তুষার ঝড়ে প্রায় পুরো আমেরিকা এই সপ্তাহে বিপর্যস্ত- তুষারের ছোবল যেন টেক্সাসেরও দক্ষিণ পর্যন্ত নেমে এসেছে। আপাতদৃষ্টিতে, এমন ঘটনা বিরল মনে হলেও অস্বাভাবিক নয়। আমরা ইদানিং পোলার ভরটেক্সের নাম বেশ শুনে আসছি এবং আবহাওয়াবিদরা বলছেন পোলার ভরটেক্স কলাপ্স করার কারণে আর্কটিক আবহাওয়া এত নিচে নেমে এসেছে। কিন্তু এই পোলার ভরটেক্স ব্যাপারটা কী বা উত্তর মেরুর আবহাওয়া এত নিচে নেমে আসারই কারণ কী?
ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা ভাষা নিয়ে গণমাধ্যমে লেখা আর কথার স্রোত আসে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার হ্যান এবং সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ত্যান করতে হবে বলে গুণীজন১ এ মাসে অনেক উপদেশ, পরামর্শ আর হাহাকার উপহার দেন আমাদের। মার্চের এক তারিখে বাংলা ভাষা নিয়ে কথাবার্তাগুলো রোদে শুকিয়ে ন্যাপথলিন দিয়ে আবার তোরঙ্গে তুলে রাখা হয়, পরের বছরের জানুয়ারির তিরিশ-একতিরিশ তারিখ ফের বের করে রোদে দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের ঠ্যাকা কাজ চালানোর জন্য। ফেব্রুয়ারি তাই এক অর্থে বাঙালির ভাষা-রমযান। আমার ইচ্ছা ছিলো ফেব্রুয়ারি বাদে বাকি এগারো মাস বাংলা ভাষার টুকিটাকি নিয়ে একজন আগ্রহী চর্চক হিসেবে ঘ্যানঘ্যান করার, কিন্তু বিধি বাম।
কবি ঝুলেখা ঠাকুর সনে কোথা পরিচয়
এ ফিযুল প্রশ্ন করে খেয়ে দিয়ো না তোমরা সময় আমার।
পুরুষ কবির টানে মহিলা কবিরা
সততই চলে আসে দূর হতে কাছে
গ্রেবিঠির টান দিয়ে নিউটন যেইরূপে গাছ হতে আপেল পাড়িত।
সেইরূপে ঝুলেখা ঠাকুর এসে ঠাঁই নেই মম হটসাপে।
হিংস্র পত্নী হোসনে আরা ভাতরুমে ঝর্ণাটি ছেড়ে যেই মাতিল গোসলে
অমনি করিনু আমি হটসাপ ঝুলেখা ঠাকুরে
কবিতার ঘেনঘেন বাদ দিয়া বলি তারে সরাসরি, ওগো শুনছো?
এই আপাতঃ প্রবন্ধটা ২০১৮ সালের কয়েক ঋতু জুড়ে শেষ করেছিলাম।
১
ওয়ার্ড ফাইলে কীভাবে বাংলা ইবুক ফরম্যাট করি সেটা নিয়ে একটা টিউটোরিয়াল ভিডিও বানাবো অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম, সময় করে উঠতে পারছিলাম না।
অবশেষে সেটা করা হলো। ইউটিউবে তুলে দিয়েছি টিউটোরিয়ালটি। আশা করি ইবুক প্রকাশে আগ্রহী লেখক ও প্রকাশকদের এটা কাজে আসবে।
মাসখানেক পরের কথা। নিজাম শাহী সেনাপতি মালিক অম্বরের তাঁবু। ভোর।
সূর্য ওঠেনি পুরোপুরি। মশালের আলোয় মাথা ঝুঁকিয়ে ইয়াকুত খাঁ বললেন, পেশওয়াজি। তিমুরি বাহিনী বিজাপুর থেকে সরে গেছে, আর আদিল শাহী সিপাইরাও ভাটওয়াড়িতে মারা পড়েছে সব। দূর্গ দখলের এই ই প্রকৃত সময়!
পাশ থেকে শাহজি গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, হাঁ ঠিক কথা। মারাঠা ঘোড়সওয়ার সব প্রস্তুত। কেবল হুকুম দেন, এখুনি বিজাপুর আক্রমণে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
দীর্ঘদেহী মালিক অম্বর অল্প চুপ থাকার পর মাথা এগিয়ে হিসহিসে গলায় বললেন, তার সাথে অন্য কাজ আছে। শুয়োরের বাচ্চা ইব্রাহীমের সাধের নগরী ধুলায় মিশিয়ে দেয়া চাই, কমবখৎ বেঈমান। তিমুরির পা চাটা কুত্তা। গুঁড়িয়ে দে। তার নয়া শহরের একটা ইটও যেন খাড়া না থাকে। একটা গাছের পাতাও যেন বেঁচে না যায়। তার কবি গাতক সবগুলির পাছায় আগুণ দিয়ে বের করে দে। মাটিতে মিশিয়ে দে শহর রাতে। মাটিতে মিশিয়ে দে!
“অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া কিছু খাবেন না।“ এই কথা আগে শুধু বাসের ভেতরে লেখা থাকতো। আজকাল পার্কে বা খোলা রাস্তায়ও এই রকম সতর্ক বাণী লেখা প্ল্যাকার্ড চোখে পরে। বোঝা যায়, আমাদের দেশে ‘অপরিচিত’ ব্যক্তির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। ফেইসবুকের ভরপুর ‘সামাজিক’ যুগেও কিভাবে এত এত মানুষ অপরিচিত থাকে সেটা একটা বিস্ময়!