Archive - নভ 2014

November 10th

নিভিয়ে দিয়ে গেলে সব আলো

নীলম এর ছবি
লিখেছেন নীলম [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১০/১১/২০১৪ - ১:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আপু চলে গেল। এক এক করে চারিদিকের সব আলো নিভিয়ে দিয়ে। ঘর আলো করা ওর সেই উজ্বল হাসি, ক্যান্সারের প্রবল আঘাতেও যেটা এতটুকুও ম্লান হলো না তাকে সঙ্গে করে নিয়ে চলে গেল চিরতরে। অসুস্থ অবস্থায়ও সবার প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে পাশে থাকা মানুষটা আমাদেরকে অতল শূন্যতায় ডুবিয়ে নিমিষেই নেই হয়ে গেল। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র ২৮ বছর বয়সে ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে আপুর। তারপরে সার্জারি-কেমোথেরাপি। কিছুদিন ভালো থাকা


বাংলার তরু লতা গুল্ম ৩৭ : মাকাল ফল

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১০/১১/২০১৪ - ১:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমি ঢাকায় থাকি, কিন্তু তিন-চার জোড়া চোখ গ্রামের জলাজঙ্গল খুঁজে ফেরে বুনো গুল্ম লতা। এরা আমার সাগরেদ। চাচাতো-খালাতো ভাই।
২০১৪ সালের কোরবানী ঈদ। বাড়ি গিয়ে শুনলাম সুসংবাদটা। আমার খালাতো ভাই সাহেদ নাকি মাকাল ফলের একটা আড়ৎ দেখে এসেছে সরিষাঘাটের মাঠে। সরিষাঘাট আমাদের পাড়া থেকে দু-কিলোমিটার দূরে। আঁট-ঘাট বেঁধেই যেতে হবে।
তবে ভয় একটা আছে। সাহেদ দেখে এসেছে বর্ষাকালে। এখন শরতের শেষ প্রায়। এতদিনে গাছ মরে গেছে কিনা সন্দেহ।
ঈদের তৃতীয়দিন। শাহেদের বড় ভাই পারভেজকে নিয়ে চললাম সরিষাঘাট। সাইকেলে। পিসরাস্তা আর বাওড়ের মাঝখানে জঙলা একটা গর্ত। বুনো গুল্ম লতায় ঠাঁসা। গর্তের ভেতর মাঝারি আকারের একটা মেহগনি আর একটা শিশু গাছ। সেই গাছদুটে বেয়ে, জড়িয়ে-কুড়িয়ে উঠেছে হাজার লতার একটা উদ্ভিদ। এটাই আমাদের চরম প্রার্থিত মাকাল ফলের গাছ। মাকালের লতা-পাতায় চাপা পড়ে গাছদুটোর ‘ত্রাহি মধুসূদন’ অবস্থা।


গোল্ডেন শহরে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি
লিখেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক (তারিখ: রবি, ০৯/১১/২০১৪ - ৯:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শহরের নাম গোল্ডেন। কলোরাডো স্টেইটের একটি শহর। ডাউনটাউন ডেনভার থেকে আধা ঘন্টার ড্রাইভ। এর আগে একবার গিয়েছিলাম--ছোট শহর, পরিপাটি করে সাজানো। হাইওয়ে থেকে গাড়ির জানালা দিয়ে দেখা যায় সুন্দর গোছানো চারপাশ।


সুশীলশুমারী

আনু-আল হক এর ছবি
লিখেছেন আনু-আল হক [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৯/১১/২০১৪ - ৬:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ঘটনায় আমরা বহু কামিলের ল্যাঞ্জা দেখতে পাইছি। যারা টকশোতে নিয়মিত বক্তিমা দিসেন, এবং/অথবা পত্রিকায় লেখসেন, তিনাদের ল্যাঞ্জার জেনেটিক ম্যাপিং মোটামুটি হইসে। আজ থেকে কয়েক দশক পর এইসব ইতিহাস কথা বলবে।


November 9th

দুবাইয়ের পথে পথে – পর্ব ৩ – বইমেলা ও ড্যান ব্রাউনের প্রশ্ন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৯/১১/২০১৪ - ২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিরিজের নাম যদিও দুবাইয়ের পথে পথে, আজকের লেখার পটভূমি কিন্তু শারজাহ। শারজাহ আর দুবাই একদম পাশাপাশি শহর – উত্তরা-টঙ্গির মত। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় টের পাবেন না কখন দুবাই ছাড়িয়ে শারজাহতে ঢুকলেন। শারজাহকে বলা হয় আরব আমিরাতের সাংস্কৃতিক রাজধানী - গত ৩৩ বছর ধরে এই শহরে একটি আন্তর্জাতিক বইমেলা হয়ে আসছে। এবারের আসরের উদ্বোধন হবে ড্যান ব্রাউন ( দ্য ভিঞ্চি কোড, এঞ্জেলস এন্ড ডিমনস খ্যাত লেখক)- এর বক্তৃতা


চলার পথের সঙ্গী : মারমোত্তা আল্পিনো (Alpine Marmot)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৯/১১/২০১৪ - ১:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কুম্ভকর্ণের গল্প শুনেছি ছোটবেলায়। ওই পুঁচকে বয়সে কুম্ভকর্ণ দেখতে হলে ঠাকুরমার ঝুলি খুলতে হতো। আর এখন বাড়ির পিছনের পর্বতমালায় একটু হাঁটতে বেরুলেই দেখা মিলে কুম্ভকর্ণের জ্ঞাতিভাইয়ের! আমার চলার পথের সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গী মারমোত্তার দল কিন্তু ঘুমের রেসে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়ার পাত্র নয়। এবছর তো ঘুমুতে গেছে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে আর সেই ঘুম কিন্তু কিছুতেই ভাঙবে না সামনের বছরের এপ্রিলের আগে। তৃণভোজী এই স্তন্যপায়ী প্রাণী সুদীর্ঘ শীতকালটা এভাবেই কাটিয়ে দিবে নাক ডেকে আর স্বপ্ন দেখে। বরফে আচ্ছাদিত ভ্যালিতে সবুজ ঘাসের দেখা যতদিন মিলবে না ততদিন জেগে থেকেই বা করবেটা কি?


November 8th

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খসড়া সংবিধান

শেহাব এর ছবি
লিখেছেন শেহাব (তারিখ: শনি, ০৮/১১/২০১৪ - ১২:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এটা মূলত: ডকুমেন্টেশনের জন্য। আমাদের সংবিধান প্রণয়ন করা হয় ১৯৭২ সালে। একটি সর্বদলীয় কমিটি এটির খসড়া প্রণয়ন করে। এক পর্যায়ে জনমত যাচাইয়ের জন্য এটি ১৯৭২ সালের অক্টোবর মাসের ১৩ তারিখে দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ছাপানো হয়। এর বাইরে সংসদেও আলোচনা চলে। এর মাধ্যমে কিছু সংশোধনও হয়। আমি এই পত্রিকায় ছাপানো খসড়াটি এখানে রাখলাম।

এতে কি লাভ হবে?


এক্সপোর্ট কোয়ালিটি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: শনি, ০৮/১১/২০১৪ - ৫:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'এক্সপোর্ট কোয়ালিটি' বেশ বড় করেই মোড়কের গায়ে লেখা। যেভাবে বসে আছি তাতে কীসের মোড়ক সেটা ঠিক ঠাহর করা গেল না। মোড়কের গায়ে বাকি লেখাগুলো ছোট ছোট, পড়া যাচ্ছে না চেয়ারে বসে। মাথাও নাড়াতে পারছি না ইচ্ছামত, কারণ আমার মাথা এখন আর পুরোপুরি আমার নিয়ন্ত্রণে নেই, আরেকজনের সুবিধামতো মাথার অবস্থান ঠিক রাখতে হচ্ছে। চুল কাটাচ্ছি।


November 7th

দরজার ওপাশে

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/১১/২০১৪ - ৬:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"দরজা খোল অনি!" জেদ চেপে যায় বনি'র, কাঁপতে থাকে অল্প অল্প।

"না। দরজা খোলা যাবে না।" অনির শান্ত জবাব।

হঠাৎ হুটোপুটি শুরু হয়ে যায় দুজনের মাঝে। একই চেহারার দুই কিশোর। বনি গরাদের ফাঁক দিয়ে দুই হাতে অনির টুঁটি টিপে ধরে। গাঁক গাঁক করতে করতে একসময় ছাড়িয়ে নেয় অনি, আর এগিয়ে এসে প্রবল শক্তিতে ধাক্কা দেয় বনির বুকে। ছিটকে পড়ে বনি। তাকিয়ে দেখতে দেখতে ধপ করে বসে পড়ে অনি। হাঁপাতে থাকে দুইজন।


November 6th

এই মহানগরে - ০১

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/১১/২০১৪ - ৫:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০.
ছুটির দিনে আমার একমাত্র বিলাস হচ্ছে সকালবেলাটা ঘুমানো। সপ্তাহের ঠিক মাঝামাঝি একদিন ছুটি পাওয়ায় ভেবেছিলাম আরাম করে সকালটা ঘুমিয়ে কাটাবো। কিন্তু আগের দুই দিন হরতাল থাকায় ছেলেটা কোচিং-এ যেতে পারেনি। তাই ছুটির দিন সকাল-বিকেল দুইবেলা ছেলেকে কোচিং-এ আনা-নেয়া করতে হবে। অতএব, ছুটির দিনের বিলাসিতাকে ত্যাগ করে ছেলেকে নিয়ে কোচিং-এ ছুটি। কাজটা করতে আমার আপত্তি নেই, আলস্যও নেই। কিন্তু একটু খটকা আছে। দুটো কোচিং সেন্টারের দূরত্বই আমাদের বাসা থেকে এতোটা দূরে যে, একবার ছেলেকে সেখানে নামিয়ে বাসায় ফিরে আবার দুই ঘন্টা পরে সেখানে আবার যাওয়া না সময়ে পোষায়, না রিক্‌শা ভাড়ায় পোষায়। তাহলে এই দুই দুই চার ঘন্টা আমি কী করি? কোথায় যাই?