Archive - মে 2013 - ব্লগ

May 3rd

মা আমাকে কোলে নিয়ে হাঁটছে

সবুজ বাঘ এর ছবি
লিখেছেন সবুজ বাঘ (তারিখ: শুক্র, ০৩/০৫/২০১৩ - ১২:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি তখন অনেক ছোট। স্কুলে পড়ি কি পড়ি না আমি ঠিক জানি না। একদিন খুব সকালে মা আমাকে ঘুম থেকে টেনে তুলল। তারপর আমার ইজেরে হাত দিয়ে পরখ করে দেখল আমি হিসি করেছি কিনা। মার মুখটা বরাবরের মতোই গম্ভীর হয়ে গেল। তারমানে আমার মাজায় কালো সূতা দিয়ে বাঁধা তাবিজটা কোনও কাজ করছে না। অথচ এই তাবিজটা মাকে প্রায় জোর করে ধরিয়ে দিয়েছিল আমার নানী হায়েতুন্নেসা। তার ধারণা ছিল, এতে আমার বিছানায় মূত্রত্যাগের রোগ চিরতরে সেরে


স্বভাব!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৫/২০১৩ - ১১:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার সহ-কামলা নাজির সাহেব। ভালো মানুষ, অফিস ফাঁকি দিয়ে গেটের বাইরে বিড়ি ফুঁকতে যাওয়া ছাড়া তেমন কোন বদভ্যাস নেই (সাথে অবশ্য আমাকেও নিয়ে যায়, বিড়ি ফুঁকি না, চা খাই)।


বোলোনিয়া পাঁচালী- ০২

মনি শামিম এর ছবি
লিখেছেন মনি শামিম [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৫/২০১৩ - ১১:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

DSC_1657

বোলোনিয়া শহরের একজন নাম না জানা শাসকের মোজাইক দিয়ে নির্মিত পোর্ট্রেট। ছবিটি বোলোনিয়ার সিভিক মিউজিয়াম থেকে তোলা হয়েছে।


নীল পাহাড়ের দেশে- শেষ পর্ব

শাব্দিক এর ছবি
লিখেছেন শাব্দিক [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৫/২০১৩ - ১১:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

May 2nd

আমাদের আনন্দবাড়ী-পর্ব ২

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৫/২০১৩ - ৮:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify] প্রথম পর্বে বলেছিলাম আমার র‍্যাগের দিনগুলোতে সবসময়ের সাথী সেই মেরুন রঙের ডায়েরীটার কথা। আমরা বুয়েটের একটি কালো অধ্যায়ে আমাদের আন্ডারগ্রেডের জীবন শেষ করছিলাম। আমাদের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিষ্টার শুরু হয়েছিল ২০০২ সালের এপ্রিলে আর শেষ হয়েছিল অক্টোবরে। শেষ বলতে বুঝাচ্ছি ক্লাস শেষ হওয়া। এর পরে পরীক্ষা, ফলাফল এবং হল ছাড়তে ছাড়তে ২০০৩ এর ফেব্রুয়ারী। ২০০২ সালের এপ্রিল আর অক্টোবরের মাঝে একটি দিন, ৮ জুন। দিনটি কখনই ভুলে যাবার নয় এই জীবদ্দশায়। সেদিন কি এক কারনে বুয়েটে ক্লাস হলোনা। আমরা বন্ধুরা মিলে রিকশা চেপে প্রথমে হাতিরপুলে বিগ বাইট ও পরে ইস্টার্ন প্লাজায় আড্ডা দিতে গিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে ফিরে এসে তিতুমীর হলে দোতালায় এক বন্ধুর রুমে টিভিকার্ড এর মাধ্যমে কম্পিউটারে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখছিলাম। হঠাৎ করে বেশ কয়েকটা কান ফাটানো শব্দ, আমাদের বুঝতে বাকী রইলনা ভয়াবহ কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। আমার সাথে ছিল বন্ধু ওয়াসিম। আমরা দুইজন হামাগুড়ি দিয়ে রুম থেকে বারান্দায় চলে আসলাম। এসে দেখি পুরো বারান্দায় সবাই ফ্লোরে শুয়ে রয়েছে। চলতে লাগল প্রচন্ড গুলির শব্দ। আমরা আরো নিরাপদে সরে যাবার জন্য আস্তে আস্তে গড়াগড়ি দিয়ে সিড়ি বেয়ে চার চলায় উঠে গেলাম। গুলির শব্দ থেমে গেলে হলের নিচে নেমে আসলাম। বের হয়ে শুনি ’৯৯ ব্যাচের সনির গুলিতে আহত হবার কথা। আমরা বন্ধুরা সবাই চলে গেলাম ঢাকা মেডিকেলে। সনি খুব বেশিক্ষণ বেঁচে থাকেনি। এই অরাজকতার দেশটাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ও চলে গিয়েছিল না ফেরার দেশে।


শুভ জন্মদিন মানিক দা

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৫/২০১৩ - ৩:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রদোষচন্দ্র মিত্র নামের মানুষটিকে আমার অতিমানব বলে মনে হত, চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠত জ্বলন্ত চারমিনার হাতে অন্তর্ভেদী দৃষ্টি নিয়ে বসে থাকা এক যুবক, দুর্ধর্ষ শত্রু মগনলাল মেঘরাজকে নাস্তানাবুদ করার প্ল্যান আঁটতে থাকা, তার সাথে তোপসে আর লালমোহনবাবুকে আমি সত্যি সত্যি হিংসা করতাম। তখন আমি ছিলাম এক ভিন্ন জগতের বাসিন্দা, অনন্যসাধারন সেই জগতে এই ত্রিরত্নের সাথে আমি নিয়মিত ঘুরে বেড়াতাম কখনও বোম্বাই, কখনও কা


অকবিতা-০১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৫/২০১৩ - ১:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তোমায় ক্ষমা করলাম।
যতটা দুঃখ দিয়ে তুমি
আমার বেঁচে থাকা কেড়ে নিলে
তার জন্য কিছুই বললাম না !
তুমি তোমার সোনার হরিণ নিয়ে
বেঁচে থাক চিরকাল
নিত্য নতুন গান নিয়ে
আর ছুটে আসব না !


মে দিবস - এক প্রহসনের নাম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০১/০৫/২০১৩ - ১১:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ পহেলা মে। মে দিবস, মহান মে দিবস। সারা বিশ্বের জন্য এদিনটি শ্রমিকদের মুক্তিগাঁথা হলেও বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য এটি প্রহসন ব্যতীত আর কিছু নয়। ১৯৭১ সালের পূর্বে পরাধীন কালের কথা বাদ দিলাম, স্বাধীনতা অর্জনের ৪২ টি বছর চলে গেলেও আমাদের শ্রমিকদের কোন স্বাধীনতা নেই, মুক্তি নেই; তারা আজও পুঁজীবাদ আর কর্পোরেট বাণিজ্যের শেকলে আবদ্ধ।

বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতির একটি হল সমাজতন্ত্র। এটি প্রচলিতভাবে সংজ্ঞায়িত সমাজতন্ত্র না হলেও ন্যূণতমভাবে রাষ্ট্র রাষ্ট্রের সকলের জন্য সমান দৃষ্টি রাখবে সে দাবিটি রাখে। কিন্তু এ দাবিটি বাংলাদেশের জন্য বারবার অসার হিসেবেই প্রমাণিত হয়েছে। গরিবেরা বরাবরের মতনই নিগৃহীত, শ্রমিক শ্রেণিটি আরো বেশি অবহেলিত।


May 1st

একটা জি পি আর, প্রাইমার্কের চেইন শপ এবং অন্যান্য

পথিক পরাণ এর ছবি
লিখেছেন পথিক পরাণ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০১/০৫/২০১৩ - ৪:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক।

পনের কোটি মানুষের একটা দেশে একটা জি পি আর (গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং র‍্যাডার) নেই!