শৈশব আর কৈশোরের ফেলে আসা মুহূর্তগুলো এই মধ্যবয়সে জানিনা কেন ফিরে ফিরে আসে আমার এই প্রবাসি জীবনধারায়। এক যুগ আগে ফেলে আসা রাজধানী ঢাকার ঐ শহুরে কোলাহল, মহল্লার ছেলেদের হুটোপুটি আর ফেরিওয়ালার ডাক শুনতে পাই আমি এই দূর পরবাসে। সত্য আমি জানি, দেশে ফিরলেও দেখা মিলবে না আর সেই শীলপাটা খোদাইকারিগরের। বহুজাতিক ব্রান্ডের গুড়ো মসলার প্যাকেটের সহজলভ্যতায় পেশা বদলিয়েছে শীলপাটা আঁকিয়ে কারিগর। কত যত্নের সাথেই না
বাতাসে শীতের গন্ধ । প্রকৃতিতে রংয়ের উৎসব শেষ করে পাতাদের ঝরে পড়াও শেষ । বাদামী রংয়ের শুকনো পাতা মাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোথা থেকে ভেসে এল অনেক দিন আগের এই রকম শীতের কোন ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতার গন্ধ...নজরুলের সমাধির পাশে লাইব্রেরীর গেইটে লাল রঙ্গা বাস থেকে নেমে কলা ভবন পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মাটি থেকে কুড়িয়ে নিতাম ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতা । একটু ছিড়লেই সেই পাতা থেকে বের হ’ত অদ্ভুত এক সৌরভ...কোথা হতে ভেসে এলো ফেলে আসা দিনের গায়ে লেগে থাকা সেই সৌরভ...আর তার হাত ধরে চলে এল বন্ধুর মত বন্ধুদের স্মৃতিরা...
দোকানদারের কাছে কাস্টমার মা বাপ। পত্রিকার কাছে বিজ্ঞাপন দাতা। বিজ্ঞাপন দাতা পত্রিকার সংবাদ বদলে দিতে পারে। বিজ্ঞাপনদাতা পত্রিকার উপর পেশাব করে দিতে পারে। আমি প্রগতির ধ্বজাধারী পত্রিকা, মুক্তিযুদ্ধের ধারকবাহক, কিন্তু রাজাকারও আমার উপর উপর পেশাব করে দিতে পারে যদি সে হয় কোটি টাকার বিজ্ঞাপনদাতা।
স্বাধীনতার শত্রু, তোমার মিত্র হতে পারে না
(হয় যদি তা, এরচে’ খারাপ চিত্র হতে পারে না!)
গোলাম আযম, সাঈদী তোমার পক্ষ হতে পারে না
মীর জাফরের স্বার্থ, তোমার লক্ষ্য হতে পারে না
আন্দোলনের পন্থা তোমার জঙ্গি হতে পারে না
জামাত-শিবির ভুলেও তোমার সঙ্গী হতে পারে না
তৈরি হয়েই ছিল মিঁয়াও- পেছনের দুপায়ে দাঁড়িয়ে, সামনের দু’পা দিয়ে উপরের ঢাকনাটা একটু পর পর আঁচড়ে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি উপরের দিকে তাকিয়ে প্রথমে একটু নরম করে “মিঁ-ই-ই-ইয়াঁও!” এরপর অস্থিরতা একটু বাড়িয়ে “মিঁ-ই-ই-য়া-য়া-য়া-ও!” আর সবশেষে “ম্যাঁও! ম্যাঁও!” করে মেজাজটা জানান দেয়া আর থেকে থেকে পা নামিয়ে ওইটুক জায়গাতেই একটা চক্কর দিয়ে অপরিচিত বাইরেটা আরেকটু দেখার চেষ্টা করা- আবার দু’পা তুলে হাঁকডাক-
[ দেশে আজো টেকা দায় ছাগুদের গন্ধে, চলো ছাগু বধে নামি, পাশবিক ছন্দে। রাজাকার ছানাপোনা, হয়োনাকো খুশি আর, আবারো জেগেছে জাতি, হুঁশিয়ার! হুঁশিয়ার!! ]
বিদেশি "বন্ধু"দের প্রতি
---------------------------------
খুব দরদী আপনি নাখোশ "সাচ্চা , মহান বীর " বিচারে
( কই যে ছিলেন যখন তারা মারলো মানুষ নির্বিচারে ! )
কই যে ছিলেন একাত্তরে, কোথায় বসে? কার কোলেতে ?
বোনটা যখন সব হারালো, ফিরলোনা ভাই মা'র কোলেতে?
বেশ ক'দিন ধরেই মনে হচ্ছে ছোট থাকতে থাকতেই ছোটবেলার কাহিনীগুলো লিখে রাখা দরকার। বয়স গোণা বাদ দিয়েছি সেই ২৫ বছর বয়সেই। এখন মেয়ের বড় হওয়া দেখি, আর নিজের বড় হওয়ার কথাগুলো মনে পরে। আর তাই বড় হওয়ার গল্পগুলো লিখে ফেলতে চাই বুড়ো হওয়ার আগেই।
[justify]একইসাথে বিখ্যাত (ফটোগ্রাফার) এবং কুখ্যাত (পশুপাখির বিশেষ মুহূর্তের অন্তরঙ্গ ছবি তুলে পাবলিক ডোমেনে অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ করার জন্য) ফাহিম হাসানের সাথে ক্লান্ত পায়ে হেঁটে আসছিলাম, সারারাত মুস্তাফিজ ভাই আর সুজন্দার সাথে তৃতীয় দফা জম্পেশ আড্ডা দেয়ার পর। ২০১৩ এর শুরুটা বেশ জমজমাট হল ফাহিমের আগমন উপলক্ষে। আনুষ্ঠানিকতা আমার বরাবর করা হয় না, পহেলা জানুয়ারী বা মহররম যাই হোক না কেন, ছুটি পেলে