আলেকজান্দ্রার সেই ধুমপান ঘরে সেদিন আমরা তিনজন ছাড়া আর কেউ ছিল না। আমি, আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধু এবং আমাদের বিপরীত পাশে চুপচাপ বসে থাকা এক ভদ্রলোক। লাজুক চেহারার ভদ্রলোকের মধ্যে আভিজাত্য এবং বিচক্ষণতা দুইয়ের উপস্হিতি স্পষ্ট। পরে জেনেছি তিনি কোন এক পত্রিকার সম্পাদক।
বন্ধুর সাথে আলাপ করছিলাম অভ্যেস বিষয়ে। ভালো অভ্যেস এবং মন্দ অভ্যেস।
বন্ধু বলছিল, "এক নাগাড়ে কয়েক মাস সৎ জীবন যাপনের অভ্যেস করে ফেললে শয়তানের পক্ষেও সাধু হয়ে যাওয়া সম্ভব। সবকিছুই হলো অভ্যেসের ব্যাপার"।
"আমি খুব ভালো করে জানি এটা। গভীর সংকটে পতিত হয়েও 'সবকিছু ঠিক আছে' বলে বিছানায় ডুব দিয়ে কিছুক্ষণ ঝিম মেরে পড়ে থাকলে মনে হবে দুনিয়ার কোথাও কোন সমস্যা নাই। তুমি যদি অভ্যেসটা ঠিকমত রপ্ত করতে পারো, তাহলে সেটা চালু রাখার জন্য কিরা-কসম কাটার দরকার নেই। তুমি সাধারণ পানি খেয়েও সরবতের স্বাদ পেতে পারো যদি সেরকম অভ্যেস তোমার থাকে। সবকিছুই করা সম্ভব, কথা হচ্ছে তুমি তাতে লেগে থাকতে পারছো কিনা"। গলা খাকরে বন্ধুকে নিরংকুশ সমর্থন করার জন্য যোগ করলাম আমি।
অণুগল্প বা ফ্ল্যাশ-ফিকশন অধুনা সাহিত্যের জনপ্রিয় শাখা হয়ে উঠছে। গত বেশ ক'বছর ধরে ব্রিটেনে ন্যাশনাল ফ্ল্যাশ-ফিকশন ডে উদযাপিত হয়। অণুগল্পে বেঁধে দেওয়া কোন আকার না থাকলেও কেউ কেউ মনে করেন এটি ১০০ শব্দের মধ্যে শেষ হওয়া চাই, আবার কেউ হাজার শব্দের নীচে যে কোন গল্প কে অণুগল্প বলে মনে করেন।
প্রচুর তো গালাগালি করলাম মোগল বাদশাদের। আওরঙ্গজেব তার ভাইগুলার কল্লা নামিয়ে নিল, ছেলেগুলিকে (কয়টা মেয়েকেও) গারদে পুরল বা নির্বাসনে মারল। বাপকে গারদে পোরা তো কবেই সারা। শাজাহান তার ভাই খসরুকে হাওয়া করে দিল (তাকে অবশ্য তার বাপ জাহাঙ্গীরই আঁধি করে রেখেছিল)। দুষ্ট লোক সব, নিঠুর হৃদয়।
আইসেন পাঠক মোগল রাজপুত্রদের ঘটনা বোঝার চেষ্টা করি। বাবুর থেকে আওরঙ্গজেব পর্যন্ত সকল বাদশার তিন থেকে পাঁচটা করে ছেলে ছিল। জ্যেষ্ঠত্ব (বড় ছেলে গদিতে বসা) বিষয়ক কোন নিয়ম তাদের নাই, বিশেষতঃ আকবরের পরে। সুতরাং আপনার গদিতে বসার সম্ভাবনা ২০% হতে ৩৩% মোটামুটি। রাজপুত্র বড় হতে হতে ভাইদের কেউ শরাব খেয়ে ঢলে পড়বে, কেউ কম বয়সে মারা যাবে। বাকি যারা আছে, তারা ভাই নয় শত্রু! মারবে অথবা মারা খাবে।
শাজাহান/ আওরঙ্গজেব ও পরবর্তী মোগল জমানায় উচ্চভ্রাতানিধন নিয়ে গভীর ফানা ফানার প্রয়োজন আছে। ১৫৮৫ সালে একটা আপাতঃ সাধারণ ঘটনা যেখানে চালু ছেলে আকবর কাবুলে একটা পরিবর্তন আনেন, সেইটাও দেখা চাই।
বছর পুরে গেল ঘরবন্দী জীবন। গত বছর মার্চের ১২ তারিখ বিষ্যুদবার আপিস থেকে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ডিক্সি রোডে পিড়িং করে ফোনে নোটিফিকেশন আসে এইচ আর থেকে। ঘরে এসে গাড়ি পার্ক করে চিঠি পড়ে দেখি কর্তাবিবির হুকুম পরদিন থেকে আপিস যাওয়ার দরকার নাই। দালান বন্ধ। দুই তিন সপ্তাহ পরে তারা আশা করছেন সকলই খুলে দেয়া হবে আর আমরা অন্তত আমাদের ডেস্কের জিনিসপাতি নিয়ে আসতে পারব। সেই তিন সপ্তা বেড়ে হল এক বছর, কবে আবার আপিসে ফিরত যেতে পারব কে জানে। মগে অল্প কফি রয়ে গিয়েছিল মনে হয়, কেউ কি সেটা ফেলে দিয়েছে? না ফেলে থাকলে হ্যাযম্যাট জামা পরে মগ উদ্ধার অভিযানে নামতে হবে এনশাল্লা।
বাসায় বসে কাজ করা বয়াম থেকে মুড়ি খাওয়ার মত। ঠিক কখন থামতে হবে ধরা কঠিন। আমি পিঠোপিঠি নানাবিধ মিটিঙের পরে বিকালে বসে দিনের নানা টুকে নেয়া নোট জড়ো করে কাজ করতে করতে দেখি একটা নীল ঝুঁটিওলা পাখি বসে জানালায়। ঠাণ্ডা কমে যাচ্ছে তাহলে। হেলান দিয়ে ভাবি পাখিটার মত বাইরে একটা চক্কর দিয়ে আসি। নাকি ইব্রাহীম আদিল শা’র নওরাসপুর নিয়ে আধা ফিনিস লেখাটা ধরব? দোনোমোনো করে বরঞ্চ বসি হিমু ভাইয়ের নতুন উপন্যাস আগুনি পড়তে।
[ভূমিকা: সব অনুবাদের ভূমিকা লাগে না। কিন্তু এই অনুবাদটির পেছনে একটি গল্প আছে। আমি কেন এই অনুবাদটি করতে গেলাম? বাংলাদেশে মার্কেজ খুব জনপ্রিয় একজন লেখক। সম্ভবত বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশী অনুবাদ হয়েছে মার্কেজের গল্প উপন্যাস। বাংলা অনুবাদের অবস্থা তেমন সুবিধার না বলে আমি বহুকাল বাংলা অনুবাদ পড়ি না। সত্যি বলতে গেলে সেই কৈশোর থেকে সেবা প্রকাশনী ছাড়া অন্য কারো বাংলা অনুবাদে আমি স্বস্তি পাইনি। কিছুকাল আগে আমি মার্কেজের ছোটগল্প নিয়ে একটা কাজ করি। হাতের নাগালে থাকা বাংলা অনুবাদগুলো পড়ে ইংরেজি অনুবাদের সাথে মেলাতে বসি। যেহেতু স্পেনিশ ভাষা জানি না তাই ইংরেজিটাই আমার কাছে মূল গল্পের ভিত্তি। কাজ করতে গিয়ে 'গল্পপাঠ' ওয়েবজিনে বেশ কয়েক জনের অনুবাদ পড়ার পর আমি খুব হতাশ হয়ে পড়লাম। তারপর খোঁজ নিয়ে জানলাম বাংলা ভাষায় মার্কেজের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুবাদক অমিতাভ রায়। কলকাতার দে'জ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অনুদিত 'মার্কেজের গল্পসমগ্র'। বইটা সংগ্রহ করার পর ভাবলাম এবার হয়তো কিছুটা উন্নত অনুবাদের দেখা মেলবে।
আমি উঠে প্রবল অবিশ্বাসে আমাদের চুল, বালিশ, পোশাক শুঁকে শুঁকে দেখি
একান্ত নীরবতায় আমার বিস্ময়, বিহ্বলতা কাটিয়ে
ঘ্রাণটা কিসের, তাই ভাবি!
জানালার গাছ, পাতার গন্ধ, ফুলের গন্ধ নয়
কী নাম দেব সেই ঘ্রাণ, কী হতে পারে বন
ঘুমের ভেতর এ কোন ঘ্রাণের স্বপ্ন আরণ্যক?
উর্বর মাটি? মাটিরই মতো- কিন্তু মাটিও না,
গাছের কটিতে ঘর বাঁধা কোনো পাখির কচি পালক?
নিষ্প্রাণ কোনো শরীর?
অমিতাভকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না
করবী মালাকার
প্রসঙ্গ ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানি:
গরল নামো কলম বেয়ে
এবার আমায় মুক্ত করো।
পিঠভাঙা এক বিষের পাথর
বইছি আমি বিষণ্ণতায়
আজ সিসিফাস।
আগের জন্মে হয়তো ছিলাম নোতরদামের কুঁজো।
দিন সাতেকের না আঁচড়ানো চুলের জটা
মেঘ ভেবে যেই ভুল করেছি
হাত পেতেছি মেঘের কাছে
বৃষ্টি নামুক
বৃষ্টি নামুক।
মেঘগলা জল গরল ধুয়ে
এবার আমায় মুক্ত করো।
তুষার ঝড়ে প্রায় পুরো আমেরিকা এই সপ্তাহে বিপর্যস্ত- তুষারের ছোবল যেন টেক্সাসেরও দক্ষিণ পর্যন্ত নেমে এসেছে। আপাতদৃষ্টিতে, এমন ঘটনা বিরল মনে হলেও অস্বাভাবিক নয়। আমরা ইদানিং পোলার ভরটেক্সের নাম বেশ শুনে আসছি এবং আবহাওয়াবিদরা বলছেন পোলার ভরটেক্স কলাপ্স করার কারণে আর্কটিক আবহাওয়া এত নিচে নেমে এসেছে। কিন্তু এই পোলার ভরটেক্স ব্যাপারটা কী বা উত্তর মেরুর আবহাওয়া এত নিচে নেমে আসারই কারণ কী?