৮ই নভেম্বর ২০১৬
বাড়ী ফিরতে ফিরতে প্রায় পৌনে আটটা, এর মধ্যেই দেখি অফিসের লীডারশিপ গ্রুপটায় লোকজন উত্তেজিত, কি না 'প্রধানমন্ত্রীজি ভাষণ দেনেওয়ালে হ্যাঁয় রাত আট বাজে টিভি পর'। ধ্যাত্তেরি, দিতে থাকুক, ভেবে গুরুত্ব দিই নি। ওবাবা সমানে টুংটাং মেসেজের ঝড়। খুলে দেখি সব ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট মাঝরাত থেকে বাতিল ব্লা ব্লা ব্লা। প্রথমেই মাথায় এল আর সিগনালে রবীন্দ্রসংগীত বাজানোর আদেশে আমরা কিনা পশ্চিমবঙ্গের ওনাকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সাথে তুলনা করেছিলাম। তারপর আলমারীর ড্রয়ার হাঁটকে দেখলাম যা খুচরো আছে তাতে এক্ষুণি এটিএমে গিয়ে লাইন দিতে হবে না। যাক আপাতত নিশ্চিন্ত। শনিবারে দেখা যাবেখনে
যেদিন আমি জন্মেছিলাম সেদিনের পত্রিকায় কি ছিল সেটি দেখার কৌতুহল ছিল অনেকদিন। তাই ইত্তেফাকের সেদিনের পত্রিকার চোখ খুলে ছানাবড়া হয়ে গেল। আমাদের ইতিহাসের এই অধ্যায় আমি জানতামই না! চারশ' বাংলাদেশী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিল? তারা এখন কোথায়? আমি ১৯৮২ সালের ১২ই জুলাই পত্রিকার ক্লিপিংসগুলো এখানে দিয়ে দিলাম।
আমি তবে আড়াই হাজার সাঁওতাল পোড়াবাড়ি
হিন্দু মায়ের ভেঙে দেওয়া শাখা মুছে দেয়া সিঁদুর
আমি জাতীয়তাবাদের কাছে হেরে যাওয়া পাহাড়ি
আমি সমাধিকার না পাওয়া নারীর ফিকে রোদ্দুর
আমি মানুষকে জিতিয়ে দিতে গিয়ে কেবল
অমানুষের কাছে শুধু হই পরাজিত
তোমার সাথে ধর্মে মতে মিল না হলে প্রবল
বন্ধু হওয়া যায় না একেমন অযাচিত
এই মাটি তোমার আমার এই দেশ একাত্তরে মা
তবে কেনো রাজনীতির লাস্যে স্বপ্ন দিচ্ছো জমা
বাংলাদেশে হিন্দুরা যেই পরিমাণ অসহায়ত্ব নিয়ে থাকেন, আমাদের পদে পদে লজ্জা পাওয়া উচিত আমরা এরকম একটা রাষ্ট্রব্যবস্থার নাগরিকত্ব ধারণ করি বলে। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচুর চমৎকার সব কাজ আছে। এই সরকারের সময়ে যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে দেশে অতটুকু আর কারো দিয়ে হতোনা এই কথা নিঃসন্দেহ হয়েই বলা যায়। কিন্তু একজন দরিদ্র কৈবর্তের শেষ সম্পদ মাছ ধরা জাল যখন লুট হয়ে যায় ধর্ম রক্ষার নামে, পূজারীর সামনে যখন ধুলায় লুটায় তার পরম আদরের প্রতিমা তখন এইসব উন্নয়নকে মনে হয় সেই মণিহারের মতো। যাকে ধরতে গেলেই লাগে, যারে পরতে গেলেই বাজে। আমরা উন্নয়নের ওম চাই চাই প্রিয় রাষ্ট্র-সুপ্রীয় সরকার কিন্তু আমার দেশের মানুষের চিতার আগুনের তাপে নয়। সময় থাকতে এই আগুন নেভান। চিতা যেন দাবানলে বদলে না যায়। দাবানল দেবালয় এড়ায় না।
২০০৫ সালের এপ্রিলে চীনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও বাংলাদেশ সফর করেছিলেন, বিএনপি তখন ক্ষমতায়। চুক্তি হয়েছিল ৫টি, সমঝোতা স্মারক ২টি, বাকিগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে। ফলাও করে ওই সফরের সার্থকতার কথা প্রচার হলেও শেষপর্যন্ত ফলাফল আশাব্যঞ্জক ছিল না । ২০০২, ২০০৮ সালে বাংলাদেশের তরফ থেকেও সফর হয়েছিল। প্রতিব
সর্বপ্রথমে মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আমার এই নিদিষ্ট বিষয়ে কেন আগ্রহ তার ভূমিকা পাঠকের সুবিধার জন্য দেওয়া দরকার বলে মনে করছি ৷ হুমায়ুন আজাদের 'পার্বত্য চট্টগ্রাম:সবুজ পাহাড়ের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হিংসার ঝর্ণাধারা' নামক ছোট্ট বইটি সম্ভবত অবশ্যপাঠ্য ও প্রিয় বই বিশেষত তাদের কাছে-যারা ব্লগ, ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন- অফলাইন মাধ্যমে হিল ট্র্যাকসের পাহাড়ী/আদিবাসীদের (সরকার ও অনেক বাংগালীর মতে উপজাতি/ক্ষুদ্র ন
মূল: Hirschkind, Charles and Saba Mahmood. "Feminism, The Taliban, And Politics Of Counter-Insurgency". Anthropological Quarterly 75.2 (2002): 339-354. Print.
কিঞ্চিত অভিযোজিত।
মার্কিন মুলুকে যারা গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট (graduate student) তাদের জন্য শুক্রবারটা সপ্তাহের আর ছয়টা দিনের চাইতে আলাদা। পাঁচ দিনের খাটুনির পরে দুদিনের বন্ধের শুরু হিসেবে শুক্রবার রাতটা একটা অন্যরকম আবহাওয়া নিয়ে হাজির হয়। বেশিরভাগ জায়গাতেই যেখানে জনাকয়েক বাংলাদেশী ছাত্র আছে সেখানে শুক্রবার রাতটা একটা উৎসবের মত। রাতে পছন্দের কোন খাবারের দোকানে ভরপেট খেয়ে বসা হয় কারো বাসার ছোট্ট বৈঠকখানায়। আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে উঠে আসে সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গ। এসবের মাঝে যেটা ইদানিং যেটি বেশ গুরুত্ব পায় সেটি হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীতা। অভিবাসীদের নিয়ে নানা ট্রাম্পের নানা মন্তব্যে আপনারা যারপরনাই চিন্তিত। ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হলে H1B, গ্রীন কার্ডের স্বপ্নটাকে বিসর্জন দিয়ে ক'দিনের মাঝেই পাততাড়ি গুছিয়ে দেশে ফেরত যেতে হবে ভেবে চিন্তিত আপনারা সবাই। ট্রাম্প সত্যিই রাষ্ট্রপতি হতে পারবে কি না অথবা ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হলেও এসব ভয়ের কোনটা সত্যি হবে কি না তা এখনই নিশ্চিৎ করে বলা মুশকিল। তবে এ কথা সত্যি যে আপনারা সবাই চিন্তিত।
লিখেছেন- টেলেমেকাস
বাংলাদেশের ইতিহাসে জাসদ এক বিপুল বিভ্রান্তির নাম ।