রোজার মধ্যে ইফতারির ছবি না তুললে কেমনে কি? এই কথাটা আমি এই বৃহস্পতিবার রাতে চিন্তা করলাম। মহামতি ওডিনের পরীক্ষা শেষ। ওনার তাই সময়ের অভাব নাই। আলোচনা করে ঠিক করা হলো শুক্রবার বিকাল চারটায় আমরা চকবাজার যাবো। ইফতারি করতে নয়, ছবি তুলতে!
সাইকেল পর্ব
হঠাৎ হাওয়ার শব্দ এমনভাবে ঝাঁপিয়ে আসতে লাগল যে অয়ন ভড়কে গেল। উল্টো দিক খেকে বয়ে আসা প্রচণ্ড বাতাসে সাইকেলের প্যাডেল ঘোরানো এ মুহূর্তে বড্ডো কষ্টের কাজ হয়ে দাড়িয়েছে তার উপর যখন তখন বজ্রপাতের শব্দে কানে একদম তালা লেগে যাচ্ছে।
নির্দিষ্ট সময়ের কিছুক্ষণ আগেই সেলফোনে টুংটুং শব্দ। ক্ষুদে বার্তার আগমন। ও জানে কি আছে সেখানে। তাই আর কষ্ট করে পকেট বন্ধী বার্তা দেখার কোন আগ্রহ দেখা যায় না ওর ভেতর। দেরী না করে বাইকের চাবি ঘুরিয়ে গন্তব্য স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। অনেকদিন থেকেই অপেক্ষা করছে এই দিনটির জন্য।
রাধারমণের গান আমার খুবই প্রিয়। মাঝে মাঝে আমাকে রাধারমণের ভূতে পায়। আর ভূতে পাওয়া মানুষ কত কি করে, কত কি ভাবে। গানগুলো শুনতে শুনতে মনে কত কথা উঠে।
আটক লোকটা উদাস হাসে।
আর দারোগা কিংকর্তব্যবিমূঢ় চৌধারির মেজাজটা কেবল গরম হয়।
#বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই বিকট শব্দে ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরিত হলো আগুনের ঝিলিক মেখে আর সমস্ত এলাকা অন্ধকার হয়ে চাঁদের আলোকে বরণ করে নিলো। চাঁদ তখনো পূর্ণ বিকশিত হয় নি। জ্যামিতিক অর্ধবৃত্তের মতো আকাশের গা বেয়ে ঝুলছে। এই ঘুটঘুটে অন্ধকারে চাঁদটিকে এক বিষণ্ণ তরুণীর কপালের সাদা টিপের মতো লাগছে। সমস্ত অন্ধকার একটি বিন্দুতে মিলে গিয়ে তৈরী করছে অপার্থিব কোনো এক জাদুকরী দৃশ্য।
ন্যাভিস্টার একটি ট্রাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বাজারে মূলধণ সাড়ে তের বিলিয়ন, কর্মী সংখ্যা প্রায় একুশ হাজার (সুত্র)। প্রতিষ্ঠানটি গত প্রায় দশ বছর ভালোই করছিলো। কিন্তু কপালে সুখ বেশী দিন সহ্য হলো না।
১৩. নুনখাওয়া ইউনিয়নে ঢোকার রাস্তাটা বেশ সরু। মাঝখানে আবার একটি কালভার্ট ভেঙ্গে আছে। কিছুক্ষণ আগেই বৃষ্টি হয়েছে, রাস্তার অবস্থা যাচ্ছেতাই। এক ভ্যানওয়ালাকে অনেক অনুরোধ করলাম, পাত্তাই দিলো না! আগেরদিন এরকম রাস্তায় বাটার জুতা পায়ে দিয়ে বেড়াতে গিয়ে নাকাল হয়েছি, রাতে কুড়িগ্রাম ফিরে ২৯০ টাকায় জুতা কিনলাম-বাটা, রবারের জুতা! তারপরও কয়েকবার মনে হলো আছাড় খেতে খেতে বেঁচে গিয়েছি; অথচ ছোটবেলায় এর চেয়েও কঠিন রাস্তা দাবড়াতাম খালি পায়ে! শহর আর গ্রামের মানুষের ফারাকগুলো এরকম ছোট ছোট, কিন্তু পরিমাণে অনেক।
রমজান আসতেই পর্দা পুষিদা বেড়ে গেছে।
বিটিভি এবং এটিএনের সংবাদ পাঠিকার মাথায় ঘোমটা উঠেছে। ঘোমটা টেনেছে রাস্তার পাশের দোকানগুলো। হাড্ডি জিরজিরে শরীরের শ্রমজীবি মানুষ কলা পাউরুটি পানি খেয়ে তাঁবুর ভেতর থেকে বেরুচ্ছে। ঘামে লেপ্টে যাওয়া শার্টের জীর্ণ শার্টের বোতাম খুলে রিক্সায় প্যাডেল মারছে। মিরপুর দশ নম্বর গোলচক্কর থেকে ১১ নম্বরের দিকে যেতে ফায়ার সার্ভিসের পাশের ফুটপাথ।
পুরনো বইয়ের ভ্রাম্যমান দোকান।