Archive - সেপ 2012

September 5th

পশুখামার (এক), মূল: জর্জ অরওয়েল, অনুবাদ: তীরন্দাজ

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: বুধ, ০৫/০৯/২০১২ - ১:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অতিরিক্ত মদ টেনে বেশ মাতাল খামার মালিক জোনস। মুরগীর খোঁয়াড়ের দরজাটি বন্ধ করলেও হুড়কোটি আটকাতে ভুলে যায়। কাজ শেষ করে আলোর বৃত্ত নাচাতে নাচাতে হারিকেন হাতে উঠোন পার হয়ে পেছনের দরজার সামনে জুতোটি খুলে ঘরে ঢোকে। ভাড়ার ঘর থেকে বিয়ার গ্লাসটি শেষবারের মতো পূর্ণ করে সিঁড়ি বেয়ে উঠে শোবার ঘরে। ততক্ষণে বিছানায় গভীর শান্তিতে নাক ডাকায় তার বৌ।


September 4th

সিনেমা দেখে হাসতে বেশি ভালো লাগে

শামীম এর ছবি
লিখেছেন শামীম (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/০৯/২০১২ - ১১:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনে পড়ে পরীক্ষার সময় টেনশন কমাতে মাঝে মাঝে বন্ধু বান্ধব মিলে বিডিআরে চলে যেতাম। ১০-১২ জন এক লাইনে বসে ৬ টাকার টিকেটের সিনেমা দেখছি। সিরিয়াস সিনেমায় নায়িকা নাচছে, পেছনে এক দঙ্গল সখি। একজন বললো দ্যাখ্ দ্যাখ্ সৌরভের বান্ধবী - কারণ সৌরভের টি-শার্টও হলুদ, আর নায়িকার নৃত্যরত সখিদের পোশাকও হলুদ -- খবরটা একজন থেকে আরেক জন হয়ে রিলে হতে হতে গ্রুপের সকলের কাছে গেল ---- সৌরভসহ সকলেই উচ্চস্বরে হাসাহাসি .....


তীর্থের কাক ২২

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/০৯/২০১২ - ১:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই দেশে আমি একটা কোঠরে থাকি। বাইরের সব কিছু ভাল মতো দেখতে বা শুনতে পাই না। উচ্চ প্রজাতির প্রাণী হিসাবে মানুষের চিন্তার মতো জটিল তার তথ্য আদান প্রদানের কৌশল। প্রধান মাধ্যম ভাষা। রান্না ঘরে ভিকি সিং বা তাওহীদ মালকনীর সাথে কী বলে তার এক বিন্দু বির্সগও বুঝতে পারি না। প্রতিদিন দুপুরের বিরতিতে ভিকি সিং খবরের কাগজ পড়ে জার্মান ভাষায়। দেশে থাকতে মালেক সওদাগরের দোকানে গিয়ে বসে থাকতাম খবরের কাগজের আশায়। ভাগা


September 3rd

আরব্য রজনীর রূপকথা নয়, স্যার অ্যালেক্স ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রূপকথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৩/০৯/২০১২ - ৫:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্যারের ১০০০তম লিগ ম্যাচ আজকে। আরব্য রজনী ১০০০ রাত পরে শেষ হয়ে গিয়েছিলো কিন্তু এক হাজার রাতের প্রিমিয়ার লীগ ম্যাচের পরেও স্যার এখনো সমান উৎসাহে তার ম্যানেজারিয়াল ক্যারিয়ার চালিয়ে যাচ্ছেন, যাবেন। রূপকথার এই রাতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ সাউদাম্পটন। আসুন কি হলো এই রূপকথার রাতে তা পড়তে থাকি. . .


স্ক্রু-ড্রাইভার ও ক্যাপস্যুল ৫০০ মিলিগ্রাম ! - এল.আর.বি ও ফিলিংস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৩/০৯/২০১২ - ২:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গোধূলির বর্ণিল আলোর উৎসব শেষে সন্ধ্যা হবে হবে প্রায়। আমি আর নানাজান পেনশনের টাকা তুলে বাড়ি ফিরছি। রাস্তায় নানাজানের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিয়ে নানাজানকে রিক্সায় বসিয়ে রেখে কিনতে গিয়েছি এল.আর.বি-ফিলিংসের 'ক্যাপস্যুল ৫০০ মিলিগ্রাম'। আমার কেনা অডিও ক্যাসেটের অনেকগুলোই নানাজানের মমতাময় স্মৃতিতে আবৃত।


জলিল তুনে জলিল কিয়া ভাই

সুজন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুজন চৌধুরী (তারিখ: সোম, ০৩/০৯/২০১২ - ২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটাই কথা আছে বাংলাতে
মুখ আর বুক বলে একসাথে
সে হোলো ...


সিলেটী লস্কর - ২

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ০৩/০৯/২০১২ - ১:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(প্রথম পর্বের পর)

ষাটের দশকে মুক্তবাজার অর্থনীতি বিশ্বময় ছড়িয়ে যাবার ফলে ব্রিটেনে ভারতীয় খাবার জনপ্রিয় হবার পথ আরো সুগম হয়। একদিকে দেখা গেল এশিয়াতে নতুন সৃষ্ট কিছু দেশে প্রচুর পরিমাণ গরীব মানুষের যেকোন উপায়ে টাকা রোজগারের ধান্দা... তারা কাজের পরিবেশ, কঘন্টা খাটতে হবে, গতর খাটাতে হবে কিনা ইত্যাদি উপেক্ষা করে টাকা কামাতেই উৎসুক ছিল। এর সাথে যুক্ত হল ব্রিটেনের শিল্পখাতের সম্প্রসারন, তাদের প্রচুর লেবার দরকার ছিল। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ এর মাঝে ব্রিটেনের ইমিগ্রেশন আইনে পরিবর্তন আনা হয়। বাংলাদেশীরা এর ফলে ব্রিটিশ পাসপোর্টের জন্যে আবেদন করতে পারল, আর ইউকে তে প্রতিষ্ঠিত লোকেদের তাদের পরিবারকে উড়িয়ে আনার অনুমতি মিলল।


ডাখাউ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প

ধুসর জলছবি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর জলছবি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৩/০৯/২০১২ - ১২:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মিউনিখ গিয়ে আমার প্রধান আগ্রহ ছিল ডাখাউ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পটা দেখা। জানি আমার বন্ধুরা বরাবরের মত নাক কুঁচকে বলবে বর নিয়ে বেড়াতে বের হয়ে কোথায় রোমান্টিক সব যায়গায় ঘুরবে তা না, শেষ পর্যন্ত কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প?


যত্রতত্র কয়েক ছত্র> আমি আমার ভাতিজার রিটন ভাই!

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফর রহমান রিটন (তারিখ: রবি, ০২/০৯/২০১২ - ১০:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চাচ্চু ওর নাম নয়। কিন্তু আমরা সবাই ওকে চাচ্চু নামেই ডাকি। কারণ সালাম সালাম হাজার সালাম গানের প্রখ্যাত গীতিকার ফজল-এ-খোদার পুত্র সে। ওর বাবা আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় ভাই।ভাইয়ের পুত্র হিশেবে ও আমাদের ভাতিজা।আর ভাতিজা আমাদের চাচ্চু ডাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক।কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, গায়ে গতরে উচ্চতায় ভাতিজা আমাদের সমান সমান আকার ধারণ করলেও ওর আচরণ বাবুসোনা টাইপের। বয়স বাড়ছে কিন্তু ভাতিজা আমাদের বড় হচ্