আমি ব্লগে সবসময়ই একজন মানুষের লেখা পড়ে লেখার পেছনের মানুষটাকে রিকনস্ট্রাক্ট করার একটা প্রচেষ্টায় থাকি। মাঝে-মাঝে খুব চমৎকারভাবে মিলে যায়। তবে আনিস ভাইয়ের মতো মানুষের ক্ষেত্রে সেটা উল্টা-পাল্টা হয়ে যায়।
আনিস ভাইয়ের লেখা পড়ে প্রথমে ভেবেছিলাম মারাত্মক রাশভারি, কোনো একজন লোক। রাশভারি লোকজনদের সাথে মিশতে আমার আড়ষ্ট লাগে। মূলত সে কারণেই তাঁর সাথে তখন পর্যন্ত তেমন খাতির হয়...
--কত বড় হতে চাও?
--আমার হাতগুলো এমন দীর্ঘ হবে --কীনব্রীজের রেলিংযের ফাঁকে বাড়িয়ে দিয়ে ঘুরিয়ে দেবো আলী আমজদের ঘড়ির কাঁটাগুলো।
--পারবেনা।মানুষ এত বড় হয়না।শরীর-কাঠামোর নির্দিষ্ট সীমা আছে।
অতএবঃ
স্বপ্নের দুরন্ত-ঘোড়াটির টগবগ টগবগ গতি রুদ্ধ হয়।
আকাঙ্ক্ষার পালকগুলো একে একে এভাবেই খসে পড়ে----
এভাবেই শুরু---
ইচ্ছে-পথের মোড়ে মোড়ে রোড-ব্লক;
দ্বিধা-দ্বন্ধ-উদাসীনতার দরোজার ক...
লেখাঃ ঋদ্ধ
তাকিয়ে দেখি,
মধুমাখা আবাস
তোমার সেথা।
ঘুরে বেড়াও,
ছোটাছুটিতে দিন
কাটে তোমার।
তোমার সেই
রূপের যাদু আজ,
মাতালো মোরে।
শুনে চলেছি,
গুনগুন গানের
মৌমাছি তুমি!
[justify]
আগের পর্বে আমি বাংলাদেশের FAP 6 রিপোর্টের আলোকে বাংলাদেশের উপর টিপাইমুখ...
সচলে আমার যাত্রা শুরু হয় প্রফেসর র্যান্ডি পাউশকে নিয়ে একটা লেখা দিয়ে। প্রায় একবছরেরও বেশি সময় শেষে যখন আমি পিছন ফিরে তাকালাম, তখন দেখলাম, আমার নিজের লেখার মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় পোস্ট র্যান্ডিকে নিয়ে ঐ লেখাটিই।
র্যান্ডি পাউশকে যারা চিনেন না, তাদের কাছে ছোট্ট করে পরিচয় দিই। র্যান্ডি ছিলেন কার্নেগী মেলন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্সের একজন প্রফেসর। ২০০৭ সালের আগস্ট মাস...
পর্ব-১
শোনা যায় যান্ত্রিক সভ্যতা যত এগোয় সভ্য মানুষ তত কৃত্রিম হতে থাকে। তার মুখে এঁটে বসে যায় এক মুখোশ শিষ্টতার, সৌজন্যের। পরে অনেক চেষ্টা করলেও তার সত্যিকারের মুখশ্রী আর দেখা যায় না, সে নিজেও এমনকি দেখতে পায় না। বলা হয় গাঁয়ের মানুষ নাকি অন্যরকম। সভ্যতার কৃত্রিমতার আঁচ যদিও তাদের গায়ে লাগছে একটু আধটু, তবু তারা সরল প্রাণবন্ত আতিথ্যপ্রবণ।
এ সম্পর্কে অবশ্য আমার অভিজ্ঞতা মিশ্র...
এই তো দু'দিন আগেই, বুধবার বিকালে, অফিস থেকে বাসায় ফিরে বিছানায় আধাশোয়া হয়ে খানিকটা আয়েশ করেই সচলায়তনের পাতায় চোখ রাখছিলাম। ব্যস্ততার কারণে গত এক মাসে প্রচুর পোস্ট পড়া হয়নি। তাই পুরনো পাতাগুলো নেড়েচেড়ে দেখছিলাম। এমন সময় মোবাইলটা বেজে উঠতেই, তাকিয়ে দেখি স্ক্রীনে পান্থ রহমানের নাম ভাসছে। আগের দিন সকালেই জরুরি একটা বিষয়ে কথা হয়েছিল তাঁর স...
।।
মুখ ভরা ঝাল গো তোমার
কথায় শুধু হূল,
আগে যদি জানতাম গো আমি
করতাম না এমন ভুল!
।।
তুমি যদি সর্প হও, আমি হব ব্যাঙ
তুমি যদি মুরগি হও, আমি তার ঠ্যাঙ!
।।
বিহান বেলা উইঠ্যা দেহি- বউ লগে নাই
পাটক্ষেতে গিয়া দেহি, লগে খালাত ভাই!
।।
কুঁড়ে কি আর গাছে ধরে?
কুঁড়ে থাকে ঘরে,
কুঁড়ে যে ঘরে থাকে
কুঁড়েঘর বলে তাকে?
।।
তুমি আমার হৃদয়-তুমিই আমার জান
একবার ছাড়া পাই, বাঁচাব আপন প্রাণ!
।।
বরফ দেয়া ঠান্ডা পানি ...
১৮ জুলাই ২০০৯
আজ ছবির হাটে একটা মিনি সচলাড্ডা হয়ে গেলো। বাংলাদেশের সময় ভেবে আমি গিয়েছিলাম ১৫ মিনিট পরে, কিন্তু গিয়ে দেখি বিপ্লব'দা ছাড়া আর কেউ নেই। পরে আস্তে আস্তে সবাই উপস্থিত হতে শুরু করলেন। এই আড্ডা নিয়ে এক প্যারা লিখে রেখেছিলাম, কিন্তু এখন আর দেবার প্রয়োজন বোধ করছিনা কারণ বিপ্লব'দা এবং এনকিদু ইতিমধ্যেই এই নিয়ে দু'টো পোস্ট দিয়ে দিয়েছেন [[url=http://www.sachalayatan.com/biplobr/25780]বিপ্লব'দার প...
সময় রাত একটা। স্থান দামুকদিয়া বাজারে তালুকদারের সাইকেলের দোকান।
মোজাম্মেল আর ইউসুফ সময় মতোই এসেছে। বরাবরের মতো নাসির আজকেও লেট। কিন্তু আজকের অপারেশনটাতো ঠিক বরাবরের মতো না। আজকে অন্ততঃ নাসির সময়মতো আসতে পারতো।
দুজনের হাতেই দুটো চটের বস্তা। তার মধ্যে আছে অনেকক্ষণ ধরে ধার দেয়া চকচকে রামদা। বিনা ঝামেলায় কাজ শেষ করতে হবে আজকে। এইরকম কাজ আজকেই প্রথম তাদের জন্যে। মনের মধ্যে ত...