[justify]
মানুষ একসঙ্গে কটা দিকে মনোযোগ দিতে পারে ??
আমি বাপু এ দলে নই,যখন যেদিকে ছুটি--- পুরো দুনিয়া হাতের মুঠোয় পুরে ছুটি। একে তো বাচাল মানুষ (মুখ বন্ধ করে থাকতে পারিনা), তার ওপর একরোখা (নিজে যা বুঝি তাই করি)। ইহজীবনে যদি কোন অভাগার কপালে এই "পেইন " প্যাকেজ জোটে, বেচারার কি দশা হবে ভেবে আমি নিজেই দু-একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দি!
একটা গ্লাসে অর্ধেক পানি আছে ... আপনি কি বলবেন যে আপনি গ্লাসটার অর্ধেক ভরা দেখছেন? হ্যাঁ আপনি তাই বলবেন। কজ অব লোক দেখানো যে আপনি সব কিছু পজিটিভলি দেখেন ... আপনি আসলে অনেস্টলী ভরা দেখছেন না... গ্লাসটা অর্ধেক খালি দেখছেন।
কারণ?
যদি গ্লাসটা ভরাই দেখতেন .. তাহলে জন্মদিন মানে বয়স বেড়ে যাওয়া মনে হয় কেন? জন্মদিন চলে আসা মানে ধীরে ধীরে বিয়ের বয়স হওয়া বুঝতে পারছেন না কেন? ... নিজের বুকে হাত দিয়ে ...
দিনগুলো কেমন ছন্দহারা হয়ে যায় কখনো কখনো। একঘেয়ে নাছোড়বান্দা বৃষ্টি ঝরছে তো ঝরছেই। সঙ্গে হাড়কাঁপানো হাওয়া। কেমন কালচে একটা মনখারাপী রঙের আকাশ। এমন সব দিনে সবকিছু কেমন অর্থহীন লাগে, মনে হয় কবে আবার ঝলমলে দিন আসবে, কবে দেখা দেবে প্রিয় সূর্যের মুখ!
কতকাল উপকথা বলা হয় না। বলবো বলবো করেও বলে উঠতে পারি না, কোন্টা বলবো বুঝতে পারি না। চারিদিকে উপকথারা ঘুরে বেড়ায় হালকা পায়ে, এত কাছে য...
[justify] বার্ড কলেজে এসে পৌছানোর পরে আবার যখন বের হই, আমার স্ত্রী তখন বলে, কি দরকার ছিল এসব ঝামেলা করার, ২ মাস অপেক্ষা করলে কি হত? আমি তাকে আস্বস্ত করার অপচেষ্টা করি কতক্ষন, তারপর তা বাদ দিয়ে তাকে বলি পিছনে শুয়ে ঘুম দিতে। আসলে ভয় আমার নিজের কি কম? আমেরিকা এসে এক মাস ধরে আছি, বামহাতি গাড়ি আগে চালাই...
ঝনননননননন............................................ যাহ!আবার ও কিছু একটা ভাঙলো!প্রতিদিন কোন না কোন অঘটন আর মিরার চিলচিৎকার এভাবেই রোজ ভোর হয় আমার ৪ কামরার এই ফ্ল্যাট এ।ব্যাংকার আমার ব্যস্ত জীবনে চাকরি যেখানে প্রায় নটা-আটটা ভোরবেলার এই আলসেমির সময়টুকু একান্ত আমার মনে হয়।চায়ের উষ্ণ ধোঁয়ার ফাঁকে বহুতল ফ্ল্যাটে আমার এক চিলতে আকাশ দেখা,ভোরটা কখনো ঠিক তুলতুলে পাখির মত অথবা হয়ত কখনো চকলে...
[justify]
গুড্ডুর বন্ধু বাবু মস্ত একটা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসে।
গুড্ডুরা স্কুল ছুটির পর অনেকক্ষণ খেলে। স্কুলের মাঠে মর্নিং শিফটের ছেলেরা খুব একটা খেলাধূলার সুযোগ পায় না, হেডমাস্টার তাদের মেরেবকে খেদিয়ে দ্যান। বাসায় গিয়ে আবার খেয়েদেয়ে পড়তে বসতে বলেন। অ্যাসেম্বলি মাঠের সবুজ ঘাসগুলি গুড্ডুদের দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচায়।
অ্যাসেম্বলি মাঠে না হোক, জিমনেশিয়ামের সামনে ছোট্ট মাঠটুকুত...
ময়নার জন্য আজও মন কাঁদে। একদিন সে ছিলো আমার অতিবেশি। আমার উঠোন থেকে দু কদম এগিয়ে গেলেই ময়নার উনুন। উঠোন থেকে উনুন- বন্ধু পরম্পর। ছোট থেকেই ওর বেড়ে ওঠা দেখেছি। উদোম শরীরে ফ্রগচড়া দেখেছি। ওড়না চেয়ে সালোয়ারের দবীও শুনেছি। হাসি-কান্না দুটোর ভেতরেই হেঁটেছি আমি। আমরা যখন দুধকলায় সোমত্ত হয়েছিলাম ও তখন বেড়েছিলো পান্তা-লঙ্কায়। আমি যখন টই-টই করে ঘুরে বেড়াতাম। বৃষ্টিতে ভিজতাম। ঝড়ে আম কু...
...
‘বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ান’। সাতসকালে পত্রিকাগুলোর হেডলাইন দেখেই চমকে উঠলাম ! মেরুদণ্ড বেয়ে একটা শিনশিন ঠাণ্ডা স্রোত নেমে গেলো নিচের দিকে। নিজের জন্য নয়, আমাদের সন্তানদের ভবিতব্য চিন্তা করে। সেই উনিশশো একাত্তরেও নাকি এভাবে একবার বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানিয়েছিলেন বিশ্বের কিছু মানবহিতৈষী ব্যক্তি। সেটা যে কতো...
(ডিস্ক্লেইমারঃ অতি অখাদ্য। ইচ্ছে হলে এড়িয়ে যেতে পারেন।)
এক বৃদ্ধ কাক মুখে এক টুকরো গরুর মাংস নিয়ে গাছের ডালে এসে বসল। বয়স হয়েছে, এখন কি আর এসব চুরিচামারি মানায়, অল্পতেই ক্লান্তি লাগে। কাক একটু মাথাটা সরিয়ে উঁকি দিয়ে দেখে বাজারের ওদিকটায় কুরবানীর মাংস কাটছে কিছু লোকে। বয়স থাকলে আরো কত টুকরো চুরি করতে পারত তার একটা আন্দাজ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
এমন সময় রাস্তা দিয়ে ক...
(১)
আকাশপানে চেয়ে সে বসে থাকে
পাশে বয়ে যাওয়া নির্মল স্রোতধারা
জীবনস্রোতে ভেসে যেতে
কল্পনায় ভেসে ওঠে অতীত এবং ভালবাসা
কার ভুল ছিল তা জানা নেই
তার জন্য কেউ কি আজো ভাবে ?
মনোশঙ্কা থেকে থেকে কি মুক্তি হবে তার ?
চোখ দিয়েও অশ্রুর স্রোত নামে
পেছনে রয়ে যায় ভালবাসার মানুষেরা
জীবনস্রোতে আবারো যাত্রা শুরু
সুখের প্রত্যাশায়
পাশে বয়ে যায় নির্মল স্রোতধারা।
(২)
জেগে ওঠো বন্ধু সূর্য্ যে ...