Archive - 2008 - ব্লগ

December 21st

দখিনা বাতাস

উপল মাহবুব এর ছবি
লিখেছেন উপল মাহবুব (তারিখ: রবি, ২১/১২/২০০৮ - ১:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিশীথের বুক চিরে বয়ে গেল দখিনা বাতাস!

যুগে যুগে ফিরে আসা এ কোন কিংবদন্তী নয়,
নয় কোন প্রভাতী পাখির গানে সুরের অরুণোদয়,
এ যেন শরতের এক বিন্দু শিশিরের মত,
বর্ষার জলের শরীরে সহসা বিজলীর ক্ষত,
দিনশেষে পথহারা ক্লান্ত পথিকের দীর্ঘশ্বাস,
কষ্টের ঘ্রাণ বুকে বয়ে গেল দখিনা বাতাস!!


বুকের ভেতর হলুদ নোটবুক

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান (তারিখ: রবি, ২১/১২/২০০৮ - ১:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তোর দেয়া হলুদ নোটবুকটার পৃষ্ঠাগুলো ভরিয়ে ফেলছে নীল নীল বর্ণ
উদয়-অস্ত বর্ণগুলো নানান প্রলাপ বকে
মাঝে মাঝে পাখা মেলে আসামান জোড়া -
মনেহয় স্বপ্ন-পাখির পালক-বিছানায় শুয়ে আছি
তারাদের দিকে মেলে রেখেছি দৃষ্টির মগ্নতা
আর নিয়ন্ত্রণহীন আঙুলগুলো নিস্তব্ধ ছায়াপথের গোলকে
লিখে যাচ্ছে পথিকের স্মৃতিকথা,
তুই জানিস সে পথিকের নাম -
মাঝে মাঝে বর্ণগুলো জ্বল জ্বল করে
একদিন রাতে আখ ক্ষেতে শেয়া...


সংসার

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: রবি, ২১/১২/২০০৮ - ১২:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সারাদিন খালি ট্যাঁ ট্যাঁ। যেখানেই যাও এদের হাত থেকে রেহাই নাই। বসের অফিস বলো আর ঘর কোথাও এদের হাত থেকে নিস্তার নাই। বউ আর মোবাইল এই দুইটা আসলেই শালা ঝামেলা। যেখানেই যাও মোবাইল বাজবেই। রাত নাই দিন নাই, ঘর নাই বাহির নাই। আর বউ!!! এর কথা কি আর বলব। বড় ডেঞ্জারাস জিনিস। ঘরে ফিরলেই শুরু করবে- আজকে কি করলা, কার সাথে কথা বললা, তোমার অফিসে ফোন করলাম ডেস্কে ছিলা না কেন?? উফ এত সব উত্তর কি দেওয়া যা...


দ্য ফল

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ২০/১২/২০০৮ - ১১:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিনেমা দেখার ফুরসত আমার এখন একেবারেই নেই। স্তুপীকৃত কাজের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে তারপরও বহুদিন পর দেখলাম ২০০৬ সালের সিনেমা, দ্য ফল।

সিনেমাটি সম্পূর্ণই ফ্যান্টাসিনির্ভর, চোখ বুঁজেই একে আমার প্রিয় চলচ্চিত্র দন হুয়ান দি মার্কো কিংবা অ্যাডভেঞ্চারস অব ব্যারন মুনশাউজেনের গোত্রে ফেলে দেয়া যায়। তারপরও মুগ্ধ হয়েছি দুর্দান্ত সিনেমাটোগ্রাফি, অভিনয়, সংলাপ আর শব্দকৌশলে।

সিনেমার গোটা কাহি...


বাংলাদেশ: আশায় নতুন জীবনের বসতি - ৪

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: শনি, ২০/১২/২০০৮ - ১০:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বৃদ্ধ বয়সে নিশ্চয়তার আশায় অধিক সন্তান গ্রহণ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে প্রতি ৩০ বছরে এদেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার ধারণা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। বর্তমানে ঢাকায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলের যে অশিক্ষিত কৃষক মৌলিক চাহিদা থেকেই বঞ্চিত, তার প...


না ভোটকে না বলুন

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শনি, ২০/১২/২০০৮ - ৯:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তৎকালে যাহা নাই, তাহাও ছিল না, যাহা আছে, তাহাও ছিল না। পৃথিবীও ছিল না। অতি দূরবিস্তার আকাশও ছিল না। আবরণ করে, এমন কি ছিল? কোথায় কাহার স্থান ছিল? দুর্গম ও গম্ভীর জল কি তখন ছিল? তখন মৃত্যুও ছিল না, অমরত্বও ছিল না; রাত্রি ও দিনের প্রভেদ ছিল না। কেবল সেই একমাত্র বস্তু বায়ুর সহকারীতা ব্যতিরেকে আত্মামাত্র অবলম্বনে নিশ্বাস-প্রশ্বাসযুক্ত হইয়া জীবিত ছিলেন। তিনি ব্যাতীত আর কিছুই ছিল না। (ঋ...


December 20th

কার দেশ কে বাঁচায়........!!! (১)

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: শনি, ২০/১২/২০০৮ - ৫:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত দু বছর ধরে এদেশের রাজনীতি নিয়ে অনেক কপচাকপচি পর দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল দিন বদল কিংবা দেশ বাঁচাও স্লোগান নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় শামিল হয়েছে, এই করবো সেই করবো বলে দেশ কাঁপিয়ে দুয়ারে দুয়ারে বরাবরের মতোই ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছে। আমার ভোট আমি দেবো দেখে শুনে জেনে দেবো-একজন ভোটার হিসেবে দেখতে, শুনতে আর জানতে গিয়ে দেশ বাঁচানোর অগ্রসৈনিকদের পরিচয় পেয়ে যারপরনাই হতাশ হলাম। দেশ বাঁচাতে ...


জেলার নাম লালকুপি - ৮

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: শনি, ২০/১২/২০০৮ - ৫:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

small ডিসেম্বরের শেষের দিকে এসে এদিকটায় উতসবের আমেজ এড়ানো যায় না। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সরকারি ক্রিস্মাস ট্রি আর রংবেরঙ্গের আলো ঝলমল। টাউনহলের সামনের গাছটা হয় সবচাইতে বড়, এর সাজসজ্জাও বেশী জাঁকজমক। সউথ হল্যান্ডে ক্রিস্মাস ট্রির মত কনিফেরাস গাছ এম্নিতে গজায় না। এক দুই মিটারের গাছগুলোকে আবর্তনে চাষ করা হলেও তালঢ্যাঙ্গাগুলো আসে পুর্ব ইউরোপ থে...


অর্বাচীনের নির্বাচনী ছড়া - ০২ (আমরাও তো দেশ গড়েছি!)

স্বপ্নাহত এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নাহত (তারিখ: শনি, ২০/১২/২০০৮ - ১১:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একাত্তরে একটু না হয়
জান বাঁচাতে বেশ ধরেছি
মানুষ হয়েও পাক কুকুরের
নাপাক সরু লেজ ধরেছি

ভাইকে মেরে শেষ করেছি
মুক্তি নিরুদ্দেশ করেছি

আপনি মহান, তারপরও তাই
পাপ পুড়িয়ে less করেছি
ফ্ল্যাগ লাগিয়ে গাড়ির ডগায়
উন্নতিও বেশ করেছি

দেশের মাথা, কেশ ধরেছি
শুরুর ভুলেও শেষ ধরেছি

দূর অতীতেও পাশেই ছিলেন
আর্জি এ তাই পেশ করেছি
ভোটটা দিয়েন এইবারও ভাই
আমরাও তো দেশ গড়েছি!


বিচার না শাস্তি? কি হওয়া উচিত?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২০/১২/২০০৮ - ৯:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলা আভিধানিক অর্থে বিচার কথাটির অর্থ হলো - ১. বিবেচনা, যুক্তিপ্রয়োগ, গবেষণা। ২. সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া, মীমাংসা, তত্ত্বনির্ণয়, নিস্পত্তি। ৩. আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক। ৪. দোষগুণ, অপরাধ ইত্যাদি নির্ণয়, ন্যায় অন্যায় স্থিরীকরণ, আসামির বিচার।
অপরদিকে শাস্তি কথাটির অর্থ হলো – সাজা, দণ্ড।
“যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই”। আমরা কি ওদের বিচার চাই না শাস্তি চাই। আমাদের নিজেদের আগে পরিষ্কার করে নি...