শুক্রবারে এক্সপেরিমেন্টের ফাঁকে অভ্যসবশত পরিচিত বিজ্ঞান পত্রিকাগুলোতে ঢুঁ মারছিলাম। ন্যাচারে (nature.com) বিশেষ প্রজাতির সাধারণ পিঁপড়াদের দৈত্যাকার প্রহরী পিঁপড়া হয়ে ওঠা বিষয়ক খবরটা নজর কাড়ল। বিজ্ঞানের পৃথিবীতে চমক না থাকাটাই অস্বাভাবিক। অভ্যেস হয়ে যাওয়ায় এসব খবরে এখন আর চমকাই না। তবে সত্যি সত্যি দারুণ চমকে উঠলাম পরের খবরটাতেই। একটা গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে অস্বীকার করা হয়েছে এইচআইভি ভাইরাসসের সঙ্গে এইডসের সম্পর্ক ! গবেষণাপত্রটি ন্যাচারে প্রকাশিত হয়নি। ন্যাচার বরং এটির উপর একটি নিবন্ধ ছেপেছে। নিবন্ধটি এবং পরবর্তীতে মূল গবেষণাপত্রটিও আমি আক্ষরিক অর্থেই হাঁপাতে হাঁপাতে পড়েছি! এইচআইভি ভাইরাস এইডসের জন্য দায়ী নয়? এইডস কোনো মহামারী নয়? এইডসের টিকা/ওষুধের যে যুগব্যপী গবেষণা, পরীক্ষামূলক ব্যবহার সেসবের দরকার ছিলনা? এইডস পূর্ববর্তী/পরবর্তী নানা সামাজিক-রাষ্ট্রীয় আয়োজন সব অর্থহীন? বলে কী!
১৯৮৪ সালের পর থেকে এইচআইভি/এইডস-এর কারণে বিশ্বের সমাজ-রাষ্ট্র-অর্থনীতি-স্বাস্থ্য যেভাবে ওলটপালট হয়েছে সেটার খুব অস্পষ্ট একটা ধারনা নিয়েই আমি বলতে পারি, এই গবেষণাপত্রটি বিজ্ঞানের বিশ্বে অন্তত গোটা দশেক নাইন-ইলেভেন-এর প্রভাব ফেলবে! ফেলা উচিত।
এই হাউয়ার পোলা, নাঈম ভাই তো বাসায়ই আছে। না দেইখ্যা খালি চাপা মারস? কইসি নাঈম ভাইয়েরে, চাপা মারা পোন্দে দিব আইসকা।
অনেক্ষণ আগে জানালায় মুখ এনে মাহবুব জিজ্ঞেস করেছিল আসলামকে
:নাঈম ভাই বাসায় আছে?
আসলাম ওহাব সাহেবের বসার ঘর ঝাট দিচ্ছিল। বিকেলে নাঈম ভাইকে বের হতে দেখেছে সে। কিন্তু ফিরতে দেখেনি। তাই ঝাটা দিতে দিতেই বলেছিল
নাঈম ভাই বাসাত নাই।
আমি সেরা প্রাপ্তির তালাসে মস্তিষ্কের অন্দরে চষে বেড়াচ্ছি। কিছুই তো অর্জন হয়নি এইটুকু জীবনে, তাই প্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ কষে নতুন বছরের শুরুতে যদি বা কিছু পাওয়া যায়! তো নতুন বছরের প্রত্যুষে ঘুম থেকে জেগে উঠাটাই আমার কাছে একটা বড় প্রাপ্তি। এ যুগের অনেক বিখ্যাত গণক তো আগেই বলে রেখেছিলেন, ২০১২ সালেই পৃথিবী শেষ!
এই স্বল্প জানার পরিধি নিয়েও এমন একটা লেখা ফেঁদে বসার কথা আমার নয়। কিন্তু গত কালকের একটা ঘটনা মনে হলো একটু আলোচনায় আনতে পারলে অন্তত কে কি ভাবছে সেটা জেনেও নিজের দুর্বলতা কিছুটা দূর হবে। লেখাটিকে কেউ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করবেন না আশা করি।
পৌরাণিক যুগের শুরুতে দৈহিক শুচিতাই যেন ক্রমে চরিত্রের সংজ্ঞা হয়ে দাড়াচ্ছে।
অতি ক্রুর স্বভাবাপন্ন নর-নারী কোন ক্রমে দৈহিক শুচিতা রক্ষা করতে পারলেই তাঁরা চরিত্রবান আর চরিত্রবতী হচ্ছেন।
সংহিতা যুগে এ পরিবর্তনের গৈরব বহন করেছেন, উদ্দালক ঋষিপুত্র শ্বেতকেতু।
পূর্ব বাংলা বরাবরই এক ঝামেলার জায়গা, হিন্দুস্তানের মহান সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে বাংলার মোগলে আর আরাকানের মগে ব্যাপক যুদ্ধ চলতো। আরাকানের রাজার শাসনাধীন সুন্দরবনে পর্তুগীজ দস্যুর দলও উৎপাত কম করতো না।
[justify]আজকে আমাদের ব্যাচের পুনর্মিলনী। কত যে পুরাতন মুখের সাথে দেখা হোল। আমাদের কেউই মনে হয় কারো চোখে বদলাইনি। যার সাথেই দেখা হচ্ছিল মনে হচ্ছিল, এইতো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিনের ছবির সেই মুখ। কারও একটু দাঁড়িগোঁফ উঠেছে বেশি, কারও মুখে একটু ভারিক্কি এসেছে, কেউ বা আবার আমার মত বিয়ে করে পুরোদস্তুর সংসারী মানুষের দলে নাম লিখিয়েছে। কিন্তু ওসব তো বাইরের পরিবর্তন। আরে কেমন আছিস?