Archive - 2018 - ব্লগ

June 6th

আত্মগীতি [১–১৩]

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: বুধ, ০৬/০৬/২০১৮ - ২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জর্জ সান্টায়ানার অনুবাদের পরের কিস্তিটা এখনো শেষ করে উঠতে পারিনি। এই ফাঁকে আগে করা হুইটম্যানের ‘সং অফ মাইসেল্ফ’-এর একটা অনুবাদ দিচ্ছি। প্রথম ১১টা সেকশন আমার সাইটে রেখেছিলাম, এখানে আরো ২টা যোগ করে মোট ১৩টা সেকশন প্রকাশ করলাম। সৈয়দ আলী আহসান এটা অনুবাদ করেছিলেন, কিন্তু আমার এখনো পড়ার সুযোগ হয়নি। আমি অনুবাদটা করছি


June 3rd

মঞ্জু সরকারের 'অন্তর্দাহ' : মুক্তিযুদ্ধের কুৎসিততম উপন্যাস

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ০৩/০৬/২০১৮ - ১:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিদগ্ধজনের প্রশংসা এবং মলাটের উপর বাংলা একাডেমি পুরস্কারের সিল দেখে এক পাঠক বইটা পড়তে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা উপন্যাসটির যাত্রা শুরু হয় একাত্তরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সম্মুখভাগ থেকে। প্রধান চরিত্র মানিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টগবগে তরুণ ছাত্র। পিতা গ্রামের প্রভাবশালী আওয়ামী নেতা। মানিক ভিড় ঠেলে বঙ্গবন্ধুকে এক পলক দেখে উজ্জীবিত হয় কিন্তু ৭ মার্চের ভাষণের পর দেশে গণ্ডগো


মোহন মিয়ার অসুখ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৩/০৬/২০১৮ - ৮:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক।।

রাত একটা বাজতেই মোহন মিয়ার চায়ের তেষ্টা পায়। তবে তেষ্টা পেলেই তো আর উঠে যাওয়া যায় না, সব কিছুরই একটা নিয়ম রয়েছে। বিরক্ত মুখে কী বোর্ডের দিকে হাত বাড়ালেন তিনি। টেবিলের উপর একগাদা বই, কিছু খবরের কাগজ, একটি কালির দোয়াত, আর দোয়াতের পাশেই রুপোর মতো ঝকঝকে একটা পার্কার কলম পড়ে। মোহন মিয়া পুরনো দিনের মানুষ, টাইপ করার আগে একবার কাগজে না লিখলে তাঁর চলে না।


June 1st

লক্ষ্মী সরস্বতী দীপাবলী

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: শুক্র, ০১/০৬/২০১৮ - ৫:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]দক্ষিণের জানালায় দাঁড়ালে হিমেল হাওয়ার ঝাপটা লাগে। শীত এলো বলে। আগে এমন সময় শীত প্রায় চলেই আসতো। দূর্গা পূজার সময় থেকেই হালকা কুয়াশা আর শেষরাতে ঠান্ডা ভাবটা শুরু হতো। রাতে পূজো দেখার কিংবা পাড়া ঘুরার সময় সেটা টের পাওয়া যেতো। এখন আর সেরকম হয় না। মাঘ মাসেই শীত আসে কী আসে না।


প্রতিদ্বন্দ্বী বন্ধু কর্কট রাশির বরকত কবি (অপেঃ)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০১/০৬/২০১৮ - ৫:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেদিন বাড়ির অদুরেই
দেখা হয়ে যায় প্রতিদ্বন্দ্বী বন্ধু কর্কট রাশির
বরকত কবির সাথে, তবে সে
অপেশাদার।
কুশলাদি জানতে চাওয়ার আগেই সে উল্টিয়ে কলার
আমায় বলে, হেরে গেলে ভন্দু।

বিস্ময় ও গোসসায় আমি হয়ে উঠি কাতর
কিন্তু আমায় নিজের পক্ষ সমর্থনের কুন সুযুগই দেয় না নিষ্ঠুর
অপেশাদার কবিটি। বলে, পপিতা এখন আমার ফ্রেন্ড।

হয়ে যাই ভাষাহারা। নায়িকা পপিতা? অস্ফুটে শুধাই


নৈরঞ্জনা(৩)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ০১/০৬/২০১৮ - ১:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৩। ভোর ভোর গন্তব্যে পৌঁছল বাস। আমি শেষরাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আবার । হঠাৎ শুনি ঝাঁকুনি দিয়ে কে যেন ডাকছে, "আবীর, আবীর, ওঠো। পৌঁছে গিয়েছি আমরা।"
কুয়াশাজড়ানো স্বপ্নের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসি ঝাঁকুনি খেয়ে, কাশ্মীরা আমাকে ডাকছে। জেগে দেখি বাস পৌঁছে গিয়েছে। ঘুমভাঙা চোখে যাত্রীরা সব হাই তুলতে তুলতে চোখ ডলতে ডলতে জিনিসপত্র গুছিয়ে নামছিল। আমরাও।


দম

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/০৫/২০১৮ - ১০:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জীবনেরা হাসপাতালে আইসা বড়ো অদ্ভুত টিটকারি মারে
ন্যাড়া ন্যাড়া ডালে পাতা নড়ে; কেউ বলে নাই তবু নড়ে; বেহুদাই
খামাখাই পাখি উড়ে
কোনো কাম নাই তবু গাভিন লেঙ্গুড় নিয়া মৌমাছি ঘোরে
গাড়িরাও ফুটাঙ্গি করে; জানালার বাইরে; অযথাই…

অথচ ভিতরে কত মহাজন ওষুদের হাতে পায়ে ধরে- কিঞ্চিৎ চাগায়ে দাও;
আরো কিছুদিন খাইয়া হাগার মতো বহুত দরকারি কাম পড়ে আছে মোর…
২০১৮.০২.১৬


May 31st

“মায়ের দোয়া”র শিকড় সন্ধানে : তৃতীয় পর্ব

সোহেল ইমাম এর ছবি
লিখেছেন সোহেল ইমাম [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/০৫/২০১৮ - ৪:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের সেই আদিম যুগের সমাজেও জন্মদানের সাথে পুরুষদের সম্পর্ক আবিস্কৃত হয়নি বলেই মা’ই সব সম্পর্কের কেন্দ্রভূমি হয়ে দাঁড়ায়। বংশধারা মায়ের সূত্রেই প্রবাহিত হতে থাকে। পিতা সম্পর্কিত কোন ধারণাই সে সময় জন্মাবার কথা নয়। সমাজের নেতৃত্ব পুরুষের হাতে থাকলেও সন্তানের রক্ত সম্পর্কিত অধিকারটা মায়ের সাথেই ছিলো। তাছাড়া নারীর সন্তান জন্মদানের ঘটনাতেও নারী বিশিষ্ট হয়েছিলো। পুরুষরা আরেকটা মানুষ সৃষ্টি করতে পারেনা ক


মেঘদূত: ১: প্রাক কথন

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/০৫/২০১৮ - ৩:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই গল্পটি আপনাদের জানার কথা ছিলো না। আমারও ছিলো না। এই গল্পটি যার জীবনের, সে কখনও এই কথা কাওকে বলে নি। কোনদিন কেউ জানুক, তা সে কখনও চায় নি। এই কথাগুলো সে রেখে দিয়েছিল, গহীনে, বুকের অতল অন্ধকারে, যেখানে বাইরের আলো কখনও পৌঁছায় না। তার ইচ্ছে ছিল, সে বুকের ভেতরে কথা জমিয়ে মুক্তো তৈরি করবে।আপনারা জানেন তো নিশ্চয়, কথারা জমে জমে মুক্তো দানা হয়। সে ঝিনুক হয়ে ভেবেছিল, অনেকগুলো মুক্তো জমা হলে তা দিয়ে এই পৃথ


চুকচুকি

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/০৫/২০১৮ - ৬:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“তোমাদের তুমি করেই বলি, নাকি?” করমর্দনের সময় টের পেয়েছি, ভদ্রলোকের কব্জিতে সেরকম জোর, কিন্তু তাঁর কণ্ঠটি বড় মোলায়েম আর সুরেলা। জমিদার বংশের লোক, আলিশান প্রাসাদের মতো বাড়ি হাঁকিয়ে থাকেন এই ধুধু পারাবারের মাঝে, হয়তো অবসরে মুগুর আর তানপুরা দুটোই কষে ভাঁজেন। গদোগদো গলায় প্রায় সায় দিয়ে ফেলছিলাম, কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগী দুলালটা সব সৌজন্যের দফা রফা করে দিয়ে ফোঁস করে উঠে বললো, “ক্যান, তুমি