Archive - সেপ 2011

September 23rd

সবচেয়ে বড় সংখ্যার খোঁজে

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ২৩/০৯/২০১১ - ৩:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
মোতালেবের মেজাজটা খিঁচড়ে আছে। রিসার্চ গ্র্যান্টটা মিলে গেছে, তারপরও। ৎসাইলবের্গারের ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসিটা সে ভুলতে পারছে না কিছুতেই। বুড়ো বিরাট খচ্চর।

ধবধবে সাদা পেয়ালায় কফি খেতে খেতে বুড়ো শুধু বলেছিলো, "অসীম হচ্ছে একটা বিমূর্ত বালছাল। ভুলো না কিন্তু।"


চরপাতা বেড়িবাঁধে এক সকালে...

মৌনকুহর এর ছবি
লিখেছেন মৌনকুহর [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৩/০৯/২০১১ - ১:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উত্তর পশ্চিমে বরিশাল, উত্তর পূর্বে লক্ষ্মীপুর, পূর্বে নোয়াখালী জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পটুয়াখালী জেলা ও তেঁতুলিয়া নদী। গাঙ্গেয় অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলা। দিন কয়েক আগে ঝটিকা এক সফরে ঢুঁ মেরে এলাম এর দৌলতখান উপজেলার চরপাতা বেড়িবাঁধে।


স্কেল

সৈয়দ আফসার এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আফসার (তারিখ: শুক্র, ২৩/০৯/২০১১ - ১:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিজের উচ্চতা মাপি! ‘গা-ঘেঁষে দাঁড়াই’ আলাপে-প্রলাপে
‘গা-ঘেঁষে’ দাঁড়াবার ঢরে বার-বার দম বন্ধ হয়ে আসে
ছায়ার আঘাতে
তোর চাপাহাসি খুললেই গালের টোল খুবই স্পর্শাচেতন হয়
আমার চোখও লুকিয়ে লুকিয়ে হাসে নিয়ম মোহের ডানায়
এসময় তোর দেহবাতাসের সুঘ্রাণ ছাড়া দাঁড়ানো কী সম্ভব?

কতটুকু দাঁড়িয়ে থাকা যায়? ফুলের মতো, ছায়ার মতো


মামাবাড়ির আবদার, একাল ও সেকাল

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি
লিখেছেন প্রৌঢ় ভাবনা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৯/২০১১ - ১০:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি অয়ন। বাবা-মায়ের সাথে একটা ছোট্ট শহরে থাকি। একটা প্রাইমারী স্কুলে ক্লাশ ফোরে পড়ি। এবার রোজার ছুটিতে মায়ের সাথে ঢাকায় বেড়াতে গিয়েছিলাম।


September 22nd

অশরণ (ছোটগল্প)

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৯/২০১১ - ৫:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কামরুল হাসান নিতান্তই এক সাধারণ দর্শন মানুষ। গুলশানের এক স্টুডিওতে কাজ করেন, ফটো ডেভলোপারের কাজ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সারা দিন কাজ করে রাতে বাসায় ফেরেন। খেতে খেতেই স্ত্রী মিতার সাথে দু'চারটা যা কথা হয়। একমাত্র মেয়ে কণা। গতমাসে বয়স চোদ্দ হলো। কামরুল হাসান বুঝতে পারেন মেয়েকে সময় দেয়া উচিত, কিন্তু সে সময়টা তার হয়ে ওঠে না। সারাদিনের ক্লান্তির পর রাতটা ঘুমিয়ে আবার সকালে থেকে কাজ। জীবনটা তার কাছে নিতান্তই যান্ত্রিক এক অবকাঠামো।


১৯৭১

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি
লিখেছেন মেহবুবা জুবায়ের [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৯/২০১১ - ১০:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব > দ্বিতীয় পর্ব > তৃতীয় পর্ব > চতুর্থ পর্ব > পঞ্চম পর্ব > ষষ্ঠ পর্ব > সপ্তম পর্ব > অষ্টম পর্ব > নবম পর্ব

আমার নানা যখন ঢাকায় বেড়াতে আসতেন, তখন আমাদের নিয়ে তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ভেতরে প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণে যেতেন। মাঠটায় বার দুয়েক চক্কর দিয়ে আমরা এসে দাঁড়াতাম পেছনে আস্তাবলের সামনের যে রাস্তাটা ছিলো সেখানে। ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম সকালের কুচকাওয়াচের জন্য সহিসরা ঘোড়াগুলিকে তৈরি করছে। গা ব্রাশ করা, লেজ আঁচড়ানো, ঘাড়ের কেশর আঁচড়ানো, লাগাম পরানো আরো কতো কিছু যে করতো তারা ঘোড়াগুলিকে নিয়ে। কবে থেকে ওখানে যাওয়া শুরু করেছিলাম, ঠিক মনে করতে পারবো না; তবে জ্ঞান হবার পর থেকেই পুলিশ লাইনের ভেতর চরে বেড়াতাম।


হল-বাস

বন্দনা এর ছবি
লিখেছেন বন্দনা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৯/২০১১ - ১০:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আজকের বিষণ্ণ সকালটা ঠিক যেন দেশের শীতকালের কুয়াশাভরা সকাল কিংবা ধূসর বিবর্ণ বিকালের মত, যখন ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ও ঠিক বুঝা যেতোনা যে সময়টা সকাল না বিকেল। এখানে শীতকাল নেই, সারাবছরই গরম আর বৃষ্টি। এখানে আসার পর তাই শীতের দিনের জন্য মনটা কেমন যেনো আইঢাই করে। তবে শীতের দিনে যে খুব ভালো থাকি তা ও না। সবসময়ই শীত আসলে আমার গলায় কিছু একটা গরম কাপড় পেঁচানো থাকতো। সেই কোন ছোটবেলা


শ্রেষ্ঠ পুরুষ

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৯/২০১১ - ৯:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আপনি বলেননি কখনো
পৃথিবীর যাবতীয় বিবর্তনকে পাল্টে দিতে
একবার সময়ের কন্ঠে ছুরি বসাতে
নতুন আবর্তনের মেরুপথে
থাবা বসাতে বলেননি আপনি।

শুধু আমি ভেবেছি
আজও ভাবি
গতিহীন চারুলতার চিরঞ্জয়ী অসুখ
বিবর্ণ রাধাচূড়ার উদাসীন মুখ
পরিনত গোলক ধাধায় হাতড়ে
শুধু আমি ভেবেছি ।

আপনি বলেননি কখনো
তবু মৃত্যু এসেছে ভালবাসার আঁচল বেয়ে
সন্ত্রাস এসেছে পাল্টে দেবার স্বপ্ন দেখিয়ে


রদ্যাঁর ভাস্কর্য

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৯/২০১১ - ২:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

P1210849


সবকটা জানালা খুলে দাওনা!

তানিম এহসান এর ছবি
লিখেছেন তানিম এহসান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২২/০৯/২০১১ - ২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবকটা জানালা খুলে দাওনা .. ‘জানালা’ খুলে দেবার বিষয়টা আমাদের গদ্যে,পদ্যে বিভিন্নভাবে বলা হয়েছে, বলা হচ্ছে, আরো বলা হবে। কিন্তু এই শব্দগুলো একসাথে শুনলে যে গানের কথা আমাদের মনে পড়ে তার সাথে আমাদের নিরাকার বোধ জড়িত। এই জানলা খুলে দেয়ার সাথে একটা দেশের কতটা আবেগ জড়িত হয়ে যাবে তাকি জানতেন প্রয়াত নজরুল ইসলাম বাবু যখন তিনি অক্ষরে অক্ষরে গেঁথেছিলেন এই অবিনাশী গান; কতটা বুঝেছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল যখন তিনি ভেতরের সবটুকু আবেগ নিয়ে জল ছাপিয়ে যাওয়া দু’চোখে প্রথমবার সুরে গেঁথেছেন, কিংবা সাবিনা ইয়াসমিন, তিনি যখন প্রথম তার কিন্নর কণ্ঠে গানটা তুলেছিলেন। আমাদের ভাগ্য ভালো এখনো এই গানটির ফিউশন করার চেষ্টা কেউ করেনি।