২৯ দিন একটানা কানাডার কারাগারে থাকতে হল সিলেটের হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে জন্ম নেওয়া, ও বেড়ে ওঠা ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসকে (যিনি রমানাথ নামেও পরিচিত), কারণ ইমিগ্রেশনের অদ্ভুতুড়ে আইন- সেই সাথে সালটা ১৯৩২, ভারতবর্ষের অধিবাসীদের জন্য দুয়ার খোলা নেই কোথাওই!
পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা গ’ড়ে তুলতে না পারলে তার পরিণতিতে সমাজে ক্ষোভ দানা বাঁধতে পারে ব’লে লি কর্বুজিয়ের একবার সতর্ক করেছিলেন। (১) এই পর্যাপ্ত ব্যাপারটা খুব নির্দিষ্ট ক’রে যে বলা যাবে তা হয়তো নয়। সমাজ, শহর, অর্থনীতি ভেদে এই পর্যাপ্ততার ব্যাপারটা ওঠানামা করে এবং করবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ ধারাবাহিক ভাবেই বাড়ছে গত কয়েক দশক ধ’রে। তার পরিণতিতে দেশে ভালো মানের আবাসন ব্যবস্থার প্রয়োজনও বাড়ছে। দেশে ভব
কোন কিছু না জেনেই উপন্যাসটির দরোজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেছিলাম। ভেবেছিলাম কয়েক পাতা উল্টে রেখে দেবো। পরে সময় নিয়ে পড়বো। এই লেখকের একটি ছোটগল্প ছাড়া আর কিছুই পড়িনি আগে। কিন্তু উপন্যাসটির প্রথম পাতা শেষ করার পর টের পেলাম ফেলে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আমাকে এমন একটা জগতে নিয়ে যাচ্ছে যে জগতের ভেতরটা দেখার আগ্রহ ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। সহজ সাবলীল ভাষা এবং ঘটনার ঘনঘটা দুটোর যোগফল আমাকে বইটার প্রথম অধ্যায়ের শেষে নিয়ে গেল। একই অবস্থা পরের অধ্যায়েও। কয়েকদিন টানা পড়ে শেষ অধ্যায়ে পৌঁছে গেলাম। পড়া শেষ করে আবিষ্কার করলাম চেনা জগতের মধ্যে অচেনা এক পৃথিবীকে।
পরদিন, দুপুরে বুড়ো মেলখিযেডেকের সাথে দেখা করতে গেলো সান্টিয়াগো। ছ’টা ভেড়া এনেছে সাথে।
“খুবই অবাক হয়েছি, জানেন! আমার এক বন্ধু আমার ভেড়াগুলো মুহূর্তের মধ্যেই কিনে নিলো। বলল, ওর নাকি সারা জীবনের স্বপ্ন ও রাখাল হবে। আর আমার এই ভেড়া বেচার ব্যাপারটা, এটা নাকি তারই একটা নিশানা।”