পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
রক্ত লাল রক্ত লাল
রক্ত লাল.........
[justify]
১।
শেখ হাসিনা ওয়াজেদ ও বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকা সফল জুটি হিসেবে আখ্যায়িত করলে, অধিকাংশেরই ভ্রুঁ কুচকানোর একটা প্রবল সম্ভাবনা আছে। কিন্তু নির্মোহ পর্যালোচনার ধৈর্য্যটুকু ধরতে পারলে কুঁচকানো ভ্রু সহজ হয়ে আসতে পারে,ধীরে।
স্বপ্নগুলো মরে যায় জেগে থাকে শুধু আশা
আশার অপর নাম শ্বাস- বুকে যাওয়া-আসা।
উড়ায়ে রঙিন ঘুড়ি শক্তহাতে না ছাড়ি নাটাই
জীবন ছাড়ে না পিছু, যাপনের ঘোড়াটা ছোটাই
যাচ্ছে চলে নাছোড় ঘুড়িটা একেবারে দিগন্ত ওপারে
মাঝখানে ধূ ধূ মাঠ অবিরাম ওই পথের কিনারে।
ফিরবে কি ফিরবে না এই প্রশ্ন এখন বাতাসে
প্রতীক্ষার তারা জ্বলে ঘোরলাগা অমার আকাশে
যে ছিলো হৃদয়কোণে খুঁজি তারে অচেনা প্রান্তরে
সাফির লেখা দেখে আমারো ছয় শব্দের গল্প লিখতে ইচ্ছে করলো। বলা যায় গায়ের জোরে লেখা। প্রথম কয়েকটা মন্তব্য হিসেবে আগে পোস্ট করেছিলাম।
[justify]১
বিকাল প্রায় পৌনে পাঁচটা। স্কুল আরও পনের মিনিট আগে ছুটি হয়ে গেছে। অর্ঘ্য আজ মহাখুশি। মহানন্দে পা নাচাতে নাচাতে এগুচ্ছে স্কুলের গেটের প্রাচীর ঘেঁষে অসাড় পড়ে থাকা ফুটপাথ ধরে। আজ আম্মু কিংবা আব্বু আসেননি গাড়ী নিয়ে তাকে নিয়ে যেতে। যদিও বাসা স্কুল থেকে বেশি দূরে নয়, হেঁটে মাত্র পনের থেকে বিশ মিনিটের পথ। আব্বু সাধারণত আসেননা,অফিসে থাকেন বলে। আম্মুই আসেন। আর আম্মু ব্যস্ত থাকলে কাদের চাচা, অর্ঘ্যদের গাড়ির ড্রাইভার।
সচল শুভশীষদা'র লেখা ছয় শব্দের গল্প পড়ে হেমিংওয়ের বিখ্যাত ছয় শব্দের গল্পের(For sale: baby shoes, never worn) সাথে পরিচিত হই। সেই সাথে গল্পের এই ধারা মাথায় গেঁথে যায়। ফেসবুক যুগে যখন সাম্প্রতিক ঘটনা কিছু ঘটলেই মাথায় ফেসবুক স্ট্যাটাসের মকশো করতাম, সেটা কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত হয়ে মাথায় ঘুরতে থাকে ছয় শব্দের বাক্যগুলো। সেরকমই কয়েকটা নিয়ে ষড়ল গল্প লেখার এই প্রথম চেষ্টা। নামকরণ ষড়ল গল্পটাও শুভাশীষদা'রই করা।
আওয়ামীলীগকে কখনোই জনতা ডুবায় না, আওয়ামী লীগকে ডুবায় তাঁর অন্ধ সমর্থকদের মাত্রাতিরিক্ত ভক্তির আত্মঘাত। গতকাল এটর্নি জেনারেল বলেছেন, নোবেল পুরস্কার আসলে শেখ হাসিনা এবং সন্তু লারমার পাওয়া উচিত ছিল। এ কথার ভালো মানে করা যায়। দীর্ঘদিনের পার্বত্য চট্টগ্রামের সহিংসতা বন্ধ করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে শান্তিচুক্তির মধ্যে নিয়ে আসার জন্য শেখ হাসিনা এবং সন্তু লারমাও নোবেল পেতেই পারেন। বারাক ওবামা 'শান্তি আনতে পা
আমি মেঘের কাছাকাছি থাকি।
দশ তলায়।
জানালা খুললেই রাস্তায় গাড়ির আওয়াজ।
আজব ব্যাপার হলো এইসব ছাপিয়েও রাত তিনটার দিকে আমি একটা কাকের ডাক শুনতে পাই।
প্রতিদিন।
ঠিক রাত তিনটায়।
এই রুটিন চলছে আজ সপ্তাহ খানেক হলো।
আগে কাকটার ডাকে আমার পাতলা ঘুম ভেঙ্গে যেতো।
আর এখন নিজেই অপেক্ষা করি।
ঘড়ি মিলিয়ে দেখি।
বিষণ্ণ পাগলাটে কাকটা এখন আমার সময়ের পাহারাদার।
কয়েকটি ঘর, কয়েকটি মহল্লা। রাস্তা দালান বাজার বিজলী-খাম্বা পানের-পিক কাক আর বস্তি। ইট কাঠ ইস্পাত কাঁচ আর ঘাম মিশিয়ে যে সরলরেখার সমাবেশ। একে আমরা শহর বলতে শিখি। এর সাথে আমাদের পরিচিতি ঘটে যায় অনেক আগেই। কিন্তু ঠিক সেই শহরটিই যে একটি জীবন্ত প্রাণী, সে রহস্য ক্রমাগত আমাদের আওতার আবডালে চলে যেতে থাকে।