Archive - 2010 - ব্লগ

May 14th

এই জোছনায়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৪/০৫/২০১০ - ৮:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।।
‘মুরাদ, চল ধানমন্ডি যাই।’
‘এখন ধানমন্ডি যাবি দোস্ত!’
‘কেন, এখন কি তোর কোন কাজ আছে না কি ?’
‘না...ইয়ে এখন না হয় না যাই, তার চেয়ে চল রাতে ঢাকা ভার্সিটিতে ঘুরতে যাই। আজ পূর্ণিমা।’
‘আমি রাজি। তুই কখন আসতে পারবি?’
‘আমি রাত এগারটার দিকে তোকে ফোন দিব।’
কলেজগেটের ঠিক সামনে যে চায়ের দোকানটা আছে, সেখানে চা খেতে খেতে কথা বলছিলাম মুরাদের সাথে। সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে সাতটা বাজে। মুরাদ আমার ভার্...


গল্প তো নেই

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: শুক্র, ১৪/০৫/২০১০ - ৮:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গল্প লেখার মত কোনো গল্প তো আর
নেই আমাদের।
কিন্তু যদি, গল্প বলার মত কোনো গল্প হতো?

ছোটবেলায় দেখা হতো? রোজ বিকেলে
খেলতে যেতাম, নিতাম আড়ি, ভাব নিতাম?
তখন নাহয় বলার মত
অনেক রকম গল্প হত, এখন তো নেই।
গল্প বলার মত কোনো গল্প তো নেই।


শহীদলিপির ইতিহাস - যে ভাবে শুরু

সাইফ শহীদ এর ছবি
লিখেছেন সাইফ শহীদ (তারিখ: শুক্র, ১৪/০৫/২০১০ - ৪:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

১৯৫২ সালে আমার বয়েস ৪/৫ বছর। ফলে ২১শে ফেব্রুয়ারীর কোন স্পষ্ট স্মৃতি নেই। তবে একটু বড় হবার পর থেকে দেখতাম, ঐ দিন খুব ভোরে ছাত্ররা খালি পায়ে হেটে হাতে ফুল নিয়ে স্থানীয় শহীদ মিনারে মিছিল করে যাচ্ছে। একটু বড় হলে আমিও তাদের সাথে যাওয়া শুরু করলাম। শীতের ঐ ভোরে উঠে সবার সাথে দল বেধে খালি পায়ে হাটার মধ্যে কেমন যেন একটা আলাদা উত্তেজনা অনুভব করতাম। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ...


বাংলায় লিখি: ৩

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৪/০৫/২০১০ - ২:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত পর্বের লেখার মূল বক্তব্য ছিলো যে একটি ফন্ট-এর গঠনগত ও ব্যবহারিক সৌন্দর্য নির্ভর করে এর প্রতিটি বর্ণে ব্যবহৃত রং ও স্পেস-এর ভারসাম্যপূর্ণ প্রয়োগের ওপর। প্রথমদিককার টাইপোগ্রাফী ক্লাসগুলোতে আমাদেরকে সেজন্যে খুব বেশি বলা হত আদর্শলিপি বর্ণে ব্যবহৃত স্পেস খুব ভালোভাবে আত্মস্থ করতে । স্পেস নির্ণয়ের জন্যে আমরা কাটা কম্পাস ধরে একই বর্ণের বিভিন্ন অংশের দুরুত্ব তুলনা করতাম, রে...


স্মৃতির শহর-৭: হাবিবিয়া লাইব্রেরি

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৫/২০১০ - ১০:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বইয়ের দোকানকে কেন লাইব্রেরি বলে এই প্রশ্নের জবাব আজও পাইনি। এরকম না পাওয়া অনেক প্রশ্নের “এক্স-ফাইল” তৈরি আছে মনে ভেতর। উত্তর পাব এই আশাও রাখি না। আজকের গল্প ফার্মগেটের একটি “লাইব্রেরিকে” নিয়ে। আমাদের তেজগাঁর বাসা থেকে দশ মিনিটের হাঁটা দূরত্বে ফার্মগেট। বড় ব্যস্ত এই জায়গা। বাসগুলো রাস্তা আটকে লোক উঠাচ্ছে আর নামাচ্ছে। পাশের ফুটপাথে বিক্রেতারা হাজারো পণ্যের পসরা সাজিয়ে হাঁক...


May 13th

অন্বেষা - ২য় পর্ব (উপন্যাস)

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৫/২০১০ - ৪:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত ২ মে থেকে লিখতে শুরু করেছি নূতন উপন্যাস অন্বেষা। ইচ্ছে আছে প্রতিটা পর্ব প্রথমে সচলায়তনে প্রকাশ করার। আজ প্রকাশিত হলো ২য় পর্ব। যারা ১ম পর্ব পড়েন নি, তারা এখানে ক্লিক করে পড়তে পারবেন।

অন্বেষা: ২য় পর্ব

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে “চোখ গোল গোল করে তাকানো”। অন্বেষার ধারণা ছিল এই প্রবাদে “টেকনিকাল ফল্ট” রয়েছে। মানুষ চোখ গোল গোল করে তাকাতে পারবে না কারণ তার চ...


প্রিয়মুখ পুড়ে যায় না-চেনার ভানে

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি
লিখেছেন আনন্দী কল্যাণ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৫/২০১০ - ১১:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কতখানি ফাঁকা তুমি?
আমার মতই কি জলে আঁকা সুখ?
প্রিয়মুখ পুড়ে যায় না-চেনার ভানে।

তোমাকে দেখে ঠিক আমার মতই মনে হয়।
অবিকল বিকল ডানা।
হাতে পায়ে একই করাতের দাগ।
চোখ তুলে তাকালে দেখলাম, চোখ নেই, আছে যশোর।
একটা আস্ত শহর চোখে এঁটে এঁটো কুড়াচ্ছ কুকুরদের সাথে।
ঘুরেফিরে শহরের বিভিন্ন ডাস্টবিনে আমাদের দেখা হয়।
মৃত শিশু, জলের বোতল বা গহন কাঁকন।
সুধীজনের কোঁচকানো মুখের পরিপাটি বসার ঘরেও পাই ...


কেনু?

আব্দুর রহমান এর ছবি
লিখেছেন আব্দুর রহমান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৫/২০১০ - ৯:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আব্দুর রহমান

সব শালারা করতিছে প্রেম
আমার কেনু হয় না?
জিগাইলে কয় হবে হবে
আসল কথা কয় না।

সুখে থাকতে ভূতে কিলায়
আমারে কয় ওরা
এত্তো যখন বোঝোস তোরা
নিজেরা কেন জোড়া?

আলগা পীড়িত হইছে বহুত
অহন দিমু ঝাড়ি
গেলি আমার সামনে থিকা?
তগোর লগে আড়ি।


সেই ১৯৫ পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী [পর্ব ২]

সাঈদ আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন সাঈদ আহমেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৫/২০১০ - ২:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[পূর্ব প্রকাশিতের পর]

দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টা ও জাতিসংঘে ভেটো


শ্বাশুড়ী মম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৫/২০১০ - ২:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফোনটা হাতে নিয়েই খোকা বলবে যখন হ্যালো ,
শ্বাশুড়ী মম ও দাঁত কেলিয়ে বলবে বাবা বলো ,
খোকা বলে সালাম ,
মাম্মী বলে নিলাম,
খোকা শুধায় এখন কেমন শরীর ব্যথা ?
"হায় রে বাবা এই বয়সের বেঁচে থাকা :-("
"প্রেশার কি আজ হাই"?"না রে বাবা প্রেশার আমার নাই"
জিভে কামড় কাটবে খোকা,
"ধ্যাত্তারিকা ছাতার মাথা "
"ডায়াবেটিস আজ কত?
"মাত্র ছিলো শত"
ডান হাঁটুটা ফুলেছে বেশ,
ওটার ব্যথায় জীবনটা শেষ,
এমন করেই কথা চলে ,
মুচকি হ...