১।
মাঝে মাঝে নিজেকে অর্থহীন প্রশ্ন করতে ভাল লাগে। 'জীবনের অর্থ কী?' টাইপের উচ্চমার্গীয় অর্থহীন প্রশ্ন। দার্শনিক প্রশ্নে আমার আগ্রহ বরাবরই কম। আমি হালকা ধরণের চিন্তা-ভাবনায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য। কিন্তু রাত সাড়ে বারোটায় বাস স্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় বসে থাকলে জীবনের অর্থ কী টাইপ উচ্চমার্গীয় চিন্তা-ভাবনা পেয়ে বসাটা দোষের কিছু না। এরমধ্যে আবার ফ্রাইডে নাইট, ফ্রাইডে নাইটের এই সময়টা বেশ তরল। এদের এই ব্যাপারটা মাঝে মাঝে বেশ লাগে, সপ্তাহের ক্লান্তি এক রাতের তারল্যে মুছে ফেলার চেষ্টা।
চতুর্থ পর্ব
গ্রীষ্মের শেষের দিকেই পশুখামারের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। নেপোলিয়ন আর তুষারবল আশেপাশের খামারগুলোতেও কবুতরের ঝাঁক পাঠায়। তাদের কাজ হল, অন্যান্য খামারের পশুদের সঙ্গে মিশে এই বিপ্লবের কাহিনী শোনানো ও সবাইকে "ইংল্যান্ডের পশু" গানটি শেখানো।
[justify]
।।১।।
তিনি একটু বিরক্তভরে ভদ্রলোকের দিকে তাকালেন।
সাতসকালেই ভদ্রলোক এসে উপস্থিত। বসবার ঘরে সোফায় বসে আছেন, চোখে গোল্ড রিমের চশমা। হাত দুটো কোলের উপর রাখা। মনে হচ্ছে ওই দুই বেচারাকে নিয়ে একটু বিব্রত আছেন ভদ্রলোক। মাথার উপর বনবন ঘুরছে ফ্যান। এই সকালেও চড়চড়ে গরম পড়েছে। এক ফোঁটা বাতাস নেই কোথাও। দুটো মাছি ইতঃস্তত উড়ছে ঘরের ভেতর।

আজ আদুরে পিচ্চি বাটিসদের কথা বলা যাক।

ছবিতে পয়সার উপর যে প্রাণীটি দেখতে পাচ্ছেন, তা পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট সরীসৃপগুলোর একটি।
কথা বলা দূরে থাক, পানি খেতে, এমনকি ঢোক গিলতেও সাহস পাইনি কদিন। প্রায় দশ পনের দিন দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম। মানুষের গলায় যে এরকম কোন গজব নামতে পারে আগে জানতাম না। কথাবার্তা সব ইশারায় চলেছে। মোবাইল ফোন তো হারামই হয়ে গিয়েছিল। পরিবারের সব মানুষ আর সহযোগী অর্ধাঙ্গিনী না থাকলে কি ভয়ংকর অবস্থা হতো ভাবা যায় না। নাক-গান-গলা বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ করে ঘোষণা দিলেন- গলার ভেতর ব্যাকটেরিয়ার কাফ
অনেক অনেক দিন কথা। চুয়াডাঙ্গার আপেলদ্দি ডাক্তারের তখন বেশ নামডাক। হাসপাতাল আর চেম্বারে তো রোগি দেখেনই, প্রয়োজনে মুমূর্ষূ রোগিকে বাঁচাতে ছুটে যান দূর-দূরান্তে। একদিন এমনই এক রোগির চিকিৎসা করতে গেলেন চুয়াডাঙ্গা থেকে বিশ মাইল দূরে জীবননগরে। রোগির অবস্থা তেমন সুবিধার নয়। তাই আপেলদ্দি ডাক্তার বেশ সময় নিয়ে রোগির চিকিৎসা করতে লাগলেন। কখন যে দুপুর গড়িয়ে গেছে ডাক্তার সাহেব তা খেয়ালই করেননি।
তখনকার দিনে এত ঝকঝকে রাস্তাঘাটও ছিল না, এত এত বাস-মোটর গাড়িও ছিল না। ওদিকে রোগির চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তার সাহেব চুয়াডাঙ্গাগামী শেষ বাসটাও মিস করলেন। অথচ যে করেই হোক সন্ধ্যার আগেই তাঁকে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছতে হবে- কে জানে কতজন রোগি তাঁর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে!
তখন চুয়াডাঙ্গা আর জীবননগরের মাঝে শুধু বন আর বন। মাঝে মাঝে খাপছাড়া দু-একটা গ্রাম। কেন্দুয়া বাঘ, ভালুক, হায়েনা আর বুনো শুকরদের অবাধ বিচরণ সেই বনে। ডাক্তার সাহেব তো পড়লেন মহা মুসিবতে। এখন বাড়ি ফিরবেন কীভাবে? একট গরূ কিংবা ঘোড়ার গাড়ি টাড়িও চোখে পড়ছে না। ঠিক সেই সময় একজন লোক সেই পথ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। রাস্তার পাশে ডাক্তার সাহেবকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে লোকটা সাইকেল থামিয়ে বলল, ‘আরে ডাক্তার সাহেব! আপনি এখানে দাঁড়িয়ে কেন?’
সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টি, চতুর্দিকে প্যাক কাদায় হাঁটাই মুস্কিল। ক্যাম্পের সবাই গোল হয়ে ভাত খেতে বসেছে মাত্র, এমন সময় আজিজ মাস্টার দ্রুত ঢুকে দলের কিশোরী মেয়েটিকে বললেন, “ঐ গাছে উইঠা দেখতো, নদীত কিসের জানি আওয়াজ পাইলাম।” ফট করে ভাত ফেলে হাত না মুছেই বাইনোকুলারটা টান দিয়ে পাঁই পাঁই ছুট লাগালো মেয়েটি, পিছল সুপারি গাছ বেয়ে বাঁদরের মত মগডালে উঠে দূরবীন চোখে দিল। কড়া বৃষ্টিতে কিছু ঠাহর করাই মুস্কিল। ভালো করে এক লহমা দেখল সে, পরমুহুর্তেই দলের দিকে ফিরে রিনরিনে গলায় চাপা চিৎকার দিল, “মিলিটারি! মিলিটারি গানবুট!”
ভূমিকা: বর্তমানে ভারত উপমহাদেশে বিরাজমান সংস্কৃতির মতই এর ইতিহাসও অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। সময়ের পথ ধরে, ইতিহাসের নানা চড়াই উৎরাই পার হয়ে অখণ্ড ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে আধুনিক কালের দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সমূহ। মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস জুড়ে রয়েছে বিদেশী শক্তির আগ্রাসন, পরাধীনতা ও সাম্রাজ্যবাদ। মূলত ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের পরে থেকেই এই উপমহাদেশ বিদেশী শাসকদের অধীনে চলে যায়। প্রথমে মুঘলরা এবং পরে