হিমুর গতকালের মন্তব্য আমাকে ভাবিয়েছে অনেক। রাতে কক্সবাজারে আসতে আসতে গাড়ীতে বসে নীচের লেখাটা লিখলাম। স্মৃতি এখন অনেক ঝাপসা। আমরা কতকিছুই যে ভুলে যাই...
৭১এ আমরা থাকতাম ময়মনসিংহে। সেসময়কার পৌরসভার পশ্চিম সীমার বাইরে পলিটেক্নিক ইন্সটিটিউটের কোয়ার্টারে, এর পূব দেয়াল লাগোয়া মেডিক্যাল কলেজ আর হসপিটাল সবেমাত্র গড়ে উঠতে শুরু করেছে। আমার জন্মের বছরই আব্বা আনন্দমোহন কলেজের চাক...
[justify]
জানালাটা অনেক বড়। পর্দাটা দু’পাশে সরিয়ে রাখলে অনেকখানি প্রকৃতি ধরা দেয়। ন্যাড়ামাথার গাছপালা, পাশের রাস্তা ধরে ছুটে চলা চারচাকার হেডলাইটগুলো আর সবুজ মাঠ। কিন্তু সব কিছুই বড্ড অস্পষ্ট। আকাশটা যে কেঁদেই চলেছে অবিরাম। অনেকটা ছোট বাচ্চাদের আহলাদী কান্নার মত; কিছুতেই কান্নার শেষ নেই। বোধকরি, আকাশের সাথে আজ ঈশ্বরের অনেক রাগারাগি হয়েছে। দু’জনেই কাছাকাছি থাকেন কী না। তাইতো এই ...
যন্তরপাতি জিনিষটাকে আমি সত্যি সত্যি ডরাই..মিনি সাইজের ক্যালকুলেটারেও ঠিক সুবিধা করে পারিনা কিনা, 2004..সেকেন্ড ইয়ার,এক সখী জুটেছিলো নেটখোর,ঐ বালিকার সুবাদেই অর্ন্তজালে হাতখড়ি.. আজকের হাবিজাবি অনলাইনে খুঁজে পাওয়া এক বন্ধুকে নিয়ে!
আমাদের দোস্তির বয়স বছর পাঁচেক..সরাসরি দেখা হয়নি কখনোই,নাহ..আমি প্রবাসিনী নই,শহর আলাদা হলেও তিনিও বাংলাদেশেরই বাসিন্দা,আসলে মুখোমুখি হওয়াটা খুব বেশি ...
ছেলেবেলার একটা দিনের কথা মনে হলেই চোখের সামনে অনেক কিছু ভেসে উঠে। একটা সময় ছিল যখন ঈদ মানে ছিল অন্যরকম কিছু একটা। সকালে ঘুম ভাঙ্গতো বাসার পাশের মসজিদ থেকে মোয়াজ্জেমের মাইকিং শুনে। অস্থির হয়ে ঘুম থেকে উঠতাম... চারপাশ দেখতাম। সবকিছুই কেমন যেন নতুন মনে হত। অন্যদিনের আকাশ থেকে সেদিনের আকাশটাকেও একটু অন্যরকম লাগতো। চারপাশ কেউ যেন একটু অন্যরকম করে সাজিয়ে দিয়ে যেত। ছোট-বড় সবাই মনের আ...
আমার ছেলেবেলাটা কেটেছিল গ্রামে, শীতের সকালে খেজুরের রস আমার অনেক পছন্দের একটি জিনিস ছিল। দাদু এ ব্যপারটি লক্ষ্য করে আমাদের গ্রামেরই এক বুড়ো গাছিকে রোজ সকালে রস দিয়ে যেতে বলেন। দিনকয়েক যেতে না যেতেই আমার সাথে বেশ ভাব হয়ে যায় গাছি হারুন দাদুর। কোন কোন দিন খুব ভোরে শিশিরভেজা ঘাস বা গ্রামের আলপথে আমাকে তিনি নিয়ে গেছেন কোন একাকী খেজুর গাছের পাশে। গরম কাপড়ে আগাগোড়া আবদ্ধ আমি শুধু অব...
হাঁটু গেড়ে পূব দিঘীর ঘাটে নামছে রোদের পোস্টম্যান। তাড়াহুড়ো করে কলোনী ছেড়ে ঘরে ফিরছে হলদে পাখির দল, যার ঘর নাই তারও কী প্রচন্ড তাড়া! কারও হাত থেকে এইমাত্র ঘুরে ঘুরে পড়ল একটি আধ খাওয়া সিগারেট, চকচকে চামড়ার জুতো পিষে ফেলছে সেই জলন্ত সিগারেটের বাট। রাস্তার পাশে কোন এক মহিলা ফুঁ দিয়ে চুলার আগুনকে লেলিয়ে দেয়। দাউ দাউ আগুন। পাশে দুইটা ক্ষুধার্ত শিশু অধির আগ্রহে তাকিয়ে আছে উৎরানো ভাতের...
[ আমি লুকটা খুউপ খ্রাপ, নইলে হিমু বাই, মেন্দি (ঐ মেহেদী আর কি) কইলো HDR লয়া ছচলে একটা টিউটোরিয়াল মারতে - মারি নাই, আবার ডাগদর ছাইপ বাইরে কতা দিসিলাম ২-১ দিনের মইদ্যে লেখা দিমু হেইডা ৫ দিন পারায়া গেলোগা ... ... ... আসলে কানা লুক ত, তাই ঠিক মতো সময়-তারিক দেক্তারিনা। ] - এইটা কুনু ডিস্ক্লেইমার না, আমার মঞ্চাইছে তাই লিকছি। জীবিত বা বিবাহিত কারু সাতে কুনু মিল পাইলে ঐটা নিতান্তই কাকতাল ... ... ... হে...হে...হে...!!!
...
এবার কই নাও ভেড়াবো? ১
এবার কই নাও ভেড়াবো? ২
কয়েক দিন আগে একটা ফেসবুকের আমন্ত্রণ দেখে চমকে উঠলাম। “Five years since we graduated”। মনে মনে দ্রুত হিসাব কষি। আসলেই তো তাই। পাঁচ বছর আগে ঠিক এই নভেম্বর মাসেই IBর পার্ট চুকিয়ে সোওয়াজিল্যান্ড ছেড়ে চলে যাই সিয়েরা লিওনে।
মোজাম্বিকে থাকতে প্রতি সপ্তাহান্তে আমার প্রচুর ঘুরে বেরাতাম। দ...
বাসের জন্যে দাড়িয়ে আছি, বাসের নাম্বার কিউ ৪৬, এটা নিউ হাইড পার্ক থেকে কিউ গার্ডেন পর্যন্ত সারা দিন-রাত যাতায়াত করে, ১৫ মিনিট পরপর। আমি থাকি ২৬৬ স্ট্রিটে, আর পাতাল রেলের স্টেশন ১১২ স্ট্রিটে, ১৪৪ ব্লক বাসে যেতে লাগত প্রায় ৪৫ মিনিট, মহা বিরক্তিকর। বাস আসছে না, এদিকে 'ইটালিয়ান আইসেস' নামে সামনে একটা আইস্ক্রিমের দোকান দেখে এগিয়ে গেলাম মেনু দেখতে। একটা নাম দেখে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে...
(.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
)
কবেকার কোন বৈশাখী মেলা থেকে একটা লাল
ডুরে শাড়ি কিনে এনে দিইনি বলে সে
আমার থেকে দূরে সরে সরে থাকে শুধু।
ব্যস্ত দুপুরের কোন একদিন একটা কাঠি
লজেন্স অথবা হাওয়াই মিঠাই এর আবদার আমার
মন ভুলে গিয়েছিলো হয়ত, সেই
থেকে, অভিমানী মেয়ে গাল ফুলিয়ে কেবলই
ছলছল চোখে চেয়ে দেখে আমাকে, কাছে আসে না।
বিকেলের ভেজা আলোয় আজ মনে পড়লে এক হাত...