Archive - 2014 - ব্লগ

October 14th

বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-৩৬ : পেটারি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৩/১০/২০১৪ - ৬:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


কিছু জিনিস থাকে প্রিয় থেকেও বেশি প্রিয়। আমার প্রিয় গাছের তালিকাটা বেশ লম্বা। কিন্তু অতিপ্রিয় গাছের কথা বললে সবার আগে আসবে পেটারির নাম। কবে কোথায় গাছটা প্রথম দেখি, সে স্মৃতি নিউরণের অতল সমুদ্রে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে প্রথম মুগ্ধতার কথা এখনও স্পষ্ট। সে প্রায় বছর পচিশেক আগের কথা। ৮৯-এর বর্ষণমূখর এক দিনে গিয়েছিলাম এক ফুপুর বাড়ি। গ্রামটা ভারি সুন্দর। ঝোপ-জঙ্গল, নদী, মাঠ, শস্য, ঘাসফুলে আচ্ছাদিত এক আদর্শ বাঙালী গ্রাম। বর্ষার বিশুদ্ধ পানিতে গা ধুয়ে গোটা গ্রামটাই যেন পবিত্র চেহারা পেয়েছে। বৃষ্টিস্নাত গাছপালায় সবুজের অভিযান। সবুজ-সতেজ গাছপালা যেমন আমার শিশুহৃদয়ে দাগ কাটছিল, তেমনি বাহারি ফুলের নানা রঙে স্মৃতির ক্যানভাসে অঙ্কিত হচ্ছিল অমোচনীয় সব ছবি। সেই বর্ষার সেরা ছবি হয়ে আজও আমার মানসপটে গেঁথে আছে মামুলি এক মেঠো ফুল। এরপর পল্লীবাংলার কত গাঁয়ে, কত মাঠে কত অজস্রবার একে দেখেছি তার ইয়ত্তা নেই। প্রতিবারই গাছটা আমার বুকে অন্যরকম এক অনুভূতির জন্ম দিয়েছে, বুনেছে অন্যরকম ভালবাসার জাল। আর স্মৃতির পর্দায় ডানা মেলেছে শৈশবের সেই ছবি।


October 13th

ও ময়ূর, পাখা মেলে দাও (১ম পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৩/১০/২০১৪ - ১:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক.


নোবেল প্রাইজ আ্যসাইনমেন্ট

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি
লিখেছেন রকিবুল ইসলাম কমল [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১২/১০/২০১৪ - ৭:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আমাদের পড়াকালীন সময় সুইডেনের লিনশপিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিসিনের মাস্টার্স প্রোগ্রামটিতে একটি মজার অ্যাসাইনমেন্ট ছিল। ২০০৮-২০১০ বর্ষে যারা পড়েছে তাদের সবাইকেই এই অ্যাসাইনমেন্টটি করতে হয়েছে। এখনো হয়তো করতে হয়।


October 10th

আটপৌরে ঘোরাঘুরি ৪ – স্বপ্নরাজ্যে তিন দিন

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
লিখেছেন ইয়াসির আরাফাত [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১০/১০/২০১৪ - ৫:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জায়গাটিতে জাদু দেখানো হয় না।

কিন্তু সবকিছুই যেন তৈরী হয়েছে কোন আশ্চর্য জাদুকরের ছোঁয়ায়। সেখানে আছে এক মায়াপর্বত, কিছু মায়াহ্রদ আর এক বিশাল মায়াপ্রাসাদ। সেখানে বছরের বারো মাসেই উৎসব, প্রতিদিন। প্রতিরাতেই প্রাসাদে জমে ওঠে আলো ঝলমলে রঙের মেলা, রূপকথার সব চরিত্র স্বপ্নের অস্পষ্ট দেয়াল ভেঙে জ্যান্ত হয়ে ওঠে চোখের সামনে।


October 8th

প্রায়শ্চিত্ত

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৮/১০/২০১৪ - ১:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রাচীন সাবিনো গাছের ডাল পালার ফাঁক দিয়ে সন্ধ্যা নেমেছে। সিঁদুর লাল সূর্যটা এক রকম তাড়াহুড়ো করে ডুবে গেল। এক ঝাঁক পাতি হাঁস প্যাক প্যাক করে ডুবন্ত সূর্যটাকে ধাওয়া করে উড়ে গেল পশ্চিম দিকে। সূর্য মরে যাবার পরও হালুদ লাল একটা আভা ঝুলে রইল আকাশের ক্যানভাসে। আস্তে আস্তে আঁধার হল চারদিকে। বড্ড ক্লান্তি নিয়ে রাত নামল ওয়াহাকা'র আকাশে।


October 6th

অক্টোবর

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি
লিখেছেন জোহরা ফেরদৌসী (তারিখ: সোম, ০৬/১০/২০১৪ - ৬:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাগো, কবে প্রথম শুনেছিলাম- “তোমায় আমি হ’লেম অচেনা/ আমি কেমন করে পত্র লিখি রে বন্ধু/ গ্রাম পোস্টাপিস নাই জানা”...?

কোন এক শীতের রাতে ধান কাটা মাঠ-জুড়ে শামিয়ানার নীচে হ্যাজাক লাইটের আলোয় বসা গানের আসরে এক গ্রামীণ বাউল গাইছে সে গান...তার এক হাতে উঁচু করে ধরা একতারা, তর্জনী ছুঁয়ে আছে একতারার তার, বন্ধ দু’চোখের কোল বেয়ে নেমেছে জলের ধারা...বাউলের গলায় কোন সে এক অন্য ভুবনের অপার্থিব বেদনা... সুর হয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে মঞ্চের চারিধারে... রাতজাগা সব মানুষেরা কেউই জানে না কখন তাদের দু’চোখের জল মিশে গিয়েছে সেই বেদনার ধারায়...


কেন যামিনী না যেতে জাগালে না, বেলা হল মরি লাজে (তৃতীয় পর্ব)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৬/১০/২০১৪ - ৪:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ এই পর্বে ২৩২ পৃষ্ঠাসংখ্যা সংবলিত বইটির ৫৩ থেকে ৭০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য অংশ আলোচিত হল। আসন্ন পর্বসমূহে বইটির পরবর্তী অংশ ক্রমান্বয়ে আলোচিত হবে। মন্তব্য অংশে সকল পাঠকের সক্রিয় সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ]


October 5th

হাবিব মনসুরের চিঠি - শেষ পর্ব

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ০৫/১০/২০১৪ - ৪:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(প্রথম পর্বের পর)

ভারত সাগর, ১৬০৭। মাঝারি আকারের চৈনিক জাহাজ হায় ছাঙ এর ডেক। ভোর।

জাহাজের সর্বময় কর্ত্রী পী না’র কপালে গভীর ভাঁজ। গুমোট জাহাজের পরিবেশ গতকাল থেকে। গতকালের ঝড়ে বেঁচে বের হওয়া যাবে এইটা অনেকেই বিশ্বাস করেনি, এরকম পাহাড়ের সমান উঁচা ঢেউ দেখে কলজের জোর ধরে রাখা শক্ত। সেইটা থেকে বাঁচা গেছে সত্য, কিন্তু আরেক কঠিন সমস্যা তৈরি হয়েছে। খাবার নেই।