Archive - 2012

November 30th

জীবনযুদ্ধ

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: শুক্র, ৩০/১১/২০১২ - ১:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শ্বেতশুভ্র চুল-দাড়ির বর্ষীয়ান মানুষটি তাকিয়ে আছেন জানালার বাইরে। হালকা শীতের সকালে সামনের গাছটায় ছোট্ট দুটো চড়ুই পাখির ঝগড়া। ঠান্ডা বাতাসে একটু একটু করে কাঁপে গাছের শুকনো পাতা। রাস্তা দিয়ে রোজকার মতো আজকেও ব্যতিব্যস্ত মানুষের দল ছুটে চলে অনির্দিষ্ট পথে। এসব কিছুই তাঁর ধ্যানভঙ্গ করতে পারেনা আজকে। আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনি শুধু ভাবেন, ভেবে চলেন, মাথার ভেতরে অজস্র স্মৃতিরা যুদ্ধ করে, ফিরে ফিরে আসে। নিজের অজান্তেই একটা হালকা দীর্ঘশ্বাস মিশে যায় যান্ত্রিক জীবনের কোলাহলমুখরতায়।


বসফরাসের তীরে আরিব্বাস!!

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: শুক্র, ৩০/১১/২০১২ - ১:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

DSC02563


November 29th

বর্ডার লাইনের গল্প

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/১১/২০১২ - ৪:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

আমি গল্প লিখছিনা দুবছরের অধিক কাল। শেষ গল্প বোধ হয় লিখেছিলাম যে বছর দেশে ফিরে আসি সে বছরের শেষের দিকে, বিদেশ বিভুঁয়ে বসে- দেশের গল্পই। দেশে ফিরে আর দেশের গল্প হয়নি, বিদেশের ও না।
তবে দেশে ফিরে ঘুরাঘুরি হয়েছে বেশ। আমি যে শহরে থাকি তাকে উত্তর পূর্ব থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে ঘিরে রেখেছে বেশ দীর্ঘ এক পাহাড় শ্রেনী। একেবারে উত্তর-পুর্বে শুরু জৈন্তিয়া পাহাড়, এটি এসে মিশেছে পূর্ব খাসিয়া পাহাড়, পূর্ব এসে মিশেছে পশ্চিম পাহাড়ে, সেই পশ্চিম শেষ হতে হতে গারো পাহাড়ের শুরু। বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম খাসিয়া পাহাড়ের নীচ থেকে গারো পাহাড়ের দিকে ঘুরেছি কিন্তু অবিচ্ছিন্নভাবে জৈন্তিয়া পাহাড়ের নীচ থেকে পাশ্চিম খাসিয়া পাহাড়ের শুরু পর্যন্ত পুরোটাই ঘুরা হয়েছে পায়ে হেঁটে।


প্রতিটি শিশির হাসে নিজ নিজ ভোরে

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/১১/২০১২ - ১:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছুটা নৈবেদ্য জেনেছে ভিড়, আর কিছু অবয়ব নীরবতা,
ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জমা আরও কিছু স্থিরতা
তবু রয়ে গেছে বাকি, এই ভালো- স্থিরতার কাছাকাছি থাকা;
একদিন সবদিন একা রাখা,
প্রতিদিন হতে পারে প্রতিরাতে এঁকে ফেলা নিজ নিজ প্রত্যয়ে প্রত্যয়ী সময় --
চাইলেই হয়ে যায় দেখেছি, হয়!

হতে পারে আমাদের প্রাচীন শিকলে জুটেছে আরও বেশি শ্যাওলা চতুর, বিকল্প মরীচিকা;


হিস্যা

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি
লিখেছেন জোহরা ফেরদৌসী (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/১১/২০১২ - ১:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা যারা গান বাঁধি গিটারের তারে,
আমরা যারা নির্ঘুম রাত কাটাই
মোক্ষম একটি কবিতার লাইনের খোঁজে,
আমরা যারা নিখুঁত তুলির এক টানে
প্রতিমার চোখ আঁকি বোধনের রাতে,

আমরা যারা সঁপে দেই দিনান্তের ঘরে ফেরা
টলমল পায়ের শিশুর বাড়ানো দুই হাতে,
আমরা যারা মাথা নোয়াই
অশীতিপর জননীর আশীর্বাদ কাঁপা করতলে,
আমরা যারা ভালবাসা খুঁজি
প্রেয়সীর প্রগাঢ় চুম্বনে,

আমরা যারা আকুল প্রার্থনায় -
হাঁটু ভাঁজ করি


আবদুল মান্নান সৈয়দের গল্প

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/১১/২০১২ - ১:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আবদুল মান্নান সৈয়দের লেখা আগে পড়িনি। গল্প নয়, উপন্যাসও নয়।
কখনো সংবাদপত্রের সাময়িকী পাতায় তাঁর লেখা চোখে পড়েছে বলেও মনে পড়ছে না। 'সত্যের মতো বদমাশ' নামে বইয়ের লেখক তিনি - এটুকুই মাথায় ছিল।

এ সপ্তাহে আবদুল মান্নান সৈয়দের ১৫টি গল্প পড়লাম - বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত 'শ্রেষ্ঠ গল্প' মলাটে।
পড়েই আফসোস হলো - এতো দেরী করে পড়লাম কেন!


বোলোনিয়া পাঁচালী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৮/১১/২০১২ - ১০:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইটালির বোলোনিয়া (ইংরেজিতে বোলোগনা) শহরে রয়েছি বছর চারেক হল।এটি ইটালির অন্যতম বৃহৎ শিল্পনগরী ও প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং ইউরোপের সবচাইতে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের(১০৮৮) জন্মস্থান।মোজার্ট যেখানে সঙ্গীত শিক্ষার জন্যে এসেছিলেন,মার্কোনি যেখানে রেডিও আবিষ্কার করেছেন,লুইজি গ্যালভানি যেখানে তাঁর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন,যে শহরের সসেজের দুনিয়াজোড়া সুনাম, ঝড়-বৃষ্টি-বাদল থেকে রক্ষার জন্য যে শহরে র


November 28th

অনুবাদ প্রচেষ্টা -২

ধুসর জলছবি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর জলছবি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৮/১১/২০১২ - ৫:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিবেক

যুদ্ধ শুরু হতেই লুইজি নামে এক ব্যক্তি এসে তাতে যোগ দিতে চাইল।
সকলেই তখন তার অনেক প্রশংসা করল । অস্ত্র বিতরণের জায়গায় গিয়ে সে একটা অস্ত্র চেয়ে নিয়ে ঘোষণা দিল “ আমি এখন অ্যালবার্তো নামে এক লোক গিয়ে কে খুন করব”
সবাই জানতে চাইল অ্যালবার্তো টা কে?
সে উত্তরে বলল “ আমার শত্রু”


দেশে কিছু হবে না, বিদেশে?

পলাশ দত্ত এর ছবি
লিখেছেন পলাশ দত্ত (তারিখ: বুধ, ২৮/১১/২০১২ - ২:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তাজরিন ফ্যাশন্সে আগুনে পুড়ে মারা গেলো ১১১ জন মানুষ। এই মৃত্যু নিয়ে এতো বলা হলো যে আমার মতো মানুষের এ নিয়ে আর বলার কিছু থাকে না। গার্মেন্টগুলোকে সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করতে পারে না বাংলাদেশের সরকার।