সূচের মতন অভিমান ফুটে যায় আঙুলডগায়, এক মুহূর্তের জন্য একটা তীব্র আগুনজ্বালা। সূচ টেনে বার করে নিয়ে টেবিলবাতির আলোর নিচে আঙুল বাড়াই, রক্তবিন্দুটা চুনির মতন লাগে, লাল, গোল, টলটলে।
জখম আঙুলটা মুখে ঢুকিয়ে চুষতে চুষতে ভাবি, এত নোনতা কেন? কবেকার সমুদ্রের লবণ এ? আর কোনোদিন যেখানে ফেরা হবে না সেখানে অশরীরী ভেসে ভেসে গিয়ে দেখে আসার এত ইচ্ছা কেন?
কেউ আমাকে চিনতে পারবে না, কেউ না কেউ না...
গোপন সাঁতারু তুমি চেনো
সমুদ্রের গভীর উত্তাপ;
বৈজ্ঞানিক বর্জ্য বুকে নিয়ে কাঁদে কি সমুদ্র মাঝরাতে?
রেখেছিলে চোখ তার চোখে
নীল নাকি ঘোলাজল খেলে;
দেখেছিলে লোভীদের বস্তুনিষ্ঠ কোপ কেমন মেরেছে কোটি মাছ
সেইসব নিরুত্তাপ রক্ত- ছিলে ছুঁয়ে অনুশোচনায়?
আকন্ঠ সাঁতার শেষে- মেখেছিলে বাহুর অস্তিনে
মোহনার কিছু অভিশাপ ;
অস্থির তিমির আস্ফালনে পেয়েছো গোপন কিছু পাপ?
কঠিন সাঁতারু বৈঠাহীন, জলক...
[এখানে প্রথম কিস্তি ১(১)]
ভারাটে গুন্ডা হিসাবে পার্কিন্স সাহেবের ক্রিয়াকলাপের সাথে জেমস বন্ডের গল্পের মিল রয়েছে। এতে আছে ষড়যন্ত্র, সম্রাজ্যবাদি কুটবুদ্ধি, আর আছে নারীর সংশ্রব। জেমস বন্ডের প্রতিটি গল্পের মত এখানেও নারী চরিত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। তবে এখানে নারী চরিত্রের কাছে পার্কিন্স সাহেব অনেকটা ভেড়া বনে বসে আছেন। আগের পর্বে একটু আভাস দিয়েছিলাম এখানে আরো কিছু ...
এক এর পরে কয়টা শূন্য বসালে এককোটি হয়, সেটা বের করতে একটু ঘাম ঝরাতে হলো বৈকি। আমরা নুন আনতে পান্তা ফুরানো ম্যাংগো-পাবলিক, হাজারের হিসাব করতেই খবর হয়ে যায়। কোটির হিসাব তো দূর অস্ত!
১০০০০০০০ - সাতটা শূন্য লাগলো!! যেই লোকটা মাসে দশ হাজার টাকা বেতন পান, তার প্রায় এক হাজার মাসের বেতনের সমান, অর্থাৎ প্রায় সোয়া ৮৩ বছরের আয়ের সমান। আজকাল শুনি, মাস্টার্স বা এম.বি.এ. করা লোকজন বিশ হাজারে জবে ঢুক...
আমার মরোক্কান সহকর্মীর চারবছুরে ছেলের হাতখড়ি হয়েছে। রটারডাম মওলানা মসজীদের রবিবার-মাদ্রাসায় যায় সে। সমবয়িসী পিচকিপাচকিদের সাথে ফরাসে বসে সামনে পিছে ঝুঁকে ঝুঁকে আরবী বর্ণমালা শেখে। গর্বিত মা আইফোনে করে ছেলের বর্নমালা আবৃত্তি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। গত সপ্তায় দুপুরের খাবারের ফাঁকে সবাইকে সেই আবৃত্তি শুনিয়ে ছেড়েছে। ছোট ...
আয় রাজাকার আয় না ওরে,
ঘুরতে যাব কোলে করে,
কাজল দিয়ে তোর কপালে,
স্নো-পাউডার লাগিয়ে গালে,
পরিয়ে পায়ে নতুন জুতো
মারব পেটে স্নেহের গুঁতো,
মেলা থেকে কিনব বাঁশি,
খেলনা সাথে রাশি রাশি,
মাথায় দিয়ে জরির টুপি
আদর দেব চুপি চুপি,
এবং শিশুপার্কে তোকে
খেলতে দেব সকাল থেকে,
পুরান ঢাকায় ঘোড়ার পিঠে
লেপ্টে খাবি হাওয়াই মিঠে,
গোসল দিয়ে গরম জলে
তেল মাখব রোদের তলে,
আস্ত মোরগ সাঁটিয়ে গরম
ছাড়বি ঢেঁকুর ...
১
আমার পুরো ইউনিটটাকেই কাজের অংশ হিসেবে নিয়মিত নরওয়েজিয়ানদের সাথে কাজ করতে হয়।
সুতরাং মাঝে মধ্যেই নানাজাতের জরীপে যখন দেখতাম যে নরওয়েজিয়ানরা নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রোডাক্টিভ ইত্যাদি, আমার আগের সুপারভাইজর, ফাহিম ভাই-এর সাথে শেয়ার করতাম।
নরওয়েজিয়ানদের সাথে আমাদের কাজের অভিজ্ঞতা মিশ্র। কখনো দারুণ কাজ আগায়, কখনো তাদের এক ভুলে আমাদের চার রাত টানা কাজ করতে হয়।
ওই সময় এমন একটা ...
যতই করেন ইটিশ পিটিশ এবার বরফ গইলত ন
আগের মতো আন্নেরে কেউ ভয় হাইয়া চোখ ডইলত ন
ডাইনে বায়ে টইলত ন
মাতবরি অ ফইলত ন
রাজাকার’র বিচার লই আর চুদুর বুদুর চইলত ন!
ডাক্তারদের প্রতি আমার অনেক ঋণ । ছোটবেলায় পায়ে একটা সমস্যা ছিল, সেটা সারাতে বেশ কয়েকটা অপরেশন করতে হয়েছে। নানান ধরনের ব্যায়াম করে করে এবং বিশেষ ধরনের জুতা পরে পরে যখন বড় হয়ে গেলাম, আমি অবাক বিস্ময়ে দেখলাম পায়ের সমস্যা আর আমার বলতে গেলে নেই। পায়ের সেই ব্যাপার ছাড়া আরও একবার ডাক্তারদের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল বুয়েটে পড়াকালীন, সেবার হয়েছিল টাইফয়েড। সে যাত্রাও ডাক্তারাই বাঁচালেন আমাক...
প্রতিমা বেদীর জন্ম ১৯৪৯-এ, দিল্লীতে। ষাট আর সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে বোম্বের প্রসিদ্ধ মডেল ছিলেন তিনি। বিয়ে করেছিলেন চলচ্চিত্রাভিনেতা কবির বেদীকে। তাঁদের দু’ সন্তান: পূজা, সিদ্ধার্থ। কবীরের সাথে প্রতিমার বিচ্ছেদ ঘটে ১৯৭৮-এ। ১৯৭৪-এ তিনি সমালোচিত হন প্রকাশ্যদিবালোকে স্ট্রিকিংয়ের জন্য।