Archive - 2017

August 15th

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে শোন শোন পিতা

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/০৮/২০১৭ - ১:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শোক দিবসকে আক্ষরিক অর্থে কারবালা বানিয়ে ধারালো অস্ত্রে বুক-পিঠ চাপড়ে হায় হোসেন অবলম্বনে হায় মুজিব কমেডি করে শোক দিবসকে হাস্যকর বানিয়ে ফেলছে কিছু ভাঁড়। হায় মুজিব অবস্থাই বটে! আসুন, এই কমেডি পাশ কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু কি বলেছেন একটু পড়ে দেখি- সেটাই শোক দিবসে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটা কার্যকর উপায় হতে পারে। নইলে অদুর ভবিষ্যতে টুঙ্গিপাড়ার সমাধি পরিনত হতে পারে তাজিয়ায়। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন খুব কম, বাগ্নী হিসেবে বলে গেছেন অনেক কিছু। অনুভূতিময় এই উদ্ভ্রান্ত সময়ে সেই কথামালা পাঠ করেও যদি তাকে হৃদয়ে ধারণ করা যায়, অনাগত কোনও অন্ধকারে হয়তো সেটিই কাজে দেবে। মানবিক আবেগহীন এবং দর্শনবিমুখ যান্ত্রিক অনুভূতির অর্গলে বঙ্গবন্ধুকে বেঁধে রাখলে তিনি ধীরে ধীরে হৃদয় থেকে উবে গিয়ে লালুসালু মোড়া পীরের আসনে গিয়ে বসবেন। এই সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে বঙ্গবন্ধুর পঠন-পুনর্পঠন হোক জোরেশোরে। ব্যানারের ম্লান ছবি হয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু ফিরে আসুন ব্যাবহারিক দর্শনে।


August 8th

১০১টা ছবির গল্প - ১৪, রক্তের গলি

মুস্তাফিজ এর ছবি
লিখেছেন মুস্তাফিজ (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৮/২০১৭ - ৩:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify] ক’দিন যাবৎ আমাকে পুরোনো গলিতে ঘোরার নেশায় পেয়েছে। গলিতে গলিতে ঘুরি। গলির লোকজনের সাথে কথা বলি। ছবি তুলি। গন্ধ নিই। গলিতে মিশে যাই, যেতে যেতে ফিরে যাই পুঁতিগন্ধময়, অন্ধকার, সমাজ থেকে হারিয়ে যাওয়া সেসব বুড়ো গলির যৌবনকালে। তখন জীবন ফিরে পায় সে গলি। গমগম করে ওঠে আমার চারপাশ— মানুষের হাঁকডাক, ঘোড়ায় টানা গাড়ির ক্যাচক্যাচ, দৌড়ে বেড়ানো শিশুদের কোলাহল আর তাদের মায়েদের সতর্ক ডাক। এ এক বিচিত্র ভাব। মৃত্যুশয্যায় শুয়ে থাকা কোনো বৃদ্ধের পেছন ফিরে তাকানোর গল্প। সে গল্পে আবেগ আছে, ইতিহাস আছে, আনন্দ আছে, আছে স্বপ্ন মিলিয়ে যাবার হতাশা। চলুন ঘুরে আসি তেমন এক গলি। যার নাম ‘রক্তের গলি’, ইংরেজিতে Blood Alley. কীভাবে গড়ে উঠলো এ গলি? কেমন করে গড়ে উঠলো এর ইতিহাস? চোখ মুদে চলুন একটু পেছন ফিরে তাকাই।


August 6th

একদিন অকারনে..

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৬/০৮/২০১৭ - ১:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

= স্লামালাইকুম স্যার, ডেকেছিলেন?

= ওয়াইলাইকুম, ওয়াইলাইকুম আবির সাহেব, বসুন, বসুন।

= জ্বি স্যার।

= এই যে এইটা আপনার।

= কি স্যার?

= কি মানে? আপনার পথের দিশা, উন্নতির সোপান! I mean, আপনার এ্যানুয়াল টার্গেট! হেঃ হেঃ। মেইলে soft copy পাঠিয়ে দেয়েছি। গতবারের মত এবারো আপনার কাছে 100% এর বেশী achievement চাই। বুঝতে পেরেছেন?

= বুচ্ছি স্যার।


মনসবদার জায়গিরদার

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ০৬/০৮/২০১৭ - ১:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনে করেন মোগল আমল। ঝিরিঝিরি বাতাস। বড় চাচা দূর কাবুল থেকে সফর শেষ করে এসে মাথায় হাত বুলায় কইলেন এই নাও বাছা মিষ্টি খাও। আখরোট খাও। কতদিন পরে দেখা। পড়াশোনা কেমন চলছে? বড় হয়ে কি হবে ঠিক কি করেছ?

আপনি কি বলবেন... ডাক্তার হতে চাই? আশিব্বাদ করেন চাচাজান যেন সফটওয়্যার ডেভেলপার হতে পারি? ধুর না। আপনি কইবেন বড় মানুষ হইতে চাই। নামজাদা ব্যক্তি। চার মহলা দালান। শুক্রবারে খাসির বিরিয়ানি। পায়ের উপর পা তুলে সুখে বসবাস। অতএব আপনি বলবেন মনসবদার হতে চাই। জায়গিরদার হতে চাই চাচা দোয়া রাইখেন।

চলেন পাঠক আজ তাহলে মনসবদারি জায়গিরদারি ফানাফানা করে দেখি। তারা কি সত্যই চার মহলা দালানে থাকত এবং শুক্রবারে খাসির বিরিয়ানি খেত? তাদের জমা-হাসিল গরমিল কি কারণে? জাট এবং সওয়ার কি বস্তু? মাশরুত খায় না মাথায় দেয়? চৌধুরী আর কানুনগো কে?

মাথায় কত প্রশ্ন আসে দিচ্ছে না কেউ জবাব তার। বিষম চিন্তা।


বুরিদানের গাধা ও একটি মৃত্যুরহস্য

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৫/০৮/২০১৭ - ১১:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশ ও বৈদেশের হালহকিকত দেখি আর মনে খালি ‘বুরিদানের গাধা’র ছবি ভাসে। রকমারি ঘটনায় ঠাসা ইতিহাসের পাতায় ফরাসি যুগচিন্তক বুরিদান সাহেবের গাধাটিও নিজের জায়গা করে নিয়েছে। সে যাকগে, গাধার সঙ্গে ফরাসি সাহেবের সংযুক্তি কেমন করে ঘটলো সে প্রসঙ্গে যাবার আগে ছোট করে মূল গল্পটি বলে ফেলা যাক। গাধা নিয়ে গল্পগাছার অভাব নেই মানবসংসারে। গাধা-কাহিনীর বড়ো অংশ হাস্যরসের যোগান দেয়। নিজের গাধাটিকে নিয়ে তুরস্ক দেশের মোল্লা নাসিরউদ্দিনের সরস গল্পগাছা এখনো লোকের চিত্তবিনোদন ঘটায়। তামাশাভরা মানবজীবন নিয়ে এই স্বভাব-দার্শনিকের রঙ্গ ও সেটি উদযাপনের ভঙ্গি সেকালের মতো একালেও সমানে প্রাসঙ্গিক। মহামতি শেকসপিয়ার বলে গেছেন জীবনের নাট্যমঞ্চে মানুষ হলো অভিনেতা। মোল্লা নাসিরউদ্দিনের বোকামিঠাসা বুদ্ধিরসের ছটা সেইসঙ্গে মনে করিয়ে দেয় দুঃখ-সুখে ভরা অভিনয়মঞ্চে মানুষ আসলে নিজেকে নিয়ে হাসে ও অন্যকে হাসিয়ে মারে। বুরিদান সাহেবের গাধার গল্পটি সেদিক থেকে গুরুতর হলেও কৌতুকরস সেখানেও ঠিকরে পড়ে, যদিও সাহেবকে সেটা কৌতুকরসে না ভাসিয়ে গুরুতর এক দার্শনিক কূটপ্রশ্নের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। দার্শনিকরা ভাবনা ও কথার কারবারি এবং লোকের তাতে থোড়াই কেয়ার। জগতের আমজনতার কাছে গাধা হচ্ছে চিরকালের কিংবদন্তি যার কাঁধে জীবনের কঠিন বোঝা অক্লেশে চাপানো যায় এবং গাধা সেই ভার বহনে দ্বিধা করে না।


শব্দগল্পদ্রুম ০৫

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ০৫/০৮/২০১৭ - ৮:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
চিরুনি অর্থ কী, এ জিজ্ঞাসার মোকাবেলা বালক জগদীশচন্দ্র বসু করেছিলেন "ফাড়ুনি" দিয়ে। দেখা বা শোনা নয়, পড়া কথা। জগদীশচন্দ্রের এই বাল্যকালীন প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে বাংলা শব্দের মহাদ্রুমের বীজ খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু তার আগে জিজ্ঞাস্য, চিরুনি কি আদপেই ফাড়ুনি? চিরুনিকে ফাড়ুনি বললে কি লোকে চিনবে? যদি শব্দের কাজ হয় ভাবসেতু নির্মাণ, তাহলে ফাড়ুনিতে গিয়ে কি ভাবজট তৈরি হবে না? কিন্তু ফাড়ুনিতে কী নেই, যা চিরুনিতে আছে?

শ্রোতার অভ্যস্ততা।


August 5th

স্মৃতিবান্ধা

মাহবুব লীলেন এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব লীলেন (তারিখ: শনি, ০৫/০৮/২০১৭ - ৯:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সমস্যা বুঝতে তো সমস্যা হইতেই পারে; আমার একটু বেশি হয়। আমি হা কইরা থাকি…

খাওয়ার টেবিলের একটা চেয়ার ঘুরাইয়া ঠ্যাং মেলাইয়া দোস্ত মুখ খোলে- আমি তোরে মাত্র দুইটা অপশন দিতে পারি। এক তুই এখনই যাবি আর দুই; কাইল সকালে যাবি তুই…


চক্রধামাঃ মায়ারাগ পর্ব-৫

শিশিরকণা এর ছবি
লিখেছেন শিশিরকণা (তারিখ: শনি, ০৫/০৮/২০১৭ - ৫:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের পর্বের লিংক
চাকতি জগতঃ জাদুর রঙ
চক্রাধামঃ জাদুর রঙ -পর্ব২
চক্রধামঃ মায়ারাগ - পর্ব ৩
চক্রধামাঃ মায়ারাগ (চলছে...) পর্ব-৪
এই ঘটনার কিছুদিন আগে কোন এক ভোরে আখ নদী বেয়ে একটা জাহাজ এসে মরপর্ক বন্দরের ঘোরপ্যাচওয়ালা অসংখ্য ঘাটের কোন একটায় নোঙর ফেলে। জাহাজের খোলে করে এসেছিলো গোলাপী মুক্তো, দুধবাদাম, ঝামা, এর নগরপিতার জন্য কিছু দাপ্তরিক চিঠিপত্র আঁখ এবং একজন মানুষ। এই মানুষটিই কানা হারুন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।


August 4th

ভাষাপোকা-২য় পর্ব (৩য় পর্বে সমাপ্য)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৮/২০১৭ - ১:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাজিব মাহমুদ

সৌম্য ঘুম থেকে ওঠে অনেক বেলা করে। বাইরে একেবারে ডাঁ ডাঁ রোদ। রাতে ভাষাপোকার সাথে কথোপকথনের ব্যাপারটা মনে পড়ায় নিজে নিজে হেসে নেয় কিছুক্ষণ। নিজেই বলে যে এই ক্রমাগত রাত জাগা ওর মগজে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে; ওর ভালো ঘুম দরকার না হলে এরকম আরও কত অদ্ভুতুড়ে ব্যাপার মাথায় চেপে বসবে কে জানে! আজ শনিবার। অফিস ছুটি।