কতদিন ভোরের বাতাসে কাঁঠাল পাতা ঝরতে দেখি না, কুয়াশা ফুঁড়ে বের হওয়া গাঙশালিকের দল কেমন অপরিচিত হয়ে গেছে, মাথার উপরে সোনালি ডানার চিল ভর দুপুরে উড়ে না কেঁদে কেঁদে, চালতাফুল শিশিরের নরম গন্ধের ঢেউয়ে ভিজে না- কিন্তু আমি ভিজি, বছরের প্রতিটি দিন জীবনানন্দের কবিতা আমাকে সিক্ত করে, আপ্লুত করে, সেই ফেলে আসা চেনা জগতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
১.
দরজার কাছে যেতেই মা আবার দৌড়ে আসল। একটু আগেই কিন্তু বিদায় নিয়েছি!
- বাবা, তুই কিন্তু ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করবি।
- হুমম।
- প্রতি শনিবার রাতে আমাকে ফোন দিবি।
- আচ্ছা।
- সারা সপ্তাহ কি কি করলি সব বলবি।
- পিঠা গুলো তোর রুমমেটদের দিস।
- তাহলে আমি কী খাব? (মাকে খেপানোর জন্য বললাম)
- ধুর আমি তো বেশি করে দিয়েছি!
পঞ্চম পর্ব
শীত এগিয়ে আসার সাথে তাল মিলিয়ে মলির চলাফেরা ক্রমশঃই অস্বাভাবিক হতে শুরু করে। প্রতিদিন সকালেই দেরিতে কাজে এসে সময়মত ঘুম ভাঙেনি বলে অজুহাত দেখায়। কারণ হিসেবে শরীরে অবিশ্বাস্য কোনো যন্ত্রণার কথা তুললেও খাবার বেলায় রুচিতে কোনো কমতি দেখা যায়না। কোনো অজুহাত দেখিয়ে ডোবার পাড়ে বোকার মতো দাড়িয়ে জলে নিজের প্রতিচ্ছবির দিতে তাকিয়ে থাকাই তার দৈনন্দিন রু
[justify]
গত সপ্তাহে কক্সবাজার জেলার রামু’তে বৌদ্ধ সম্প্রদায় যে ন্যাক্কারজনক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার হয়, তাদের বাড়ীঘর উপাসনালয় জ্বালিয়ে দেয়া হয় এবং এর ধারাবাহিকতায় উখিয়া এবং পটিয়াতে ও একই ঘটনা ঘটে- অনেকেই তাকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলতে চাইলে ও বাস্তবতা কিন্তু তা নয়।
অনেক গনমাধ্যমে এটি ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’ বলা হলে ও এটি কোন দাঙ্গা ছিলোনা- এটা স্পষ্টতঃ ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের একতরফা সন্ত্রাস। আমি একই সাথে আরেকটা শব্দ ব্যবহার করতে চাই ‘ সামাজিক শুভবোধ’।

আমার কেন জানি মনে হয় আমার স্ত্রীর মানসিক সমস্যা আছে । কিছু মানসিক সমস্যা থাকে না ,যা বাইরে থেকে খুব্ একটা সপষ্ট নয়, কিন্তু খুব সর্ন্তপনে খেয়াল করলে ঠিক ই চোখে পড়ে।
১।
শুক্রবার দুপুরে শিশুমেলার কাছে রাস্তা পার হওয়ার সময় থমকে দাঁড়াতে হল। ডিভাইডারের উপরে নোংরায় মাখামাখি হয়ে একটা বাচ্চা ছেলে পড়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছিল মৃত! কত হবে বয়স? ১২ বা ১৩! শরীরে হাড় আর চামড়া ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নেই। কি হয়েছিল ছেলেটার? চুরি করতে গিয়ে মার খেয়েছে? কিন্তু তাহলে তো এতক্ষণে পুলিশের নিয়ে যাওয়ার কথা! কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম এখনো বেঁচে আছে। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে না বেশিক্ষণ থাকবে।
বাংলাদেশে গত কিছুদিন ধরে যেই বিষয়টি নিয়ে সব থেকে বেশি আলোচনা হয়েছে সেটি সাম্প্রতিক সময়ে রামু,পটিয়া,উখিয়া এই অঞ্চলগুলোতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক নির্যাতন, এটি নির্দ্বিধায় বলা যায়। এই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যখন সোচ্চার হয়েছে, তখন অন্য সকল ঘটনার মতো এই ঘটনাতেও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সুযোগসন্ধানী একটি গোষ্ঠী। যেখানে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শুভশক্তি ও মানবিকতার উত্থানের প্রশ্নে আ
খবরে প্রকাশ, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সমৃদ্ধির পথে।