প্রলয়ের দিনে,
তেপনের চারপাশে মৌমাছি চরে
জেলে জোড়ে ঝকমকে জাল
সুখী তিমিকের দল লাফায় সায়রে
কিশোর চড়ুই খেলে ছাতের নালার কাছে
সাপগুলো সোনালিবরন, যেমন হওয়ার কথা।
প্রলয়ের দিনে,
ছাতা কাঁধে রমণীরা মাঠ ধরে হাঁটে
উঠোনের পাড়ে বসে ঝিমোয় মাতাল
সব্জিওয়ালা এসে চেঁচায় গলিতে
দ্বীপ ঘেঁষে আসে এক হলুদ পালের নাও
অফুরান বেহালার স্বরটা হাওয়ায়
নিয়ে যায় তারাভরা রাতে।
আর যাদের আশঙ্কা ছিলো বাজ-বিজুলির
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় একটি দিন। একাত্তরের এইদিনে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রমনার রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে ঘোষণা করেছিলেন পাকিস্তানের অপশাসন ও নিষ্পেষণ থেকে বাঙালির মুক্তির মূলমন্ত্র। এই ভাষণটির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করা। এটি একটি ভূখণ্ডের মানুষের হাজার বছরের নির্যাতন, নিপীড়
ছেলেবেলার একটা ঘটনা মনে পড়ে। মাকে গিয়ে বলছি, “মা, আমার কেমন যেন লাগছে”।
“কেমন লাগছে তোর, মন খারাপ? কেউ কিছু বলেছে?”
“না তো, মন খারাপ না”। আমার সীমিত শব্দ-সম্ভারে সে অনুভূতিকে ধরতে পারছি না আমি। সম্ভবত কেমন লাগছে সেই অনুভূতিটির নাম জানতেই মায়ের কাছে যাওয়া।
“তাহলে, একা-একা লাগছে? খেলতে যাবি?”
“নাহ, তাও না। কেমন যেন মায়া-মায়া লাগছে”।
এমন সুপুষ্ট নারী যে পায়; নিশ্চিত হিংসায় তারে দানো-দেবতায়। আহা কী সৌন্দর্য…
বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন বিশ্বের মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা। বস্তুত ভাষা আন্দোলন ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন শোষণের বিরুদ্ধে পূর্ববঙ্গের শোষিত জনগণের সুদীর্ঘ সংগ্রামের সংগঠিত সূচনা। এটি ছিল দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন । সেক্যুলার এই আন্দোলনে পূর্ব বাংলায় জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের ধ্বংসের বীজ রোপিত হয়। এই আন্দোলনের মধ্যেই ছিল বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী অনুভব।
[justify]পরদিন শুক্রবার হওয়ায় আকরাম সাহেবকে অফিসে যেতে হলনা। এমনিতেও উনি অফিসে যেতে পারতেন না। কারন আঙ্গুল বিশ্রীভাবে ফুলে গেছে, সাথে প্রচন্ড ব্যাথা। মেসের যেই ছেলেটা সকালে চা দিয়ে যায়, তাকে তিনি এক মগ কুসুম গরম পানি আনতে পাঠালেন। কুসুম গরম পানিতে আঙ্গুল ডুবিয়ে রাখলে যদি কিছু উপকার হয়। ছেলেটা কুসুম গরম পানির পরিবর্তে টগবগে গরম পানি দিয়ে গেছে। আকরাম সাহেব বামহাতে ঠান্ডা পানির মগ নিয়ে গরম পানির সাথে
স্মৃতির নক্ষত্র ভিড় করা রংধনু বাতাসে কি জানি কি ঢেউ আছড়ে পড়ে প্রায়শই। ফেলে আসা দিনগুলো কে পাখীর ডিমের মত নীল মনে হয়। মনে হয় কোনকালের থরে থরে জমে থাকা জমাট জলের চাদর, কোনও এক শ্রান্ত গোধুলী বেলা, বিহঙ্গিনীর ভেসে যাওয়া, সাথে তার সঙ্গী বিহঙ্গ, মনে পড়ে প্রকৃতির শব্দে ঘেরা ঝিঁঝিঁ ডাকা, ঘুঘু ডাকা কোনও এক গ্রামের কথা, কুয়োতলায় গাছের মাঝ দিয়ে ঝলমল করা সূর্য, কুয়োর কালো জলে আমার আবক্ষ ছায়া, পানের বরজ আর ত
Its good... Be back home again'
গানটা বাজছে।
শিমুলকে টের পাচ্ছি। ও এসেছে।
ওর ডাকাতদলের বারো জনের সবার মুখ মনে পড়ে গেল।
long long lost friends!
মনে পড়লো সুন্দরবনের নৌকার জীবন,
চিঙড়ি ঘেরের মাচাঙ, জঙ্গলের মাঝখানে গোলপাতার ডেরা।
প্রায় চল্লিশ দিন আমি শিমুলের ডাকাত দলটার সাথে ছিলাম।
মানুষ কত কারণে ভালবাসে।
আমাকে ওরা ভালবেসেছিল,
ভদ্র সমাজের একজন হয়েও আমি ওদের ঘৃণা করিনি দেখে।
এ পৃথিবীতে কিছু কাজ কেন পবিত্র আর কিছু কাজ কেনই বা অপবিত্র?
মুহম্মদ জাফর ইকবালকে নিয়ে
অপরাধ ও অপরাধের দায় বিষয়ক
দুটো ঘটনা-
আমরা কেমন, আমাদের সমাজটা কেমন,
তা দেখিয়ে দেয়।
কিছুদিন আগে
মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যা করার জন্য
ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এক তরুণ।
রক্তাক্ত জাফর ইকবালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
তিনি নিজের জন্য নন,
যে তাকে হত্যা করতে এসেছিল তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে
বারবার বলছেন-
“ওকে কিছু করো না
ওর কোন দোষ নেই