একটা খবর পড়ে ভালই লাগলো। সরকার সংসদে বলছে বাংলাদেশে এখন ৯৯’৪৭ শতাংশ বাচ্চা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু এটা কততুকু সত্য সেটা নিয়ে একটু সন্দেহ আছে। আশেপাশের অবস্থা দেখে তেমন টি মনে হয় না। তবুও আশাবাদি হতে ভাল লাগে, ১০০ শতাংশ হলে আর ভাল লাগত। এবারের সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল টা অবশ্য আশাপ্রদ......।
বড় হইতে হইলে হয় অতীত ভুলিয়া গিয়া নবজীবন লাভ করিতে হয়, নতুবা অতীতের পশ্চাদদেশে পদাঘাত করিয়া সম্মুখে আগাইয়া যাইতে হয়। আমি দ্বিতীয়টা বাছিয়া লইয়াছিলাম। ফলাফল- ছিলাম নৌকার মাঝি, হইয়া পড়িলাম জাহাজের সারেং। পুরাতন মাঝিমাল্লা বন্ধুদের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করিয়া নতুন জীবনের স্বাদ লইতে লইতে নিজের নাম আর বাপের নাম বাদে বাকী সব ভুলিয়া গেলাম। আমার এখন নিত্য ওঠাবসা জাহাজওয়ালাদের সাথে।
[justify]ভোরবেলা পুকুর ঘাটে এসে মধুসূদন বাবু হকচকিয়ে গেলেন।
ঢাকা শহরে হোটেলগুলি একটি অলিখিত রুটিন মাফিক চলে। ভোরবেলা পাঁচটার দিকে সবাই হঠাত ঝাঁপ খুলে রুটি বেলতে বসে যায়। হালকা সবজি রান্না চলে পিছনে, সামনে বিশাল ব্যাসের ফ্ল্যাট কড়াইতে পাশাপাশি ভাজা হয় পরোটা আর ডিম। বেশুমার পরোটা ভাজি ডিম সবজি আগের রাতের মাংসের তরকারি উড়ে যায় মিনিটে মিনিটে। দশটা বাজে। এইবার সকলে শুরু করে গণ সিঙ্গাড়া ভাজা। আচমকা দোকানের সামনে ঝুড়ি উপচে সঙ্গাড়া সমুচা হাজির হয়। রামপুরার আবুল হোটেল অথবা নীলক্ষেতের চিপা দোকান, সায়েদাবাদ অথবা মীরপুর যেখানেই থাকুন দুপুর এগারোটায় হোটেলে গেলেই দেখবেন ঝুড়িভর্তি সিঙ্গাড়া ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। এই সিঙ্গাড়ারা সকাল দশটার আগে অনুপস্থিত। এদের জন্ম দশটায় মৃত্যু একটায়। স্বল্পস্থায়ী একটি অর্থপূর্ণ জীবন।
বিচ্ছিন্ন থাকাটা আমার জন্মগত অসুখ । ছোটবেলা থেকেই আমি প্রায়ই বাইরে খেলা বাদ দিয়ে ঘরে বসে একা একা কথা বলতাম, একা একা খেলতাম। আমার বাবা মা আত্মীয়স্বজন বন্ধুদের অনেক প্রচেষ্টার পরও এই রোগ থেকে আমি মুক্ত হইনি, এখন আর কেউ চেষ্টাও করে না আমাকে ঠিক করার। শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আমি অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হই, অনেক বন্ধুদের হারিয়ে ফেলি,অনেক প্রিয় মানুষদের কষ্ট দেই, অনেক সুন্দর সুন্দর দিন একা একা
১৯৭১ এ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বা ৭১ এর মার্চ থেকে যে সব বাঙালী পশ্চিম পাকিস্তানে ছিলেন অথবা এভাবে বললে, ৭১ এর মার্চ থকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালীরা কেমন ছিলেন ?
হিসাবে বলে দশ মাস দশ দিন। সাত আট মাসেও হয়ে যায়। আব্দুর রহমানের একটু বেশি লেগেছিল। গোনায় ভুল হতে পারে, কিন্তু খানিকটা বেশি সময় তার লেগেছিলো এ বিষয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই। সেই থেকে শুরু।
আশাবাদ বিষয়টি যখনি মাথায় আসে তখনি মনে ভেসে ওঠে অমর চলচ্চিত্র ‘দি শশাঙ্ক রিডেম্পশন’ এর কথা। এর প্রথম দিকটাতে একবার বলা হয় -”Hope is a dangerous thing. Hope can drive a man insane.” আর শেষদিকে বলা হয়- “hope is a good thing maybe the best of things. And no good thing ever dies.
আমার মোবাইলটার অসুখ হয়েছে। হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেছে, থাবড়া মেরেও অন করা যাচ্ছে না। দেয়ালের সাথে কয়েকবার বাড়িও মেরেছি।
আমি চকবাজারে অলি খাঁ মসজিদের সামনে একটি সার্ভিসিং এর দোকানে গেলাম। ডাক্তার বললেন, 'বাপরে বাপ, দেইখা তো মনে হইতেসে এই মোবাইল কিনসেন মোঘল আমলে! এত দিন চালাইলেন ক্যামতে?'
আমি কাঁদো কাঁদো হয়ে বললাম, 'ভাইজান, আমার এই দুঃসময়ে মশকরা লইয়েন না। কী করতে হবে বলেন।'