২৫ মে কি শনিবার ছিল?
জানিনা কী লিখবো; ভয়ানক কষ্ট হচ্ছে আসলে। একজন দীর্ঘদেহী প্রানবন্ত মানুষের হাসপাতালে জীবন্মৃত্যর সন্ধিক্ষণে শুয়ে থাকার দৃশ্যটা চোখের সামনে সব ঝাপসা করে দিচ্ছে বার বার!
সচলদের মধ্যে আমার ব্যক্তিগত আলাপ সবার আগে সিমনের সাথে। ফেইসবুকে এড করেছিল। ২০০৯ এর দিকে প্রথম ব্লগ চিনি আমি।
[justify]বাবাইর তখন তিন বছর। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি। ২ অথবা ৩ তারিখ হবে। শুদ্ধস্বর-এ বসে আমরা আড্ডা দিলাম। তারপর জ্যোতি, তারেক, আমি, তুলি, টুটুলভাইসহ কয়েকজন একসাথে বই মেলার পথ ধরলাম। আজীজ মার্কেট এর সোজা উল্টাদিকে রাস্তা পার হয়ে যাদুঘরের পাশের ফুটপাথে উঠতেই দেখি মন্থর গতিতে হাঁটছে, দেখে খুশি হবার বদলে আমার মুখটা শুকিয়ে গেলো। কারণ ঢাকায় যাবার কথা জানানো হয়নি। তার উপর সাথে বাবাইকে নিয়ে গেছি।
সিমন একদিন অফিস ফাঁকী দিয়ে শাহবাগে মিছিল করছিলো, যতদূর মনে পড়ে টিভি ফুটেজে সেটা দেখে তার অফিস তাকে তিনদিনের একটা শাস্তি দিয়েছিলো। তিনদিন তার অফিসে যাইতে হয় নাই। সেই তিনদিন সে প্রায় পুরোটা সময় শাহবাগ আন্দোলনে ছিলো। (তখন তার অফিসকে গালি দিলেও সিমনের সড়ক দুর্ঘটনার পর তার অফিস যেভাবে তার পাশে দাঁড়িয়েছে... তা অকল্পনীয়। সিমনের অফিস কর্তৃপক্ষকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি)
সিমন এর ফোনটা পাই কালকে সন্ধে সোয়া আটটায়, স্ক্রীনে ওর নাম আর ছবি ভেসে উঠেছিলো, কিন্তু হ্যালো বলার সাথে সাথে অপরিচিত কে যেনো হড়বড় করে বলতে থাকে, এই নাম্বার যার তাকে কি আপনে চিনেন? আপনার কে হয়? বললাম, আমার ভাই হয়। ক্যান কি হইছে? লোকটা জিজ্ঞেস করে- আপন ভাই? বললাম- হ্যা আপন ভাই। কি হইছে বলেন। -
একটা অ্যাম্বুলেন্স নিয়া কারওয়ান বাজার চলে আসেন। তাড়াতাড়ি।
২৭ মার্চ, ১৯৭১
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ
সম্পাদকীয়
জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলমান রাষ্ট্র পাকিস্তান নিয়ে অনেকদিন ধরে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা আজ বাস্তবে পরিণত হল; পাকিস্তানের দু’অংশ গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।
[justify]ছেলেটির নাম সান্তিয়াগো। ভেড়ার পাল নিয়ে যখন সে পরিত্যক্ত গীর্জার কাছে পৌঁছালো তখন গোধূলীর আবছায়া নেমে এসেছে চরাচরে। কালের আঁচড়ে জীর্ণ গীর্জার ছাদ ধ্বসে পড়েছে অনেক আগেই। এককালে যেখানে তোষাখানা ছিল, এখন সেখানে সগর্বে মাথা ঊঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে একটি সুবিশাল সাইক্যামোর গাছ।
[justify]রুমটায় খুব অস্বস্তি হচ্ছে আমার। যেন এখানে কিছু একটা অশুভ ব্যাপার আছে, যেন কেউ এ রুমটাকে কোন এক অভিশাপ দিয়ে গেছে। গা গুলানো একটা ভাপসা গরম এখানে, যেন এক টুকরো নরক। ছাড়াছাড়াভাবে কিছু স্মৃতি মনে পড়ল আমার। গত কদিন ধরে নতুন ধরনের এক হতাশায় ভুগছি আমি। জীবনের অর্থ, বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয়তা, মহাবিশ্বের অপার বিশালতা- এসব বড় বড় ব্যাপার নিয়ে ভাবার চেষ্টা করছিলাম আমি। এক সময় বুঝতে পারলাম য
গতকাল সচল সিমন সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। বাসে চড়তে যাচ্ছিলেন, হেলপার তাকে ঠেলে ফেলে দেয়, তারপর বাস তাঁকে পিষে চলে যায় গন্তব্যের দিকে। সিমনকে গন্তব্য পাল্টে চলে যেতে হয় হাসপাতালে, যেখানে তাঁকে নিয়ে লড়ে যাচ্ছেন ডাক্তাররা। আমি চিকিৎসকদের ওপর আস্থা রেখে সিমনকে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসতে দেখতে চাই।
অল্প পাজি বস্রা যারা, একটু রেগে নাম কেনে,
দুচার দিনেই আমরা সবাই, ধাতটা তাদের যাই জেনে।
অল্পে রাগে, অল্পে চেঁচায়, হয় সে খুশি অল্পেতে,
চা, সিগারেট, মুভির টিকেট, তেল লাগানো গল্পেতে।
তারেই বলি অল্প পাজি, আসল পাজি দেখবে কে?
(দশ দিনেতে ফেলবে পাতা, সেই বসের-ই রূপ দেখে।)
চেঁচায় না সে যখন তখন, রাখবে সে যে রাগ পুষে,
অ্যাপ্রাইজালের সময় এলেই, নেবে সবার খুন চুষে।