পাঁচশ বছর আগে এমনি একদিন, হয়ত বড় আড়ষ্ট ভঙ্গিতে বিদ্যাপতি গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মিথিলার রাজা শিবসিংহের রাজসভায়, হয়ত আড়ালে এককোণে একলাই লুকিয়ে ছিলেন, হয়ত মনে ভাবছিলেন...
"হেসে ভালোবেসে দুটো কথা কয়
রাজসভাগৃহ হেন ঠাঁই নয়,
মন্ত্রী হইতে দ্বারীমহাশয়
সবে গম্ভীর মুখ।
মানুষে কেন যে মানুষের প্রতি
ধরি আছে হেন যমের মুরতি
তাই ভাবি কবি না পায় ফুরতি--
দমি যায় তার বুক"
সব দেখি, সব ঘটনা-রটনা আমাকেও বুঝে
ইচ্ছে করে রহস্য প্রাণে উড়াই ইচ্ছে প্রতারণা
কামনা জর্জর সম্পর্ক এমন যে, প্রাণও খুঁজে
কি আশ্চর্য, নিজের চোখটিও নিজে দেখি না
গালে রেখে হাত কি ভাবছো? একবার কও
সুদূরতা কতদূর থাকে, বিমর্ষ স্নেহের অতীত
সম্মুখে বসিবার আগে যত্নভরে একবার জাগাও
আগুনে পোড়াব না, সামলাও ব্যর্থ দু’টি হাত
আর্তনেশায় চমকে ওঠো, রাত জাগে হতাশায়
বিষে বিষক্ষয় বলে যে ব্যাপারটা আছে আমার বেলায় সেটা একবোরেই অকাট্য। দুঃখ, বিষন্নতা, হতাশা এই জাতীয় প্রতিটি ব্যাপার থেকে বের হতে আমার বিষে বিষক্ষয় পদ্ধতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। যেরকম একবার এক কষ্ট পেয়ে মূক ও বধির হবার উপক্রম হয়েছিলো, তখন আমাকে বাচাঁয় The Bicycle Thief.
শিরোনাম পড়ে ভড়কে যাবেন না যেন। এই মোল্লা কাঠমোল্লা নহে। মোল্লা আমার স্কুল জীবনের প্রাণের বন্ধু, একদম ছোট্টবেলার বন্ধু। ওর ডাক নাম মল্লিকা, মল্লিকা থেকে মোল্লা। স্কুলে আমরা পাশাপাশি বসতাম ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত। মোল্লা ছিল আমার ‘শেষ ভরসা’ যাকে বলে। তার বাবা বেশ কড়া ছিলেন পড়াশুনার ব্যাপারে। সেটা আমার জন্য বেশ ভাল ছিল। কেমন করে?
'ধর্মপ্রচার নয়, বিভিন্ন ধর্মমত সম্পর্কে যৎসামান্য জানার প্রচেষ্টা মাত্র'।
ইসলাম ধর্মের প্রচারক মোহাম্মদের প্রায় ন'শো বছর পরে ভারতে শিখ ধর্মের প্রচলন হয়। এই ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানক ১৪৬৯ খ্রীষ্টাব্দে পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর শহর থেকে পঁয়ত্রিশ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে 'রায় ভর দি তালবন্দী' (বর্তমান নাম, নানকানা সাহিব) গ্রামে একটি সাধারন হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
আজ রাতে আমাদের গলা খুলে গান গাইতে গাইতে ভলভো বাসে উঠবার কথা ছিলো, গন্তব্য সেই সেন্ট-মার্টিন, হুমায়ূন আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ। আমরা আশা করেছিলাম দারুচিনি দ্বীপ উপন্যাসের শেষ দৃশ্যের মতই অত্যন্ত নাটকীয় পরিস্থিতি দেখা দেবে আজ রাতে। আমাদের বার্মা হয়ে উঠবে উপন্যাসের বল্টু চরিত্রটি- শেষ মুহুর্তে দৌড়ে বাসে উঠতে হবে তাকে। বার্মাকে নিয়ে মজা করতে তাকে বাসে উঠানোর ব্যাপারে আমরা ব্যাপক গড়িমসি করবো, শেষমেষ নিতা
[justify]গেল বছর পুরোটাটাই দৌড়ের উপ্রে গেছে। বিশেষ করে শেষের আটটা মাস ছিলো নাটকীয় সব উত্থানপতনে পূর্ণ। সময় পেলে প্রতিদিনই খানকয়েক ব্লগরব্লগর ড্রাফট করে রাখা যেত। কিন্তু থিতু হয়ে বসার সুযোগ এতই কম ছিলো যে খুচরো কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস ছাড়া অনলাইনের খসড়াখাতায় বিশেষ কিছু জমা পড়েনি। দৌড়াতে দৌড়াতেই দৃশ্যপট এত দ্রুত বদলে যাচ্ছিলো যে আমার স্ট্যাটাসাসক্ত মনও সব খবরাখবর স্ট্যাটাসে তুলে দিতে পারছিলো না সময়মতো
জামাত-শিবির আর নয়া-রাজাকার,
এ ছাড়া কি ছাগলের খোমা নেই আর!
তাই বুঝি হয়ে থাকে! এটা তবে কী!
নতুন এক ছাগলের ছবি এঁকেছি
ছোটবেলায় আমার পছন্দের একটা কাজ ছিল রেলস্টেশনে গিয়ে পত্রিকার জন্য অপেক্ষা করা। সপ্তম-অষ্টম শ্রেণী থেকেই এই কাজটা করতাম। নবম শ্রেণীতে সাইকেল পাওয়ার পর ইশকুলের দিনগুলো ছাড়া বাদবাকি সব দিনই দুপুরের ঘুম বাদ দিয়ে সোজা ইস্টিশনে চলে যেতাম। ঢাকার কমলাপুর থেকে ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে দিনের প্রথম ট্রেন অর্থাৎ মহুয়া এক্সপ্রেস নামের যে মেইল ট্রেনটি ছাড়ে, সেটি ময়মনসিংহ হয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌঁছতে পৌঁছতে দুপুর একটা