মানুষ জীবনে ধাক্কা খেয়ে নাকি সাধু সন্নাস্যি হতে চায়। আমার বেলায় ঘটনাটা ঘটল এমন যে আমি হতে চাচ্ছি 
নিদেনপক্ষে নিজের কথা বলিতে পারি। সব জানিয়া শুনিয়াই সৌদিআরবে গমন করিয়াছিলাম। উড়াল দেবার পূর্ব রজনীতে মাথায় আদরের হাত বুলাইতে বুলাইতে বলিয়ছিলেন আমার জান্নাতবাসী আম্মাজান, কঠিন আইন কানুনের দেশ বাজান, সাবধানে থাকিবা। সৃষ্টিকর্তার পরে পূত্রের উপরও বড়ো বেশী ভরসা ছিলো মা জননীর আরেকখানি কারণে। খুন-খারাপী করিবে কি, চৌর্যবৃত্তি কি পরনারী গমনের জন্য যে বুকের পাটার প্রয়োজন, তাহারই বড়ো অভাব ছিলো মা-অন্তপ্রাণ ছ
প্রতীক্ষা নাটকে হড়বড় করে সাকুল্যে দুইটা ডায়লগ দিয়ে জীবনে একবার মাত্র মঞ্চে ঢোকার অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্যারিকেড চারিদিক নাটকে বেশ বড়ো একটা চরিত্র পেয়ে গেলাম। ‘ব্যারিকেড চারদিক’ হাবিবুল ইসলাম হাবিবের লেখা পথনাটক। নির্দেশনা দিচ্ছেন আক্তার ভাই। জেলবন্দী তিন বামপন্থী ছাত্রনেতার একজন কেন্দ্রীয় চরিত্র; তার প্রেমিকা-টেমিকা আছে ক্যাম্পাসে; সেই চরিত্রটা মারুফের। তার সাথে দুইজন পাতি নেতা; একজন দেয়ালে চিকা মারার সম
সকালবেলা আমার উঠতে কষ্ট হয়। আমি নিশাচর প্রাণী। এখনো কলেজের ২ষ বর্ষে পড়ি। এক জায়গায় রাতের পালাগান শুনে রাতের বেলা হোস্টেলে আসছিলাম। পথে একটা কবরের পাশ দিয়ে সাহস করে বাঁক নিতে পারলে পুরো দশ মিনিটের হাঁটা বাঁচানো যায়। আমি তাই করলাম। সবসময় করি না। আজকে করলাম। বাকেঁর কাছে আসতেই কিছু একটার শব্দ শুনলাম। একবার মনে হলো সামনে আরেকবার মনে হলো পিছনে। যেদিক দিয়েই হোক আমার দিকেই এগিয়ে আসছে। আমি একটু চিন্তা করেই
'অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট' আন্দোলনে সোচ্চার হয়ে উঠেছে 'আমরাই ৯৯%' এর ব্যানার। হাজার হাজার মানুষ ওয়ালস্ট্রিটে অবস্থান নিয়েছে কর্পোরেট তন্ত্রের প্রতিবাদে। আজ শনিবার ঢাকায় টিএসসিতে সেই আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে একত্রিত হয়েছিলেন কয়েকশ উচ্চকন্ঠ মানুষ। তাঁদের অনেকেই বামপন্থী আন্দোলনের সাথে যুক্ত। কিন্তু অবশ্যই সবাই নন। আমি তাদেরই একজন, যারা বাম ধারার সাথে কোনওভাবে যুক্ত না থেকেও এই সংহতি আন্দোলন 'অকুপাই বাং
আগের পর্বগুলো:
গত দুই পর্বে আমরা টেকটোনিক প্লেটগুলোর সৃষ্টি প্রক্রিয়া ও সরণের কারণ, সীমানার ধরন ইত্যাদি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা আরও জেনেছি টেকটোনিক প্লেটের সরণের কারণে ভূপৃষ্ঠে ভূমিকম্প হয়। দ্বিতীয় পর্বে আমরা জেনেছি দুটো টেকটোনিক প্লেট যখন পরস্পরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তখন তাকে অভিসারী সংঘর্ষ বলে। দুটো প্লেটের মধ্যে অভিসারী সংঘর্ষের ফলে স্থানভেদে সুউচ্চ পর্বতশ্রেণী ও আগ্নেয়গিরির সারি সৃষ্টি হয়। দুটো মহাসাগরীয় প্লেটের অপসারী সীমান্তে ম্যান্টল থেকে ম্যাগমা উঠে এসে শীতল হয়ে জমে সমুদ্র–মধ্য পর্বতশ্রেণী বা মিড–ওশান রিজ তৈরি করে।
রঙধনু রঙের মগ্ন আনন্দে মশগুল পৃথিবী বাইরে পড়ে থাকে। দমবন্ধ ঘরের বদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে নিতে মৃত্যূকেও বড্ড বদ্ধ মনে হয়। বাঁচতে ইচ্ছে করে না। মরাও হয়ে ওঠে না। জটপাকানো রোদ আর অন্ধকার বুকের পাঁজরে একটু পরপর টোকা দিয়ে যায়।
লাস্টবেঞ্চি আবার মাথার ভেতর ঘুরপাক খায়।
“যখন অনিচ্ছাসত্ত্বেও মৃত্যু ঘটে নিশ্চয়ই তোমার উপর মৃত্যু জয়লাভ করে।
ঊষাকালে নন্দন কানন নিঝুম নিস্তব্ধ থাকে। কাকপক্ষীও তখন নীড়ে কুণ্ডলী পাকাইয়া নিদ্রামগ্ন থাকে। আদম এই সময়েই প্রাতকৃত্য সারিতে গাড়ু হস্তে বাহির হয়। আশেপাশে নন্দন কাননের অপূর্ব সব বৃক্ষ ও ঝোপঝাড়, তারই কোন এক গহীন কন্দরে ঢুকিয়া সে কর্মসাধন করিয়া আসে। বেলা চড়িলে লোকজনের সমাগম বাড়ে, এবং তাহাদের ভিড়ে দুই-চারিটি পরিবেশবাদী সর্বদাই থাকিবে, যাহারা ঝোপেঝাড়ে বাগানক্রিয়া সারিতে দেখিলে হল্লাচিল্লা করে। একবার তো ত