Archive - জুল 2011

July 30th

| ঘড়ায়-ভরা উৎবচন…|১৬১-১৭০|

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৭:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অর্থহীন হলেও একটা সতর্কতা থাকলো না-হয়:
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে, তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।


July 29th

দ্য গার্ল হু সেডিউসড এভরিবডি - ২

সিরাত এর ছবি
লিখেছেন সিরাত (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৯:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[এ পর্যায়ে এসে ক্রাইটন কিছুটা বিরক্তই হলেন। তিনি দেখতে পাচ্ছিলেন জিনিসটা কোনদিকে যাচ্ছিলো।]

[ডক্টর গেলারকে] "আপনি কি বলতে চান? Do you think that I, uh, want to have sex with her?"

গেলার: "আমি জানি না। তুমি আমাকে বলো।"

"না। আমি চাই না।"

"তাহলে তোমার চিন্তার কি আছে?"

"আমি চিন্তিত না তো কিছু নিয়ে।"

"তুমি মাত্র আমাকে বললে তুমি নিশ্চিত না তুমি ওকে সামলাতে পারবে কি না।"


সমুদ্রবক্ষের মাটির উৎস : পর্ব ৩

পাগল মন এর ছবি
লিখেছেন পাগল মন [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৮:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তিন পর্বের শেষ পর্বটি আজ দিলাম। মাথা থেকে একটি বোঝা নেমে গেল মনে হচ্ছে। অনুবাদ করা অনেক কষ্টকর আর সেটা যদি হয় এরকম টেকনিকাল সায়েন্টিফিক আর্টিকেল তাহলে তো কথাই নেই। তার উপরে আমার অনুবাদের আড়ষ্টতা ব্যাপারটাকে আরো কঠিন করে তুলেছিল আমার জন্য। আর কথা না বাড়াই। হাসি

প্রথম পর্ব: সমুদ্রবক্ষের মাটির উৎস : পর্ব ১
দ্বিতীয় পর্ব: সমুদ্রবক্ষের মাটির উৎস : পর্ব ২

আগের পর্ব হতে: মিড ওশান রিজের বিপুল পরিমাণ লাভা মাত্র পাঁচ কিলোমিটার প্রশস্ত একটি অংশ হতে সমুদ্রতলে উঠে আসে। ভূকম্পন সার্ভে, যা কঠিন ও গলিত পাথর আলাদাভাবে সনাক্ত করতে পারে, দ্বারা দেখা যায় যে মেল্ট প্রায় ১০০ কিলোমিটার গভীরতা ও কয়েকশত কিলোমিটার প্রশস্ত একটি এলাকা জুড়ে বিদ্যমান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে এই বিপুল পরিমাণ লাভা আগ্নেয়গিরির সরু নালা দিয়ে সমুদ্রতলে উঠে আসে?


পাপখাতা ও হাওয়ার বিশ্রাম

সৈয়দ আফসার এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আফসার (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৭:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাহস হয় না তবুও বলি— তোকে বন্ধু ভাবলেই
ভোগদৃশ্যের ভেতর জেগে ওঠে এক চোখের জরা
গোপনে অন্য চোখের সমর্পণ, আহা টাঙানো নিয়ম
শূন্যদিনে খুব কাছে জেগে ওঠা সর্বপরিচিত ঋণসহ
বিবশ-করা দেহের পুরনো বিশ্বাস
চোখের স্বভাবে চারপাশ ঘুমিয়ে পড়ে মধ্যরাতের আগে
অনিচ্ছাগুলো অন্ধঘরে ক্রমশ ধ্বস্ত করে শিয়রে দাঁড়ায়
আমি কেবল লুকিয়ে রাখছি ভাবঘুম, মাদুলীশব্দ আর


মার্কিন মুল্লুকে-৬: ঘাতক ট্রাক

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৪:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের ছোটবেলাতে ঢাকার রাস্তাঘাটে ছিল ট্রাকের দাপট। সময়ে অসময়ে রাস্তায় প্রবল বেগে চলত রাগী রাগী চেহারার সব ট্রাক। ওদের ডিজেল ট্যাংকে লেখা থাকতো জন্ম থেকে জ্বলছি আর পেছনে থাকতো মায়ের দোয়া। ট্র্যাফিক আইন থেকে পদার্থবিদ্যার আইন সবাইকেই অমান্য করত ওরা। চলার পথে রিকশা, গাড়িসহ আর যা যা ছোটখাটো যানবাহন ছিল তাদের সবাইকেই তুচ্ছজ্ঞান করত মহামান্য ট্রাক। শোনা যায় আশির দশকের কোনো এক মাঝরাতে নাকি স্বৈরাচারের পশ্চাৎদেশে (মানে ওই ব্যাটার গাড়ির আর কি) আঘাত হানতে বসেছিল এই মহাশক্তিধর প্রাণীটা। নিউজ মিডিয়াতে ট্রাককে বলা হতো ঘাতক ট্রাক। আমরা নাদান জনগন রাস্তায় নামলেই চোখ-কান খোলা রাখতাম, কখন কোত্থেকে উড়ে এসে প্রাণপাখির ডানা খামচে দেবে সে।


লাল বাহাদুর শাস্ত্রী

ফাহিম হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফাহিম হাসান (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৪:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইতিহাসে অনার্স পাশ করে টানা দুইবছর ধরে বেকার ছিলাম। শখানেক দরখাস্ত ফেলেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত অনেক ধরাধরি করে একটা ফার্নিচার কোম্পানিতে কেরানীর কাজ জোগাড় করলাম। দায়িত্ব হল কাঠের সাপ্লাইয়ের হিসাব রাখা। পোস্টিং একদমই অজানা-অচেনা এক গ্রামে। বেঈমান শহুরে জীবনের পাছায় লাথি মেরে চলে আসলাম।


সাম্প্রতিক বাংলাদেশ কথন, ০১

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
লিখেছেন সবুজ পাহাড়ের রাজা (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ৩:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কেমন আছি আমরা?
কেমন চলছে আমাদের সবকিছু?
কেমন আছে আমাদের দেশ?

উত্তর একটিই: ভালো নেই।

স্বাধীন দেশের মানুষ হয়েও নিজ ভূমিতে পরাধীন আমরা। স্বাধীনতার পর থেকে আত্তয়ামী লীগ-বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টি-সামরিক সরকার দ্বারা আমরা নির্যাতিত। প্রতিদিন এত এত খারাপ সংবাদ শুনতে শুনতে ক্লান্ত আমি-আমরা।


বালিকাবেলায়............

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ১:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দিনগুলো এখন আর আমাকে সময় দেয়না ।ব্যস্ত সময়,সারাদিন কাজের মাঝে ডুবে থাকতে থাকতে নিজেকেই ভুলে যাই মাঝে মাঝে । হাতের ঘড়িটার সাথেই এখন সমস্ত প্রেম চলে, কখনো নড়চড় করা যায়না ওটার বেরসিক আব্দারকে । দিনশেষে তাই যখন নিজের জন্য মিনিট কয়েক সময় বের করি, হাঁটতে বের হই। ল্যাম্পপোস্ট এর মৃদু আলোয় দুনিয়াটাকে অনেক আপন মনে হয়। সাদা স্বপ্নগুলোকে নিয়ে খেলতে থাকি মনের ভেতর।


স্বপ্নীল রাত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৭/২০১১ - ১২:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ এই রাতে তমসা ছেঁয়েছে চারিদিকে। যেন আঁধারে গ্রাস করেছে ধরণী।তথাপি বিশাল আকাশের বুকে আধ-খানি চাঁদ ম্রিয়মান অস্তিত্ত্বে বিরাজমান।যেন কোন সম্ভবনার জানান দেয় সে।

সব চলে গিয়েছে ঘুমের দেশে।ঘুমপরীরা তাদের নিয়ে যায় স্বপ্নের দেশে।হাজারো স্বপ্নের সমারোহ।লাল নীল স্বপ্নেরা ভীড় করে তাতে।


District 9

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি
লিখেছেন আশরাফ মাহমুদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৭/২০১১ - ১১:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]১
চিত্র ১:
১৭৬৯। হাইতি। এখানে মাটির রঙ আলকাতরা-কালো, তারচে' বেশি কালো এই ফসলি জমির শ্রমিকদের গায়ের রঙ। ওরা ৪৪ জন। একটানা কাজ করছে সেই উষা থেকে, যখন সূর্যের-ও চোখ খুলে নি, আর এখন সূর্যের ঘুমিয়ে পড়ার সময়। পাক্কা ১২ ঘণ্টা। শ্বাপদের মতো সর্তক চোখে তাকিয়ে আছে শ্বেতাঙ্গ মনিব। কাজে একটু এদিক ওদিক হলে চাবুকের বাড়ি, গরম শিকের ছ্যাঁকা। ওরা কাজ করে যায়, মাঝে মাঝে হাঁপিয়ে উঠলে উঁকিঝুঁকি মারে আশপাশে, দ্রুত লয়ে কথা বলে। ওরা কাজ করে যায়। নিয়তি। মানুষের অপমান। ঈশ্বরের নিস্পৃহতা। ওরা কাজ করে যায়। মার খায়। মরে যায়। বংশানুক্রমিক। হয়তো দিনের শেষে এক টুকরো রুটি ও জল মিলবে, ভাগ্য ভালো হলে মাংশ লেগে থাকা হাড়, সবজি-ভাজা। আর নিশাচর পাখির মতন থেকে থেকে ভেঙে যাওয়া ঘুম।