Archive - সেপ 2012

September 12th

চিকিৎসা বিজ্ঞান শিক্ষাঃ মুখস্থ বনাম প্রয়োগমুখী বিদ্যা

নির্ঝর অলয় এর ছবি
লিখেছেন নির্ঝর অলয় [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১২/০৯/২০১২ - ২:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-বাবা, পার্কের বই আছে?
-জ্বী স্যার।
-মেডিকেল সায়েন্স- সায়েন্স না আর্টস?
-স্যার, সায়েন্স।
-সায়েন্স তো বাবা নিজের ভাষায় বানিয়ে বললে হবে না, আর্টস বানিয়ে বলার বিষয়; আর সায়েন্স কীসের বিষয়?
-জ্বি স্যার, মুখস্থের।
-হ্যাঁ, এইবার ঠিক আছে, যাও।


শাকাহার

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৯/২০১২ - ১০:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাঁটু বলে, 'ছাগু রে
কই গেলি কাগু রে?
আয় ব্যাটা পাতা খাই
আর করি হাগু রে'


September 11th

খেচর

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৯/২০১২ - ৮:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রতিবার প্লেনে উঠতে গেলেই মুখোশটা খুলে ফেলি আমি,
তখন আর মনে মনেও বলিনা, ' মৃত্যুরে ডেকেছি আমি প্রিয়ের নাম ধরে '
ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার পর হঠাৎ করে আমি বুঝে ফেলি
স্বর্গ খুব একটা আহামরি জায়গা নয়, শীতল এবং নিঃসঙ্গ
তার চেয়ে ঢের ভাল আমাদের গ্রামের খেলার মাঠ এবং শহরের অলি-গলি
গ্রামে কিংবা শহরে মানুষের গল্প আছে, আছে কোলাহলের উষ্ণতা।


মিডিয়ার প্রতিসাম্য ও বন্ধুর বাড়িতে ঈদ-আড্ডা-২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৯/২০১২ - ৫:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার আগের লেখাটি অনেকেই বোঝেননি। এ থেকে দুটো অনুসিদ্ধান্ত পেতে পারি। এক, লেখাটি বিরাট হাই থটের; দুই লেখাটি একেবারেই লো-থটের। প্রথম বক্তব্য সত্য হওয়া কঠিন, কেননা আমার বয়স হয়েছে। বয়স্ক রমণীর ক্ষেত্রে হাই-হিল যেমন হাস্যকর না হলেও কৌতুহল-উদ্দীপক, বয়স্ক পুরুষের বেলাতেও হাই-থট সন্দেহজনক। তবে দ্বিতীয়টি সত্য। কেননা, কেউ কেউ একটু একটু বুঝেছেন বলে মনে হলো, মানে বল এতোটাই লো-তে এসেছে যে- এটা ক্যাচ না ড্রপ ক্যাচ তা নিয়ে আম্পায়্যার বেশ চিন্তিত। যাই হোক- পুরোনো দিনের গান গেয়ে লাভ নেই; শখ করে আঙ্গুরীবালা কিনলেও শোনা হয় আসলে লেডি গাগা। তাই আলোচনা সামনে বাড়ুক।


September 10th

শুয়া উড়িল উড়িল রে...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১০/০৯/২০১২ - ১:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমনিতেই হুমায়ূন আহমেদ এর চলচ্চিত্র নিয়ে একটা বাড়তি আগ্রহ থাকে তারপরে আবার এটা তাঁর শেষ চলচ্চিত্র। সুতরাং ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ নিয়ে আগ্রহ এবং প্রত্যাশার পারদ দ্রুতই উপরের দিকে উঠছিল। মুক্তির দিনে বিকেলে বন্ধুদের নিয়ে বলাকায় গিয়ে বিফল মনোরথ হয়ে ফিরতে হল। কারণ আর কিছুই না, আমার মতো আরও অনেকেই মুখিয়ে ছিল সিনেমাটির জন্য; ফলাফল বিশাল লাইন এবং হাটিকেট পরিস্থিতি। এরপর গতকাল হুট করেই নেয়া সিদ্ধান্তে


আমার দেখা ব্রাজিলাংশ - ৩

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১০/০৯/২০১২ - ১:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]পরদিন সকালবেলা আমরা সবাই নয়টা বাজে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত কিন্তু বের হতে পারছি না বাসা থেকে। এতদিন হোটেলে থাকার কারণে কিছু বুঝা যায় নাই, কিন্তু এখন সবাই হা করে ডিয়েগোর কাণ্ড দেখছে। সে সকাল আটটা থেকে “আই অ্যাম রেডি, আই অ্যাম রেডিইইইইইইই” করে চিল্লাছে, কিন্তু তার সাজ শেষ হচ্ছে না!


জাহানারার ডাইরি - প্রথম পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ১০/০৯/২০১২ - ১:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডিসেম্বর ১, ১৬২৭
দাক্ষিণাত্যের নিজামশাহী এলাকা

আমার পিতার চার স্ত্রী, কিন্তু যাকে তিনি সবচাইতে ভালোবাসেন আমি সেই আরজুমান্দ বানু বেগমের কন্যা। আমি নিজেও বেগম, রাজকন্যা। আমার নাম জাহানারা, খুররমের কন্যা, সম্রাট জাহাঙ্গীরের পৌত্রী, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মোগল শাসক আকবরের প্রপৌত্রী, বাবুরের প্র-প্র-প্রপৌত্রী।

আমার রয়েছে পায়ের আঙুলের মত বড় হীরে আর গুবরে পোকার আকারের চুনিপাথর। রয়েছে সাঁইত্রিশ চাকরনফর আর আটটি বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হাতি শুধুমাত্র আমারই সেবা করার জন্য। আমার যা নেই তা হল স্বাধীনতা। আমরা সকলেই আটকঃ আমার মাতা, পিতা, ছোট ভাইয়েরা আর ছোট বোনটি। সোনার ঝালর দেয়া তাঁবুতে পান্নাখচিত পাত্রে আমরা পান করি অথচ আমরা নিছকই বন্দী।


হলমার্কের নেপথ্যে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৯/০৯/২০১২ - ৯:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাইনুল এইচ সিরাজী
-------------------
“শোনো ম্যানেজার, আমার একটু মোফাশশের সাহেবের ফেভার দরকার। শুনলাম ওনার সাথে নাকি তোমার দহরম-মহরম!”
“তা ঠিক স্যার। আপনি তো ভালোই জানেন, আজকাল শুধু সম্পর্ক দিয়ে কাজ হয় না। আমার প্রমোশন, পোস্টিং ইত্যাদির জন্য ওনাকে অন্যভাবে বশে আনতে হয়েছিল।”
“আরে বোকা এই অন্যভাবেটাতে আমার বিস্তর নলেজ আছে। তুমি লিংকটা করে দাও।”


September 9th

অরণ্যে আশ্চর্য বিকেল

ফাহিম হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফাহিম হাসান (তারিখ: রবি, ০৯/০৯/২০১২ - ১০:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুপুরের হলুদ নীরবতা ফিকে হয়ে আসে, সবুজের আস্তরণে রোদের আলো কমলা-লালে আভাময় হয়ে উঠে। শরীরের ঘামটুকু শুষে নেয় এক দফা স্নিগ্ধ বাতাস। আমি উবু হয়ে বসে ক্যামেরার লেন্সে চোখ রাখি – অনেক উঁচুতে একটা কাঠ-ঠোকরা একমনে ঠুকতে থাকে আগামী আবাস। কিন্তু নাগালের বাইরে ওটা, ৩০০ মি.মি.