১
হাল্কা নীল ভোর, খুব মৃদু একটা আভা শুধু দেখা দিয়েছে। এখনও সূর্য উঠতে অনেক দেরি, পুবের আকাশে এখনো লাল রঙই লাগে নি। হাওয়ায় হাল্কা শীত-শীত ভাব। একটা ভোরজাগা পাখি সুরেলা গলায় ডেকে উঠলো, গানের প্রথম আখরটির মতন বাধো-বাধো ডাক।
[justify]
১
ক্লাস এইট অথবা নাইনে পড়তাম তখন,জেমসের একটা গান বাজারে আসল।স্কুলে যাবার পথে দোকানে, পাশের বাড়ির বড় ভাই,সহপাঠী সবার মুখে একই গান শুনি। “লিখতে পারিনা কোনো গান,আজ তুমি ছাড়া”।সুপার ডুপার হিট গান।বলাবাহুল্য গানটা আমারও ব্যাপক পছন্দের একটা গান ছিল।ছিল বললাম, কারণ আগে ছিল।এখন গানটা শুনলে আগের মতো সে অনুভূতি আর পাইনা। শুধু এই গানটাই না। আইয়ুব বাচ্চুর “নীলাঞ্জনা” গানটাও আমার খুবই পছন্দের একটা গান। স্কুলে পড়ার সময় তখনো সিডি বা ডিভিডি প্লেয়ার হাতে আসেনি। ভরসা ছিল একটা সিঙ্গার টুইনওয়ান।
[justify]
চৌধরী রহমত আলী সাহেবের বেজায় মন খারাপ। গান্ধীজির জনপ্রিয়তা আর চিত্তাকর্ষক ব্যক্তিত্বের সামনে আলগা সাহেবী ফাঁপড় নিয়ে ছাগল বনে থাকে বলে এমনিতেই জিন্নাকে তেমন পছন্দ না, তার উপর বুড়োটা স্ত্রী বানিয়ে ভোগ দখল করছে তার গোপন প্রেম, রসের পুতুল, সর্বাংগ সুন্দরী রত্তনবাই ‘রুটি’ কে। রত্তনবাইকে প্রথম সে দেখেছিল জিন্নার সাথে মুসলিম লীগের এক অনুষ্ঠানে, যেখানে নবনিযুক্ত গভর্নরকে সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছিল। সেইখানেই চতুর রহমতালী সম্পর্ক পাতিয়ে ঢুঁ মেরে বসেছে যুবতীর মনের জমিনে। জিন্না বুড়োর বয়স ভালই হয়েছে। তাগড়া জোয়ান বয়সে এক বউকেতো দুমাসেই কবরে পাঠিয়েছিল, পড়াশুনোর নামে বিলেতে গিয়ে ‘হালাল’ উপায়ে নাকি হাজার কিসিমের ফশটিনশটি করে এসেছে। খায়েস কিন্তু কোনঅংশে কমেনি একালেও। স্যুটবুট পরে হালদুরস্ত বৃটিশ ভাব দেখিয়ে সুযোগ পেলেই মেয়ের বয়েসী সুন্দরীদের বাগিয়ে নেবে আর মজা লুটবে আরামসে…।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১ তে অংশগ্রহনকারী বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের দল ঘোষিত হয়েছে।খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছেন পরপর দুটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন উৎপল শুভ্র কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের একমাত্র "বিগ ম্যাচের প্লেয়ার" মোহাম্মদ আশরাফুল।ব্যাপারটি এখানেই শেষ হতে পারতো।কিন্তু হয়নি কিছু সন্দেহপ্রবন অর্বাচীন বাঙ্গালীর জন্য, সব কিছু নিয়ে খুঁতখুঁত করা ছাড়া যাদের সকালে বিছানা থেকে গাত্রোত্থানের পর থেকে রাতে একই বিছানায় গা এলিয়ে দেয়ার মধ্যবর্তী সময়টুকুতে যাদের অন্য কোন কাজ নেই।এসব অর্বাচীনদের থোতা মুখ ভোঁতা করে দেয়ার জন্য কিছু যুক্তি খুঁজে বের করতেই হলো, যার মাধ্যমে অক
আলিশা চিনয়। ছিয়ানব্বুই সালের দিকে “মেড ইন ইন্ডিয়া” অ্যালবাম দিয়ে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন এই ভারতীয় পপ মিউজিক শিল্পী। এতোদিন পরেও সেই কথা মনে আছে কারন আলিশা চিনয়ের সেই অ্যালবামের জনপ্রিয় হিন্দি গানের সুর আর মিউজিক ভিডিও দিয়ে ভারতীয় টিভি চ্যানেল আর ঢাকার রাস্তাঘাটের অডিও দোকানগুলো আমাদের চারপাশ সয়লাব করে ফেলেছিল।
[justify]১.
[justify]
পৌরনির্বাচন ও শেয়ারবাজার ডামাডোলের মধ্যে অংশতঃ চাপা পড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কাঠামোগত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সমাধান হওয়া জরুরী এমন একটি প্রসঙ্গ।
প্রসঙ্গটি স্পর্শকাতর অথবা এরকম কিছু কিছু বিষয়ে ইচ্ছে করেই স্পর্শকাতরতার ক্যামোফ্লেজ তৈরী করে রাখা হয় যেনো আলোচনা/সমালোচনার ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে থাকে অথচ প্রকৃত অর্থে কল্যানকামী গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্র প্রাসঙ্গিক বিষয়াদিতে স্পর্শকাতরতা কমিয়ে আনা প্রয়োজন।
নিজের বাড়িতে জ্ঞানদা দেবী বড় একা ছিলেন। বাড়ি বলতে তার টিনের চালের ছোট্ট ঘরটি ছাড়াও পেছনের ফল ফলাদির বাগান, ধানক্ষেত, পাড় বাঁধানো কালো পুকুর, তিনটা গাই, একটা বলদ। ঘরের সামনা সামনি স্বামীর সমাধিতে ছেলেদের বানিয়ে দেয়া স্তম্ভ। একা একাই বাড়িময় ঘুরে বেড়ান।মন্দিরে রাধাগোবিন্দর পূজা শেষ করে পেছনের বাগান থেকে সুপারির খোল কুড়িয়ে এনে রান্নাঘরে জমা করেন, পানের বরজে বেড়ে ওঠা নতুন পাতাগুলোর গায়ে হাত বোলান; লোক