পরীক্ষা দিতে বসে একটা শব্দ কিছুতেই মনে করতে পারছিলাম না। কতক্ষণ কলম পেন্সিল কামড়ে লাভ না হতে পাশের বান্ধবীকে গুঁতোলাম-
-এই, ঐ শব্দটা যেন কি রে ?
- কোনটা ?
- ওই যে শুকনো করে লম্বামত...
- ??!
- আরে, ওই...যেটা বেশ সরু সরু... গাছের ডালে পাওয়া যায়...
- !!!
- আহ্..., ওই যেটা দিয়ে পুলিশরা মারে... ওই যে...
হারিয়ে গিয়ে চিরদিনের থাকার খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলা পূর্বসুরীরা আমার,
জানি না কেন হঠাৎ তোমাদের সাথেই কথা বলতে ইচ্ছা করল! খবরের কাগজগুলো তোমাদের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে থেকে থেকে, খবরে তোমাদের পুরনো ছবি, তোমাদের নিয়ে লেখা কেবল টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে অনেক অনেক কঠিন সেই দিনগুলোতে, আমাদের সাধ্য কি তোমাদের মত করে ভাবতে পারি, বুঝতে পারি, দেখতে পারি? কেবল জানতে চাইতে পারি- তোমাদের কথা, তোমাদের হারিয়ে ফেলার কথা, তোমাদের ফিরে পাওয়ার কথা।
শুনেছি আপনজনেরা হারিয়ে যান না কখনো, ওঁরা ফিরে ফিরে আসেন। চলে গিয়েও। ফেলে যাওয়া আপনজনদের আড়াল থেকে চুপটি করে দেখে যান- ওদের খুশিতে ওঁরাও শান্তি পান, দুঃখে ওঁদেরও মন ভার হয়।
১.
ধড়ফড় করে মাঝরাতে বিছানা থেকে উঠলেন আমজাদ সাহেব। সেই একই দুঃস্বপ্ন। আবারো। প্রকাণ্ড একটা মাঠে তিনি দমবন্ধ করে পাগলের মত দৌড়াচ্ছেন; দুই কোলে দুটো বাচ্চাকে নিয়ে। পেছন পেছন অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় ধেয়ে আসছে ভয়ালদর্শন একটা কালো গুইসাপ। কোলের বাচ্চা দুটোর কালো চোখ, কালো রঙ। দুইজনে অলটার্নেট করে করে নিয়মিত বিরতি দিয়ে বলে যাচ্ছে- ইয়াক, বাবা, তোমার গায়ে ঘামের গন্ধ।
আমজাদ আলীর গুইসাপ ভীতির শুরুটা একেবারে বাচ্চাবয়সে। যে বয়সে মানুষ জোনাকি দেখে মুগ্ধ হয়, ইঁদুর দেখে মুগ্ধ হয়,
হিমালয় - বিরক্তিকর হলদে দেওয়াল গুলো থেকে বাঁচতে আমি বার বার পালাই যেখানে, সেই বরফ ঢাকা পাহাড়, সেই ঘন কালচে সবুজ জঙ্গলের রাস্তা আর তারা ভরা আকাশের হাতছানি। কখনো আপিসে লুকিয়ে একদিন দুদিনের ছোট ট্রিপ, কখনো ব্যাগ কাঁধে বাড়ির সবাইকে টেনশনে ফেলে লম্বা হাঁটা। এরকমই এক হাঁটার দিন এসেছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। যাওয়ার জায়গা ছিল অডেনস কল - গঙ্গোত্রি রেঞ্জ এবং যোগিন রেঞ্জ যেখানে মিশছে সেই জায়গাটা (৫৫০০
আজ ২৫ মার্চ। বাঙালির ইতিহাসে এ দিবাগত রাত চিহ্নিত হয়ে আছে বর্বর গণহত্যার স্মারক ‘কালরাত’ হিসেবে। ১৯৭১ সালের এ রাতে নিরপরাধ নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালির ওপর ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পৈশাচিক হত্যার উল্লাসে। পৃথিবীর ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল বাংলাদেশ
বদলে গিয়েছেন বিদ্যা বালান।
বদলে দিয়েছে কে?
আর কেউই নয়, বদলে যাও বদলে যাও স্লোগানদাতা প্রথম আলো।
"বিদ্যার সঙ্গে কাজ করতে চান আমির" শিরোনামের খবরটি ছাপা হয়েছে গত ২০ মার্চ প্রথম আলোর বিনোদন পাতায় (পৃষ্ঠা # ২০)। সঙ্গে ছিল নিচের ছবিটি -
১০ বছরের স্কুলজীবনে ৬ টা স্কুলে পড়তে হয়েছে আমাকে, তিনটা প্রাইমারী স্কুল আর তিনটা হাইস্কুল। সবগুলোই উপজেলা পর্যায়ে। আব্বুর চাকরীর জন্যই এই ঘনঘন স্কুল পরিবর্তন। নটরডেম কলেজে ভর্তি হওয়ার পর দেখলাম সহপাঠী বন্ধুদের মধ্যে খুব কমই আছে আমার মত উপজেলা পর্যায় থেকে আসা। ঢাকার বাইরে থেকে যারা এসেছে বেশীরভাগই জেলার কোনো স্কুল থেকে পড়ে এসেছে। আবার এদের মধ্যে অনেককেই থাকতে হয় আরামবাগের বিভিন্ন মেসে, স্বাভাবিকভাব
[ ইরম চানু শর্মিলা কে নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে লেখার পরে একজন পাঠক অনুরোধ করেছিলেন মনিপুরের থাংজাম মনোরমা ও পেবম চিত্তরঞ্জনকে নিয়ে লেখার জন্য। এই দুজনই ভারত সরকারের "Armed Forces (Special Powers) Act (AFSPA)"/ "আফসা" এর নির্যাতনের ভয়াবহতার সাক্ষী। সংঘাতপূর্ণ পাহাড়ি অঞ্চলগুলো- অরুনাচল, আসাম, মনিপুর, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরাতে এই আইন
[ ভেতরে সংগৃহীত মধ্যম আবেদনের প্রণয়-ভাস্কর্য। কারো কোন অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে বিধায় অন্দরে রাখলাম। ]
…