শীতের সকাল। কুয়াশার আস্তরে ঢাকা পথ-প্রান্তর-জনপদ। দু'দিন ধরে সূর্যের দেখা নাই। উত্তরবঙ্গের সকল জেলাতেই প্রচণ্ড শীত পড়েছে। রাজশাহী থেকে ডোমার যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিতুমির এক্সপ্রেস-এ চড়ে বসলাম, গন্তব্য পঞ্চগড় চা-বাগান -- আমার কর্মস্থল। ট্রেনে আমার কামড়ায় আরও চারজন। আমার বাম পাশে দু'জন, মনে হলো রেল-বিভাগে কাজ করে। সামনের সিটে দু'জন। কেউ কথা বলছিল না। ট্রেনের সাথে একটা খাবারের বগি আছে। ট্রেন ছ
জন্মসূত্রে আমি বাগানি মানুষ হবার কথা যদি না আমি বাঙালি হতাম। চা বাগানে একদল মানুষ গোত্র হিসেবে নিজেদের বাগানি মানুষ বলেন। এই পরিচয়ের একটা অংশ প্রকট একটা প্রচ্ছন্ন। প্রকট অংশটা বলে তারা কেউই বাঙালি নন আর প্রচ্ছন্ন অংশে দেখা যায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এরা ভূমি আর ভিটেহীন মানুষ...
কিছুদিন আগে আমি ২০০৯ সালের খসড়া শিক্ষানীতি (যেটি বিশেষজ্ঞরা তৈরি করেছিলেন) আর ২০১০ সালের আনুষ্ঠানিক শিক্ষানীতির (আমলাদের ঘষামাজার পর যেটি দাঁড়িয়েছে) শুরুতে দেয়া লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে পার্থক্যগুলো দেখিয়েছিলাম। এর পর [url=http://www.sachalayatan.com/shehab/55487]আলাদা ভাবে বিভিন্ন ধাপের যে বিস্তারিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বলা আছে সেগুলোরও খসড়া ও আনু
অনেকদিন আগে ‘যখন পুলিশ এলো’ শিরোনামে কয়েক পর্বে আমি লিখেছিলাম পুলিশ সম্পর্কে একেবারে প্রত্যক্ষ কয়েকটি অভিজ্ঞতার কথা।এগুলো এতটাই বাস্তব যে অনেকের অনেক অভিজ্ঞতার সাথে হুবহু মিলে যেতে পারে। অনেকদিন পর আবার পুলিশ প্রসঙ্গে লিখতে হল। বাবুল মাতবর বা তার আগে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা বা সিটি কর্পোারেশন কর্মকর্তা বিকাশ কিংবা তারও আগে বিশ্বাবিদ্যালয় ছাত্র খলিল (সম্ভবত) এমন আরও অনেকের ক্ষেত্রে পুলিশ যে পোশা
ঘুম ছুটে যাবার পর অমিতাভ আবারো ভাবলো। ওটা তো স্বপ্নই ছিলো। ওই চোখ দুটো স্বপ্ন ছাড়া এতটা রং ছড়ায় না কোথাও। যেখানে কেবলি ভয়, যেখানে কেবলি আশংকা, সেখানে এতটা আনন্দ এতখানি আলোর আশ্বাস নিয়ে আসে না। স্টুডিও ছবির নিগেটিভে হাসিকে কান্না কিংবা কান্নাকে হাসি বলে যেখানে ভুল হয়ে যায় নবনীতার চোখে ভাসতে থাকা হাসিটাকেও নির্ঘাত একটা স্বপ্ন বলে ধরে নেয় সে।
[justify]আগরে পর্ব এখানে : http://www.sachalayatan.com/guest_writer/53893
আমাদের সেই শহরটাও আদতে ছিল একটা গ্রামের প্রতিলিপি। শহর বলতে আমি তখনো একটা ছোট গলিকেই বুঝতাম শুধু। এখানকার পথে সবুজ না থাকলেও মাটি ছিল অঢেল। তখনো পিচতো দূরের কথা সুরকিও দেখিনি আমরা।
চতুর্থ মোগল বাদশা নূরউদ্দীন মুহম্মদ জাহাঙ্গীরের বুদ্ধিশুদ্ধি ছিল অল্প। তার টাইটেল জাহাঙ্গীর ফার্সীতে বোঝায় দুনিয়াজয়ী ব্যক্তি, তাই তার হুকুমে আঁকা ছবিতে প্রায়ই দেখা যায় তিনি হাস্যকরভাবে জামাজুতাসুদ্ধা একটা আস্ত ভূগোলকের উপর খাড়িয়ে আছেন। এইরকম একটা ছবি নিয়ে আলোচনা করি আজকে চলেন। ছবিতে মাছের উপর গরু, গরুর উপর পৃথিবী, পৃথিবীর উপর জাহাঙ্গীর। হাতে সোনার ধনুক, সেইটে দিয়ে সোনার তীর ছুঁড়ে মারছেন সড়কির উপর গাঁথা একটি কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের কেটে ফেলা মাথার হাঁ করা মুখের দিকে।
কৃষ্ণাঙ্গ মানুষটি দক্ষিণ ভারতের আফ্রিকান বংশোদ্ভূত গেরিলা কমান্ডার চাপু ওরফে মালিক অম্বর, যার যন্ত্রনায় বাপবেটা আকবর জাহাঙ্গীর ছিলেন অতীষ্ঠ।
একটি সিনেমা কখন জন্ম নেয়?
টিনের ক্যানভাসের ওপর এনামেল পেইন্টের আঁচড়। ছবি হিসেবে নিলামে ওঠেনা, হয়তো ঘরেও নয়। নেহায়েত রাস্তার জিনিস তাই পথে পথেই এর প্রদর্শনী। তাতে কিন্তু এই ছবি গুলোর বিশেষ মানহানী ঘটেনি কখনও। রিকশার ছবি যে আবারো আঁকানো শুরু হয়েছে সেটাই খবর। দেশের অন্য শহর বা জেলা গুলোর খবর বিশেষ জানিনা, তবে রাজশাহীতে বছর কয়েক যাবত রিকশা অলঙ্করনের একটা জোয়ার দেখা যাচ্ছে। ব্লগে বা পত্রিকায় রিকশার পুরনো দিনের কথাই আলোচিত হতে দ