আমার এক বন্ধু গত ১৭ এপ্রিল তার ক্যান্সার মুক্তির ২ বছর পূর্তি উদযাপন করলো। আনন্দে ঝলমল হয়ে যখন আমাকে জানালো তখন আমার মনে হল- আমি তো আরেকটি এমন দারুণ সত্যি ঘটনা জানি! একটি পরিবারের মৃত্যুকে ফিরিয়ে দেয়ার গল্প, হাল ছেড়ে না দেয়ার গল্প। পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য অনুপ্রেরণার গল্প। শুনুন।
কৃষ্ণপক্ষের কালিগোলা অন্ধকার রাত। গা ছমছমে একটা ডাক ভেসে আসে সজনে গাছের জমে থাকা অন্ধকারের আড়াল থেকে। বড্ড ভয়ংকর সেই ডাক। গাঁয়ের লোকেরা বলে জমকুলি ডাকে। রক্ত হীম করা করুণ সুরে। কু-উ-উ কু-উ-উ রবে। এই জমকুলি আদৌ কী, তা বলতে পারে না কেউ, শুধু ভয় পেতেই জানে। লাইট জ্বালিয়ে সজনে গাছের মাথটা একবার দেখে আসে সে সাহসও নেই কারও।
[জিএম এবং বিটি নিয়ে পাঠকদের মধ্যে কিছু অনিশ্চয়তা লক্ষ্য করলাম আগের পর্বে। সে জন্য এই আলোচনার আগে বিষয়টা একটু বলে নেই। আমার তথ্যসূত্র জার্মান ভাষা থেকে নেয়া, কাজেই ইংরেজী উচ্চারণ এবং বানানে হেরফের হতে পারে।
নভেম্বর, ১৫৫৬। উত্তর ভারতবর্ষ।
টানা কাটাকাটিতে ক্লান্ত মকবুল একটু জিরিয়ে মাথার পাগড়িটা ঠিক করে নিল। বাতাস দিচ্ছে, ঠাণ্ডা তেমন নাই যদিও। সূর্য একবারে মাথার উপরে।
পাশেই হাত চালিয়ে কাজ করতে থাকা আলী তাড়া দিল, এই উঠ। খালি কাম ফাঁকি। সবমিলায় দুইশো বত্তিরিশখান লাগব।
গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের (গ্যাবো) বাবাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি কোনো সময় উপন্যাস লিখতে চান নি? উনি নাকি একটি বিষয় নিয়ে যাও বা লিখতে চেয়েছিলেন, বেশ চিন্তা-ভাবনা করেছিলেন, এক সন্ধ্যায় গ্যাবো ফোন করে একটা শব্দের ব্যাপারে জানতে চাইলেন তিনি বুঝে যান যে গ্যাবো নিজেই সেই ঘটনা নিয়ে লিখতে আরম্ভ করেছে, তাই আর উপন্যাস রচনায় মনোনিবেশ করেন নি।
আজ রানা প্লাজা’র মর্মান্তিক ঘটনার এক বছর হয়ে গেল।
সব মিডিয়ায় বেশ ফলাও করে এসেছে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে জোরেশোরে লেখালেখি হচ্ছে, সে সময় ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করা অনেকে সেই দিনগুলোর সৃত্মিচারণ করছেন।
আর আহত, স্বজনহারা ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মানুষরা চোখের জলে দিনটি পার করছে।
[justify]খালামনি, সকাল দশটায় কি কামরুলকে আবার নতুন করে বানিয়ে হাওড়ায় এনে দিবে ওরা। আমি কিছু না বলে যায়ানের দিকে ফিরে তাকালাম একবার। এই ছেলের হাজারটা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আমার দাঁত ভেঙ্গে যাচ্ছে প্রায়। জেরী ওকে কিভাবে সামলায় আল্লাহ মালুম। আমি কিছু বলবার আগেই পাশ থেকে জেরী বলে উঠলো বাবা, ওটা কাম্রুল না কামরূপ হবে। এরপর ও যায়ান কামরুলের নামে হাবিজাবি বকে যেতে লাগলো। সেদিকে ভ্রূক্ষেপ না করে চেয়ারে
বাংলাদেশে প্রতিবছরই বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নদের স্ট্রাইক পরিলক্ষিত হয়। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইন্টার্নদের স্ট্রাইকের কারণ “কর্তব্যরত চিকিৎসকদের লাঞ্ছনা এবং নিরাপত্তার অভাব।” আমাদের দেশের মিডিয়া সবসময়ই অত্যন্ত একপেশেভাবে এই স্ট্রাইকের খবর দেয় এবং প্রায় সবসময়ই ডাক্তারদের খলনায়ক বানিয়ে রোগীদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরার একটা জনপ্রিয় প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। এটা প্রায় কখনোই লেখা হয় না য
চলতি পথে পাওয়া - ৪,৫,৬,৭ এর ভূমিকা তে লিখেছিলাম “ ‘চলতি পথে পাওয়া’ সিরিজ টা নিয়ে একটু বলি আগে। নাম শুনে মনে হতেই পারে যে এটা হয়ত পথ চলতে গিয়ে দেখা বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা। হুম, হতে পারে। তবে তার চেয়েও বেশি হচ্ছে চলার পথে বসে থাকার সময় কতক বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখে বা এমনিতেই মনের ভেতর বিভিন্ন এলোমেলো চিন্তা ঘুরপাক খায়, তাদের বর্ণনা। লেখার ধরণ সাইকোডেলিক, অ্যাবস্ট্রাকটিভ, ম্যাজিক রিয়ালিস্টিক, স্যুরিয়ালিস্টিক আবার খুব সাধারণ বর্ণনাও হতে পারে।”
আজকের এই পর্বগুলোতে থাকবে ঘটনার বর্ণনা এবং অবশ্যই ঘটনাগুলো চলতি পথেই পাওয়া। দুটি ঘটনাই দুঃখজনক হলেও বেশ চমকপ্রদ! বিশেষ করে যারা ঢাকা শহরে নিয়মিত বাসে বা লোকাল বাসে যাতায়াত করেন তাদের সচেতনতার জন্য জানা প্রয়োজন মনে হয়েছে আমার কাছে। তবে চলুন, এখন পথে নামি...
[আইজ্যাক আসিমভ আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। তার 'হাঊ ডিড উই নো' সিরিজের 'যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার' বইটি অনুবাদের একটি প্রচেষ্টা নিলাম। তিন পর্বে সমাপ্ত করার আশা রাখি]
পৃথিবী কি সমতল?
বহুকাল আগে, মানুষ ভাবত পৃথিবী বুঝি সমতল। কেননা তা দেখতে সমতল সমতলই লাগে।