড়া?
বাহ, ঘড়িটা তো বেশ নজর কাড়া!!
মোবাইল আছে? অফিসের দেওয়া!!
অফিসের গাড়ি করে আনা নেওয়া!!
সত্যি মশাই, ভাগ্য বটে
নইলে কি আজ সাক্ষাৎ ঘটে!
দিন তো দেখি মোবাইল খানা,
ঘড়িটা খুলুন, কথা বলা মানা!
আশেপাশে আরও বন্ধুরা আছে
সব দে ব্যাটা আমার কাছ...
তখন ডানা হয়নি তবু উড়ি। আকাশে - বাতাসে না উড়তে পারলেও রঙ্গিন সময়, সেই সময়ে ভাবনায় ভালোলাগায় উড়ি। মন খারাপ কি বুঝি না। মন যে কি তাও বুঝি না। স্কুল ফাঁকি। ক্রিকেট মাঠ... এই সব এর নাম-ই জীবন। বাবা-মা, ভাই-বোন এর বাইরে যে আরো জীবন আছে শেখা হয় নি তখন। বাবা'র সাথে সারাক্ষণ থাকতাম! অনেকে এখন বলে আমি না কি খুব যন্ত্রণা দিয়েছি আব্বুকে। আমি কি আর বুঝতাম তখন, যখন বুঝলাম তখন কেনো নেই? আমার নিয়তি যে এই। আ...
আনোয়ারা সৈয়দ হক সম্ভবতঃ পেশা পরিচয়ে ‘মনোবিজ্ঞানী’ লেখেন। তাঁর কিছু উপন্যাসকেও ‘মনোবিশ্লেষণধর্মী’ উপন্যাস বলা হয়। আমার কাছে আনোয়ারা সৈয়দ হক অন্য কারণে মনে রাখার মতো নাম। প্রথমতঃ ১৯৯৩/৯৪ সালে ‘শিশু’ পত্রিকায় তাঁর লেখা দূর্দান্ত একটি গল্প পড়ি। গল্পের নাম ঠিক মনে পড়ছে না, তবে কাহিনী এরকম – এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলের আত্মকথন। তার বাবার মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে আর ফিরেনি। সে যখন বড় হয় তখন এ...
দিনে দিনে মূল্য বিনে,
সে যে আমায় নিল কিনে...
এ মনে যতন করে বিফল প্রেমের বীজ বুনেছে হায়
বিনা কারনে...
হায়রে...এরকম গান যদি কেউ আমার জন্য কখনও গাইত...ভেবেই খালি আফসুস খাই...আমরা মোটামুটি কাছাকাছি বয়েসের চার খালাতো বোন, আররা সবাইই গান পাগলা, আর আমাদের চার জনেরই মনের গোপন একটা ইচ্ছা যে আমাদের বর আমাদের গান শুনাবে...একজন তো বলেই বসেছে যে যত ঝগড়াই হোক না কেন শ্রীকান্তের মত এমন মসৃন গলায় যদ...
মণিকা রশিদ
এখানে থাকবো কেন, এখানে কী আছে!
আমার সাঁতার আমি রেখে এসেছি
জন্মদাতা, পিতামহী, করবীর কাছে!
আমার কৈশরে তুমি নির্মোহী বালক
একা রেখে চলে গেলে ইলিশ শিকার
এখন যৌবনে এই ক্লান্ত অবেলায়
একা একা গুনে চলি পিছের পালক।
আমার রোমাঞ্চ পলি ভুলেভরা ক্ষেতে
পায়ে দলে চলে গেল শব্দ অবরোধ
এখন প্রবল ক্ষরা, হুতাশে মাটির
পার্বত্য সীমান্ত কর্ষি প্রচন্ড আক্ষেপে।
বাগানের রোদ দিচ্ছে শান্তি...
আমরা বাবা আর মাকে আব্বা আম্মা ডাকতাম এবং সে ডাকে বুকের ভেতর পরম এক সুখ অনুভব করতাম। আজো করি। আজ আমার সাদাসিদা আব্বাকে খুব মনে পড়ছে, সে কথাই বরং লিখি।
আব্বার সাথে আমাদের সব ভাই-বোনের দূরত্ব বজায় রাখা সম্পর্ক ছিল। এর জন্য হয়তো আব্বার ট্যুরের চাকরি দায়ী ছিল। চাকরির কারণে তাঁকে মাসের বেশির ভাগ দিন আমাদের থেকে দূরে কাটাতে হতো। সন্তানদের থেকে দূরে থাকতেন বলে হয়তো তিনি নিজেকে কিছুটা অ...