ফেইসবুকে একটা ভাইরাল ভিডিও ছড়িয়েছে। ওমানে বাংলাদেশ অ্যাম্বাসেডর নুরুল আলম চৌধুরী একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন। ভিডিও কবে ধারণ করা সেটা নিশ্চিত না হলেও ইউটিউবে জুন ২০১১ তে আপলোড করা হয়েছে। কথা না বাড়িয়ে প্রথমে ভিডিওটি শেয়ার করি।
অনেকদিন পর সাইকেল নিয়ে বের হলাম। সাইকেলের অবস্থা যদিও খারাপ। মাসখানেকের উপরে চালানো হয় না। হাওয়া বের হয়ে গেছে।
গরমে জীবন হাঁপিয়ে উঠেছে, আমিও জীবনের বাইরের কেউ নই। এর মধ্যে সাইকেল চালানো নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেওয়ার নামান্তর মাত্র। কিন্তু ক্যাড়া উঠলে কে আর বসে থাকে বলুন। আমিও বসে থাকলাম না।
প্রাইমারী স্কুলে পড়ি তখন, প্রতিনিয়তই নতুন কিছু জানার, নতুন কিছু দেখার স্বপ্নাবিস্ট সোনালী উতল মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন এক সময়, জীবনে সবচেয়ে মধুর অংশ আর কি হতে পারে বাল্যকালের চেয়ে! স্কুল থেকে ফেরার পথে মা একদিন জানালেন আগামীকাল বইমেলায় নিয়ে যাবেন আমাদের। বইমেলা! কচি মনে প্রশ্নের ঢেউ উঠেছিল, বইয়ের আবার মেলা হয় নাকি?
ছোটবেলার একটা কথা মনে পড়ছে। ছোটভাইয়ার টাইফয়েড হয়েছিলো। ঢাকার হাসপাতাল থেকে আমরা যখন বাসায় ফিরে যাই বাহন ছিলো ট্রেন। বাবা আমাদের জন্য যাত্রাপথের খাবার কিনতে ট্রেন ছাড়বার ঠিক আগে আগে স্টেশনে নেমেছেন। ট্রেন ছাড়ার প্রায় সময় হয়ে গিয়েছে, ট্রেনের গেইট লক করে দেয়া হয়েছে, গার্ড এসে একবার পাশ দিয়ে ঘুরে গেছে। আমি ঠাঁয় তাকিয়ে আছি গেটের দিকে। টেনশনে আমার ঘাড় ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে। বুক ধড়ফড় ক
[justify]আমার জন্ম হয়েছিলো বেশ সেন্স অফ হিউমার নিয়ে। মা-বাবা কেউই তেমন রসিক না। খালারা গম্ভীর, মামারা রাগী। জন্মের কিছুকালের মধ্যেই আমি তাই নিশ্চিন্ত হয়ে গেলাম আমাকে আসলেই কুড়িয়ে পেয়েছে। বন্ধু মহলে জনপ্রিয় ছিলাম, কিন্তু নারীরা জীবনে ধারেও ঘেঁষত না। প্রথমে ভাবলাম আমার "ওয়ান প্যাক অ্যাবস" এবং দুধে আলকাতরা গায়ের রঙ এর কারন। তারপর ব্যাপক পড়াশোনা করে বুঝলাম আমার সেন্স অফ হিউমার ই আমার মূল শত্
১.
সুধীর আরতি। বেদীতে আসীন হলে দেবী। অর্চণা-
রচিছে তোমাকে ঘিরে বনদীপ, দূরের নক্ষত্ররাজি।
আঙুলে তোমার ফুলোঙ্গুরীয়, আমার হৃদয়ের শেষচিহ্ন,
এ নয় এক জনমের প্রেম, এ নয় এক জনমের হৃদয়!
তোমার কণ্ঠে পুষ্প-জড়োয়া, কর্ণে দুলছে ঝুম্কো,
কোমরে জড়ানো লতার বিছাহার।
সাবধানে পরালাম বনবালা,
কেননা সে তো সূর্যের-আগুন!-
আমার হৃদয় থেকে স্খলিত। সিঁথির শিখরে
গতবারের ইস্কুলবেলার গল্পে কী যেন বলছিলাম?
…
ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক হিসেবে আহসান মঞ্জিলের (Ahsan Manzil) নাম শোনেন নি এমন শিক্ষিত বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। বুড়িগঙ্গার তীর ঘেষে দক্ষিণমুখী হয়ে দাঁড়ানো আগুনে লালরঙা এই অসাধারণ কারুকার্যময় অট্টালিকা কেবল অমূল্য স্থাপত্য হিসেবেই নয়, ঢাকা নগরের অতীত ইতিহাস ও তৎকালীন জীবনযাত্রায়ও রেখেছে ব্যাপক প্রভাব। উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত ঢাকায় তো বটেই, গোটা পূর্ববঙ্গেও প্রভাব বিস্তার করেছিলো আহসান মঞ্জিল। স্থানীয়ভাবে ঢাকাবাসীদের কাছে এর পরিচয় নবাববাড়ি নামে। অর্থাৎ এটা শুধু মঞ্জিল নয়, নবাব পরিবারের আভিজাত্য, বৈভব ও প্রভাবের প্রতীক এই অট্টালিকা। পাশাপাশি দুটো বিশাল দ্বিতল ভবনের পূর্ব পাশের ভবনে ছিলো নবাব পরিবারের বাস এবং পশ্চিম পাশেরটি ছিলো দরবার হল।
[justify]এইবছর ইউরোপের একটা কনফারেন্সে যাবার সুযোগ হয়েছিলো। বিগত বছরগুলাতে ল্যাবের সিনিয়র ভাইদেরকে দেখেছিলাম এটাতে এটেন্ড করে ইউরোপ ভেজে খেয়ে আসতে। যদি ও ভেবেছিলাম আর কোনো কনফারেন্সেই যাবোনা, কারণ কনফারেন্স বাবদ ডিপার্টমেন্ট যে টাকা এলোকেট করে, গতবছর আমেরিকা গিয়ে সেটার পুরাটাই উড়িয়ে দিয়ে আসছি। কিন্তু কনফারেন্স থেকে আবার সব মিলিয়ে দশজনকে ট্রাভেল ফেয়ার দেয় এটেন্ড করার জন্য, যেটা কিনা ৫০০
ম্যালাদিন আগের কথা। সেটা সম্ভবত ১৯৯৮ সাল। কলেজে পড়ি। আমাদের বাড়ির পাশে একটা পাঠাগার ছিল। সেখানে ভোরের কাগজ পত্রিকা রাখতো। বিকেলে সেটা পড়তাম। সেই পত্রিকায়, শুক্রবারের সাহিত্য সাময়িকীতে একটা লেখা এলো একদিন। লেখার শিরোনাম: পোয়েমিক্স_ কী, কেন, কীভাবে: একটি অসম্পূর্ণ খশড়া। লেখক তুষার দাশ। লেখাটি আমাকে অভিভূত করে। আমার মাথার ভিতরে গেঁথে যায়। এই এতকাল পরেও, প্রায় তের বছর পর আমি সেই প্রথম পড়ার কথা, মুগ্ধ